আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
130 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (7 points)
reshown by
১.  https://ifatwa.info/72940/
এই মহিলা যে একবার লালের পর আবার সাদা দেখে,সেই সাদা দেখার আলোকে আবার নামাজ পরা শুরু করে সেই দিন সব নামাজ পরলো, তা কি ঠিক আছে?
(তাকে আমি বলেছিলাম যে কিছু অপেক্ষা করে পড়ো,জেনে নেই, সে বললো আবার তো সাদা দেখতে পেয়েছি এখন আবার অপেক্ষা করে নামাজ মিছ করবে না কি...)

২. কেও যদি বিয়ে হওয়ার আগে কোনো মেয়েরে বলে " তর সাথে ব্রেকাপ" / " তর সাথে সম্পর্ক নাই আর"  আবার পরে কি সেই মেয়ে কে বিয়ে করতে সমস্যা আছে?

৩. আমি যাকে বিয়ে করি,তাকে বিয়ের আগে, একদিন বলেছিলাম, "এখন কি ব্রেকাপ করে ফেলবো? " সে বলেছিলো তখন করে ফেলো, আমি বলেছিলাম " তোমার কোনো সমস্যা নাই?" সে বললো " আমার কোনো সমস্যা নাই" আমি বলেছিলাম " আচ্ছা " এর ফলে কি আমাদের পরবর্তী বিবাহে সমস্যা হবে?
আবার আরেকদিন তার দুইটা ফেসবুক আইডির একটা রেখে আরেকটাতে ম্যাসেজ দেওয়ায় বলেছিলাম "একটা ছেড়ে আরেকটা ধরতেছি " আরেকদিন বলেছিলাম " তোমার ওই আইডিতে গিয়ে ম্যাসেজ দাও যে (সেই আইডির নাম).এর সাথে ব্রেকাপ করিলাইসছ এই রকম ই একটা কথা। এর ফলে কি বিবাহে সমস্যা হবে?

৪. আসলে এই সব নিয়ে খুব দুশ্চিন্তা হয়,আজকে ব্রেকাপ সম্পর্কে দেখতে গিয়ে এই সব ম্যাসেজ খোজা শুরু করি যে কখনো তাকে বলেছি কি না তখন এসব পাই, দেখে পড়ার পরে সব ডিলিট করে দেই, (২ নং এর সব কথা পড়ার পরে যা মনে পরেছে সেই অনুযায়ী লেখা) এখন আমার কাছে সব ম্যাসেজ নাই,আমার বউ এর কাছে আছে। এখন এই ক্ষেত্রে বা অন্য কিছু যদি কখনো মনে পড়ে তখন তা জানার জন্য আমার যতোদূর জানি তা অনুযায়ী ফতোয়া জানতে চাইবো? নাকি সেই সকল ম্যাসেজ বউ এর মোবাইল থেকে দেখে জানতে হবে? আসলে তাকে বললে নাও দেখাতে পারে সে জানে আমার কিছু ওসওয়াসার সমস্যা?  বুঝতেছিনা কি করনীয়? পরামর্শ চাই

৫. কোনো ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়া কেও যদি নবী(সা:) এর শানে অমুক শব্দ বলে ফেলে এতে কি নবী(সা:) এর শানে বেয়াদবি হয়? আর সে কি কাফের হয়ে যাবে,(তার বেয়াদবির ন্যূনতম ইচ্ছে ও নাই)

৬. আজকে হাদীসেন সনদের কথা বলতে গিয়ে একজনকে বলি, হাদীস গুলো অমুক থেকে অমুক শুনেছেন /বলেছেন, অমুক থেকে অমুক শুনেছেন /বলেছেন এভাবে এসেছে, পরে মনে হলো হাদীসের সনদে তো নবী (সা:) ও সাহাবিদের নাম ও আছে তাদের শানে যে অমুক বলে ফেললালম, এর ফলে কি গুনাহ হবে বা ইমানে সমস্যা হবে? আমার কোনো ইচ্ছে নাই ওনাদের সাথে অপমানসূচক বা বেয়াদবি মূলক কিছু করা. (প্রশ্ন লেখার সময় ও ওনাদের জায়গায় তাদের লেখে ফেলেছিলাম খেয়াল হওয়ার পরপর ঠিক করেছি) এর ফলে কি কুফর হবে?

৭. "কাওকে রোজা ভাঙ্গার জন্য সফরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া, কোরবানি থেকে বাঁচার জন্য সফরে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া, যাকাত থেকে বাঁচার জন্য তার সোনাকে অন্য কারো মালিকানায় দিয়ে হিলা করার পরামর্শ দেওয়া এগুলো কুবুদ্ধি "
এই বক্তব্য কি ঠিক আছে? এগুলোকে কুবুদ্ধি বলা চলে?

