আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
194 views
in সাওম (Fasting) by (4 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লহি ওয়া বারকাতুহ,

শায়েখ আমার কিছু প্রশ্নের উত্তর জানা জরুরি ছিলো,নিচে প্রশ্ন গুলো উল্লেখ করা হলো।অনুগ্রহ করে উত্তর দিবেন।

1★কান্না করলে নাকে পানি জমে,সেই নাকের পানি গলায় গেলে রোজা ভেঙে যাবে কি?

রোজার কোনো ক্ষতি হবে কি?

2★মনে মনে শেষ দশকে ইতিকাফের নিয়ত করলে কি ইতিকাফ করতেই হবে?যদি মনে হয় ইতিকাফে বসলে বাসার মানুষের কষ্ট হয়ে যেতে পারে তাহলে ইতিকাফ না করতে পারলে কি গুনাহ হবে?বা এর জন্য কি কোনো কাফফারা দিতে হবে?

(আমি একজন মেয়ে)

3★ইতিকাফে থাকা অবস্থায় কি দুনিয়াবি দুআ করা যাবে?

4★নামাজ পড়া অবস্থায় বার বার মনে হয় ওযু ভেঙে গেছে সাদাস্রাব জনিত সমস্যার জন্য।অনেক ওয়াসওয়াসা আসে।
মাঝে মাঝে দেখা যায় যে সত্যিই ওযু ভেঙে গেছে সাদাস্রাবের কারণে।আমার প্রশ্ন হচ্ছে,আমি জানি যে, ওযু ছাড়া সিজদাহ্ করলে সে কাফের হয়ে যায়!আসলেই কি কাফের হয়ে যায়?

যদি আমার মনে হয় যে ওযু ভেঙে গেছে,কিন্তু ওয়াসওয়াসা ভেবে পাত্তা না দিয়ে যদি নামাজ পড়তেই থাকি কিন্তু এমন হয় যে  সত্যিই ওযু ভেঙে যেয়ে থাকে,এমন ~অবস্থায় সিজদাহ্ করলে আমার গুনাহ হবে কি?

~আমি কাফের হয়ে যাবো কি?

5★নামাজের মাঝে এতো বার ওয়াসওয়াসা আসে ওযু ভেঙে যাওয়ার এক্ষেত্রে আমার করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (573,960 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
কান্না করলে নাকে পানি জমে,সেই নাকের পানি গলায় গেলে রোজা ভেঙে যাবেনা।

(০২)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
এক্ষেত্রে আপনি তো কোনো মান্নত করেননি,শুধু নিয়ত করেছেন মাত্র,তাই এক্ষেত্রে ইতিকাফ করতে না পারলে কোনো গুনাহ হবেনা।
কোনো কাফফারা দিতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনি মনে মনে মান্নত কররে থাকলেও কোনো তালাক নেই।৷ কেননা মনে মনে মান্নত করলে সেটি মান্নত হয়না।
,
https://ifatwa.info/16066/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
মান্নত করার পর তা থেকে রুজু করার কোন সুযোগ নেই। তাই মান্নতকৃত ইবাদতটি করা আবশ্যক।
 
وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ [٢٢:٢٩]
তাদের মানত পূর্ণ করে [সূরা হজ্জ-২৯]

★মনে মনে মান্নত করলে মান্নত হয় না। মান্নত হবার জন্য মুখে উচ্চারণ করা জরুরী।

النذر لا تكفى أيجابه النية بل لابد من التلفظ به (الأشباه والنظائر-89)
সারমর্মঃ
মান্নত ছাবেত হওয়ার জন্য শুধু নিয়ত যথেষ্ট নয়,বরংং উচ্চারণ করা জরুরী। 

المسألة الأولى فى حقيقة النذر، وهو التزام الفعل بالقول مما يكون طاعة لله عز وجل، من الأعمال قربة (احكام القرآن لابن عربى، دار الكتب العلمية-1\352، كرتاشى-2\18)
فركن النذر: هو الصيغة الدالة عليه، وه قوله: لله عز شانه على كذا، أو على كذا، وهذا هدى، أو صدقة، أو مالى صدقة أو ما أملك صدقة أو نحو ذلك (بدائع الصنائع، كتاب النذر-4\226)
সারমর্মঃ
মান্নতের রুকন হলো এমন শব্দ ব্যবহার করতে হবে,যেটি তার উপর বুঝায়,,,, 

وصيغته تكون بلفظ النذر نحو "نذرت" أو ما يدل على الإلزام نحو "لله علي" أو ما شابه ذلك.
সারমর্মঃ
মান্নতের শব্দ হলো যেখানে নযর তথা মান্নতের শব্দ ব্যবহার হবে।
যেমন আমি মান্নত করিলাম,বা যে শব্দ গুলো নিজের উপর কোনো কাজ আবশ্যকীয় করে নেওয়া বুঝায়,,,, 
,
(০৩)
ইতিকাফে থাকা অবস্থায় দুনিয়াবি দুআ করা যাবে।
এতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৪)
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি কাফের হয়ে যাবেননা।

এখানে মূলত মাসয়ালা হলো  জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে আল্লাহর প্রতি বিদ্রুপ করে ঠাট্রাচ্ছলে তিরস্কার স্বরুপ কেউ অযু ছাড়া নামাজ পড়লে সে কাফের হয়ে যাবে।

(০৫)
এক্ষেত্রে আপনি নিশ্চিত না হলে নামাজ চালিয়ে যাবেন,আর নামাজের শেষে চেক করবেন।

আর নামাজের মাঝেই নিশ্চিত হলে সেক্ষেত্রে নামাজ ভেঙ্গে দিয়ে পাক হয়ে যেখানে নামাজ ছেড়ে গিয়েছিলেন,সেখান থেকেই নামাজ শুরু করবেন।

তবে অযু করতে আসার মাঝে কোনো কথাবার্তা বলা যাবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 583 views
...