ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
তাফসীরে জ্বালালাইনে বলা হয়,
ﺃَﻭْ اﻟﻄِّﻔْﻞ} ﺑِﻤَﻌْﻨَﻰ اﻷَْﻃْﻔَﺎﻝ {اﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻟَﻢْ ﻳَﻈْﻬَﺮُﻭا} ﻳَﻄَّﻠِﻌُﻮا {ﻋَﻠَﻰ ﻋَﻮْﺭَاﺕ اﻟﻨِّﺴَﺎء} ﻟِﻠْﺠِﻤَﺎﻉِ ﻓَﻴَﺠُﻮﺯ ﺃَﻥْ ﻳُﺒْﺪِﻳﻦَ ﻟَﻬُﻢْ ﻣَﺎ ﻋَﺪَا ﻣَﺎ ﺑَﻴْﻦ اﻟﺴُّﺮَّﺓ ﻭَاﻟﺮُّﻛْﺒَﺔ
যে সমস্ত বালকরা নাবালক,এবং স্ত্রী সহবাস সম্পর্কে জ্ঞাত নয়,তাদের সামনে হাটু থেকে নাভী পর্যন্ত ব্যতীত শরীরের অন্যান্য অঙ্গ প্রকাশ করা নাজায়েয নয়।তবে যারা নাবালক হওয়া সত্ত্বেও স্ত্রী সহবাস বুঝে,তারা সাবালক পুরুষেরই মত।সাবালক পুরুষের সামনে যেভাবে পর্দা করতে হয়,ঠিক তেমনি তাদের সামনেও পর্দা করতে হবে।
যেহেতু সাধারণ প্রাপ্তবয়স্ক নারী-পুরুষের মধ্যেই ফিতনা সংগঠিত হয়ে থাকে।তাই শরীয়ত বালিগ ও বালিগা পুরুষ-নারীর জন্য পর্দার বিধান আরোপ করা হয়েছে।যেহেতু ফিতনাই মূল বিবেচ্য বিষয়,তাই মুরাহিক/মুরাহিকা তথা এমন বালক/বালিকা যে,এখনও বালিগ হয়নি,তার সামনেও পর্দা করা ফরয হয়ে যায়।
প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
বর্তমান ইন্টারনেট যুগে ৭/৮ বৎসরের উপনিত বালকের সামনেও পর্দা করতে হবে।