ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم نَهَى عَنْ كُلِّ ذِي نَابٍ مِنَ السِّبَاعِ وَعَنْ كُلِّ ذِي مِخْلَبٍ مِنَ الطَّيْرِ
ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সকল প্রকার হিংস্র পশু এবং নখর ধারী পাখি (খেতে) নিষেধ করেছেন।”
(সহীহ মুসলিম, অধ্যায়: ৩৫)
وفي “الدر المختار” مع “رد المحتار” 577:1، ط:
( وخرء ) كل طير لا يذرق في الهواء كبط أهلي (ودجاج ) أما ما يذرق فيه ، فإن مأكولا فطاهر وإلا فمخفف. وقال ابن عابدين رح تحت قوله: ( قوله : فإن مأكولا ) كحمام وعصفور .اهـ.
ঐ সমস্ত পাখি যা আকাশে উড়ে, সেগুলোর গোশত ভক্ষণ যদি হালাল হয়, তাহলে সেই সমস্ত পাখির বিষ্টা পবিত্র।আর যেই সমস্ত পাখি হালাল নয়, সেগুলোর বিষ্টা নাজাসতে খাফিফা। (রদ্দুল মুহতার-১/৫৭৭)
(আহসানুল ফাতাওয়া ২/৮৪,ফাতাওয়া দারুল উলূম-১/৩২২)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সামান্য পাখির বিষ্টার কারণে আপনার নামাযে কোনো সমস্যা হবে না।
(২)
যেহেতু আপনি তাহাররি তথা গভীর চিন্তাভাবনা করে সাহু সিজদার সাথে নামাজকে সমাপ্ত করেছেন, তাই আপনার নামায হয়েছে।
(৩)
গলার ভিতর পানি যেহেতু যায়নি, তাই রোযাতে কোনো সমস্যা হবে না।তবে রোযা অবস্থায় এভাবে নাকের গভীরে পানি প্রবেশ করাবেন না।কেননা রোযা অবস্থায় এটা সুন্নত নয়।
(৪)
যদি বিছানা বা সোফা শুকনো থাকে, তাতে প্রস্রাব থাকলেও আপনার কাপড় নাপাক হবে না।
(৫)
ছোট বাচ্চার প্রসাব পায়খানার কাপড় কে যদি তিনবার নিংড়িয়ে ধৌত করে রশিতে বা তারে শুকাতে দেয়া হয়, তাহলে সেই দড়ি বা তারে আপনার পাক কাপড় শুকাতে দিতে পারবেন। নতুবা পারবেন না।
(৬)
আপনি পায়জামা না পরিধান করে বরং মেক্সি জাতীয় কোনো কাপড় পরিধান করে নামায পড়বেন।
(৭)
জ্বী, উক্ত ভাতিজাকে যাকাতের টাকা দেওয়া যাবে।