আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
171 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আমার ৯ ই মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ব্লাত গিয়েছিলো। এখন আবার ১ এপ্রিল থেকে ব্লাড যাচ্ছে।  ব্লাড দেখা যায় নি ২ ঘন্টার জন্য। সাদা স্রাব এর সাথে হালকা লাল লাল ব্লাড দেখা যাচ্ছে।  আবার সাদা স্রাব।  এমন করে অনেক বার হয়েছে।  আমি কি এটার জন্য ডাক্তার এর পরামর্শ অনুযায়ী নরমেন্স ঔষধ খেতে পারবো..? আমি অবিবাহিত।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


শরীয়তের বিধান অনুযায়ী তুহর তথা দুই হায়েজের মাঝে পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা পনেরো দিন।
এই পনেরো দিনের মধ্যে কোনো রক্ত আসলে সেটি হায়েজ নয়,বরং সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা।
এই সময়ে নামাজ রোযা আদায় করতে হবে।    

হজরত হান্নাদ [রহ] আম্মাজান আয়েশা [রা]-এর হাদিস বর্ণনা করেছেন যে, ফাতিমা বিনতে হুবাইশ নামক এক নারী একবার রাসুল [সা]-এর সমীপে এসে বললো, হে আল্লাহর রাসুল, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মেয়ে। আমি তো পাক হই না। তাই আমি কি নামাজ পড়া ছেড়ে দেবো? রাসুল [সা] বললেন, না, কারণ এ রক্ত হায়েযের নয়; বরং এ হলো শিরা থেকে বেরিয়ে আসা রক্ত। সুতরাং যখন তোমার হায়েযের নির্ধারিত দিনগুলি আসে তখন সে দিনগুলি নামাজ ছেড়ে দেবে। আর হায়েযের দিন চলে গেলে তোমার রক্ত ধুয়ে নেবে এবং নামাজ আদায় করবে। [তিরমিজি, হাদিস-১২৫]
     
لما قال الحصکفیؒ: واقل الطہر بین الحیضتین او النفاس والحیض خمسۃ عشر یومًا ولیالیھا اجماعًا۔ (الدرالمختارعلی صدر ردّالمحتار:ج؍۱،ص؍۲۸۵، باب الحیض)
সারমর্মঃ দুই হায়েজ বা নিফাস ও হায়েজের মধ্যে   
পবিত্রতার সর্বনিম্ন সীমা সর্বসম্মতিক্রমে পনেরো দিন পনেরো রাত।

আরো জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
হায়েজের সর্বোচ্চ সময়সীমা হলো ১০ দিন আর উভয় হায়জের মাঝে পবিত্রতা কমপক্ষে ১৫ দিন অবশ্যই থাকে।

এই হিসাবে  ৯ ই মার্চ থেকে ১৮ মার্চ আপনার হায়েজ ছিলো।
১৯ মার্চ থেকে আপনার পবিত্রতা শুরু।
সেই হিসেবে ২ এপ্রিল আপনার পবিত্রতার ১৫ দিন পূর্ণ হবে।

এক্ষেত্রে আপনার যেহেতু ১ এপ্রিল থেকে ব্লাড যাচ্ছে,তাই ১ ও ২ তারিখ আপনি ইস্তেজাহা ধরে নামাজ রোযা বন্ধ রাখবেন,আর ৩ তারিখ থেকে যদি ৫ তারিখ অর্থাৎ সর্বনিম্ন তিন দিন তিন রাত ব্লাড আসে,সেক্ষেত্রে ৩ তারিখ থেকে হায়েজ ধরতে হবে। 

আপনি ডাক্তারের পরামর্শ মোতাবেক ঔষধ খেতে পারবেন। তবে এক্ষেত্রে ঔষধ খাওয়ার দরুন শরীরের যেনো কোনো ক্ষতি না হয়,সেদিকে সজাগ থাকবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 111 views
...