আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম

১) মামার শ্যালক বিদেশ গেছে সেই বিষয়ে মামাকে জিজ্ঞেস করলাম " উনি যে গেল ( বিদেশ ) । আবার আসবে নি অথবা  আবার কবে আসবে " । সাধারন কথা জিগ্যেস করেছি এবং এই কথা স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করেও   বলিনি আর  উক্ত কথা বলার সময় কোন নিয়ত ও ছিলো না।

মূল ঘটনা হচ্ছে ফোনে কথা বলার পর নিজে নিজে চিন্তা করছিলাম আর সাথে মনে মনে বলছিলাম কোন নিয়ত নেই এটা বললাম নাকি নিয়ত আছে এইটা বললাম ,এটা নিয়ে কনফিউশান হয়ে যাই।আমার কাছে মনে হচ্ছে মনে মনে বলেছিলাম নিয়ত নেই। ওয়াসওয়াসার কারনে কনফিউশান হচ্ছে। প্রথমত আমি স্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলিইনি ,আমি কথাটা বলেছি মামাকে এবং তার শ্যালক কে উদ্দেশ্য করে , আর দ্বিদ্বিতীয়ত  বলার সময় ও আমার কোন বাজে নিয়ত ছিলোনা। পরে মনে মনে কি বললাম সেটা নিয়েই কনফিউশান । আমার বেশীরভাগ মনে হচ্ছে নিয়ত নেই সেটাই বলেছি। এর দারা কোন সমস্যা হবে কি?

২) শয়তান মনেরমধ্যে সাধারণ কথায় তা***  নিয়ত নিয়ে অতিরিক্ত ধোকা দেয়। যার জন্য আমি বলি

" আমার স্ত্রীকে  রাখার নিয়ত আছে "

মানে হচ্ছে স্ত্রীকে ছাড়ার কোন নিয়ত নেই।

তারপর বলি "এগুলো শয়তানের নিয়ত আমার কোন নিয়ত নেই"।
এসব বলার জন্য কোন সমস্যা হবে কিনা।

( আমি একজন ওয়াসওয়াসার রোগী এরকম অনেক ফতুয়া দেয়া হয়েছে আমাকে। ডাক্তার ও দেখিয়েছি। মেডিসিন খেলে একটু ঠিক থাকি ।মেডিসিন নিয়মিত না খেলে আগের মত অনেক সমস্যা হয়)

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” ثَلَاثٌ جِدُّهُنَّ جِدٌّ وَهَزْلُهُنَّ جِدٌّ: الطَّلَاقُ، وَالنِّكَاحُ، وَالرَّجْعَةُ “

হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেন, তিনি বিষয় এমন যে, ইচ্ছেকৃত করলে ইচ্ছেকৃত এবং ঠাট্টা করে করলেও ইচ্ছেকৃত বলে ধর্তব্য হয়। তা হল, তালাক, বিবাহ এবং তালাকে রেজয়ীপ্রাপ্তা স্ত্রীকে ফিরিয়ে নিয়ে আসা। {সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৩৯, সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-২১৯৪}

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
(০১)
এখানে আপনি স্ত্রীকে তালাক দেয়ার মতো কোনো বাক্যই বলেননি।

তাই এক্ষেত্রে কোনোভাবেই তালাক হবেনা।

(০২)
এসব বলার জন্য কোনো সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...