৮. মনে মনে কেও সেচ্ছায় বা অনিচ্ছায় বা বেখেয়ালি যদি কুফরি কথা ভেবে ফেলে বা বলে ফেলে,পরে খেয়াল হয়, ও বুঝতে পারে তার এই কথা ভাবা বা মমে মনে বলা ঠিক নয়, এতে কি কুফর হবে,?
৯. শুধু "তালাক" শব্দ টি কেও নিজে নিজে লিখলে/ বললে কি কুনো সমস্যা হবে? তার বিবাহিত জীবনে?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
শরীয়তের বিধান অনুযায়ী হায়েযের সর্বোচ্চ সময়সীমা ১০দিন।
এ ১০দিনের ভিতর লাল,হলুদ,সবুজ,লাল মিশ্রিত কালো বা নিখুত কালো যে কালারের-ই পানি বের হোক না কেন তা হায়েয হিসেবেই গণ্য হবে।যতক্ষণ না নেপকিন সাদা নজরে আসবে। (বেহেশতী জেওর-১/২০৬)  

হায়েজের দিন গুলোতে যেই কালারেরই রক্ত হোক,সেটি হায়েজের রক্ত বলেই গন্য হবে। 
উক্ত সময় নামাজ রোযা ইত্যাদি আদায় করা যাবেনা।
(কিতাবুল ফাতওয়া ২/৭৬)

তবে স্পষ্ট সাদা কালারের কিছু বের হলে সেটাকে হায়েজ বলা যাবেনা।
(ফাতাওয়ায়ে হক্কানিয়াহ ২/৮৩৩)

উম্মে আলক্বামাহ তথা মার্জনা (مَوْلاَةِ عَائِشَةَ) হইতে বর্ণিত,

عن أم علقمة أَنَّهَا قَالَتْ : " كَانَ النِّسَاءُ يَبْعَثْنَ إِلَى عَائِشَةَ أُمِّ الْمُؤْمِنِينَ بِالدُّرْجَةِ فِيهَا الْكُرْسُفُ فِيهِ الصُّفْرَةُ مِنْ دَمِ الْحَيْضَةِ يَسْأَلْنَهَا عَنْ الصَّلَاةِ فَتَقُولُ لَهُنَّ لَا تَعْجَلْنَ حَتَّى تَرَيْنَ الْقَصَّةَ الْبَيْضَاءَ تُرِيدُ بِذَلِكَ الطُّهْرَ مِنْ الْحَيْضَةِ "

তিনি বলেনঃ (ঋতুমতী) স্ত্রীলোকেরা আয়েশা (রাঃ)-এর নিকট ঝোলা বা ডিবা (دُرْجَة) পাঠাইতেন, যাহাতে নেকড়া বা তুলা (كُرْسُفْ) থাকিত। উহাতে পাণ্ডুবৰ্ণ ঋতুর রক্ত লাগিয়া থাকিত। তাহারা এই অবস্থায় নামায পড়া সম্পর্কে তাহার নিকট জানিতে চাহিতেন। তিনি [আয়েশা (রাঃ)] তাহাদিগকে বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা (বর্ণ) দেখিতে না পাও। তিনি ইহা দ্বারা ঋতু হইতে পবিত্রতা (طُهْر) বুঝাইতেন।(মুয়াত্তা মালিক-১২৭)
,

أن النساء کن یبعثن بالکرسف إلی عائشۃ رضی اللہ تعالیٰ عنھا فکانت تقول : لا حتی ترین القصۃ البیضاء‘‘ ( المؤطأ للإمام مالک : ۱/۵۹۱ ،  : مصنف ابن عبد الرزاق، حدیث نمبر : ۱۱۵۹ )
সারমর্মঃ আয়েশা সিদ্দিকা রাঃ সেই সমস্ত মহিলাদের বলিতেনঃ তাড়াহুড়া করিও না, যতক্ষণ পর্যন্ত পূর্ণ সাদা দেখিতে না পাও। 
,
আরো জানুনঃ
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন
প্রশ্নে উল্লেখিত মহিলার যদি সেই সাদা আসার পর আর লাল না আসে,সেক্ষেত্রে তার কাজ ঠিকই আছে।
আর যদি আবারো লাল চলে আসে,সেক্ষেত্রে তার হায়েজ আসার ১০ দিন পরে হলে সেক্ষেত্রে তার নামাজ আদায় সঠিক।
আর যদি হায়েজ শুরু হওয়ার ১০ দিন আগেই আসে,সেক্ষেত্রে তার নামাজ আদায় ঠিক হয়নি,এক্ষেত্রে নামাজ আদায় করে থাকলে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিতে হবে। 
এই অনিচ্ছাকৃত গুনাহ আল্লাহ তায়ালা মাফ করবেন।

(০২)
এক্ষেত্রে আবার পরে সেই মেয়ে কে বিয়ে করতে কোনো সমস্যা নেই।

(০৩)
এর ফলে আপনাদের বিবাহে সমস্যা হবেনা।

(০৪)
আপনি নিশ্চিত থাকুন, আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। 
কোনো সমস্যা হয়নি।

(০৫)
এতে সে কাফের হয়ে যাবেনা।
তবে ইচ্ছাকৃতভাবে এমনটি বলা রাসুলুল্লাহ সাঃ এর শানে বেয়াদবির শামিল।

(০৬)
এর ফলে কুফর হবেনা।

(০৭)
এই বক্তব্য সহীহ।
এগুলোকে কুবুদ্ধি বলা যাবে।

(০৮)
ইচ্ছাকৃতভাবে জেনে শুনে কুফরি বাক্য বললে কাফের হয়ে যাবে।

নতুবা শুধু ভাবার দ্বারা অথবা অনিচ্ছায় বা বেখেয়ালে বলার দরুন কুফর হবেনা।

(০৯)
না,প্রশ্নের বিবরন মতে তার বিবাহিত জীবনে সমস্যা হবেনা।

তবে স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বললে তালাক হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...