আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
241 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (2 points)
১)বিবাহের ওযীফা (মাহে রমযানে করণীয়)


রমযানের ১২তম রাতে (অর্থাৎ ১১ই রমযানের দিবাগত রাত) ইশার নামাযের পর দু'রাকাত করে ১২ রাকাত নফল নামায এভাবে আদায় করুন, প্রত্যেক রাকাতে সূরা ফাতিহার পর ১বার সূরা ইখলাস পাঠ করুন। ১২ রাকাত নামায আদায়ের পর ১০০বার দরূদ শরীফ পাঠ করুন। অতঃপর সেই নফল নামায ও দরূদ শরীফের সাওয়াব প্রিয় নবী'র দরবারে ইসালে সাওয়াব করুন এবং আল্লাহ তা'য়ালার দরবারে প্রিয় নবী কে উসিলা করে


বিনয়ের সাথে কান্নারত অবস্থায় আনুমানিক ১২মিনিট নিজের জন্য, নিজ বোনের জন্য অথবা মেয়ের জন্য সৎ, সচ্ছল ও পুণ্যবান পাত্রের জন্য দোয়া করুন। পরবর্তী রমযানের পূর্বেই আশা পূরণ হয়ে যাবে।


(মাদানী সুধাকারা, এই রমযান ১৪৩৬ হিঃ, ২৬ জুন ২০১৫)

এক জায়গায় সূরা ফীল আর এক জায়গায় সূরা কুরাইশ কোনটা সঠিক জানাবেন শায়খ?

এই আমল সহীহ কি না?করা যাবে কি না?


২)ইস্তিঞ্জার পরে লজ্জাস্থানে যে পানি লেগে থাকে তা পায়জামায় লাগলে কি নাপাক? শরীর তো ভিজা থাকে?ভিজা অংশ নাপাক?

৩) নামাজে রূকূ সিজদার সময় পায়জামা ভিতরে ঢুকে যায় এতে কি অযু থাকে?

৪) রুকু বা সিজদায় প্রথম রাকাতে তাসবিহ ৩বার পড়ে পরের রাকাতে ৫বার পড়া যাবে?

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَبْدُ اللهِ بْنُ يُوْسُفَ أَخْبَرَنَا مَالِكٌ عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِيْ صَعْصَعَةَ عَنْ أَبِيْهِ عَنْ أَبِيْ سَعِيْدٍ الْخُدْرِيِّ أَنَّ رَجُلًا سَمِعَ رَجُلًا يَقْرَأُ (قُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ) يُرَدِّدُهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى رَسُوْلِ اللهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ وَكَأَنَّ الرَّجُلَ يَتَقَالُّهَا فَقَالَ رَسُوْلُ اللهِ صلى الله عليه وسلم وَالَّذِيْ نَفْسِيْ بِيَدِهِ إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ

আবূ সা‘ঈদ খুদরী (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ব্যক্তি আরেক ব্যক্তিকে ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ পড়তে শুনলেন। সে বার বার তা মুখে উচ্চারণ করছিল। পরদিন সকালে তিনি রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে এসে এ ব্যাপারে বললেন। যেন ঐ ব্যক্তি তাকে কম মনে করলেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সেই সত্তার কসম, যাঁর হাতে আমার জীবন। এ সূরাহ হচ্ছে সমগ্র কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান। [বুখারী শরীফ ৫০১৩.৬৬৪৩, ৭৩৭৪] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৪৫)

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يُوسُفَ، أَخْبَرَنَا مَالِكٌ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَنَّ رَجُلاً، سَمِعَ رَجُلاً، يَقْرَأُ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ) يُرَدِّدُهَا فَلَمَّا أَصْبَحَ جَاءَ إِلَى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَذَكَرَ ذَلِكَ لَهُ وَكَأَنَّ الرَّجُلَ يَتَقَالُّهَا فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ إِنَّهَا لَتَعْدِلُ ثُلُثَ الْقُرْآنِ ". وَزَادَ أَبُو مَعْمَرٍ حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ جَعْفَرٍ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ أَبِي صَعْصَعَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، أَخْبَرَنِي أَخِي، قَتَادَةُ بْنُ النُّعْمَانِ أَنَّ رَجُلاً، قَامَ فِي زَمَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم يَقْرَأُ مِنَ السَّحَرِ (قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ) لاَ يَزِيدُ عَلَيْهَا، فَلَمَّا أَصْبَحْنَا أَتَى رَجُلٌ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم نَحْوَهُ.

আবদুল্লাহ ইবনু ইউসুফ (রহঃ) ... আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, এক ব্যাক্তি অন্য আরেক ব্যাক্তিকে ‘কুল হুআল্লাহু আহাদ’ পড়তে শুনলেন। সে বার বার তা মুখে উচ্চারন করছিল। (তিনি মনে করলেন এভাবে বারাবার পাঠ করা যথেষ্ট নয়) পরদিন সকালে তিনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে এসে এ সম্পর্কে বললেন। তখন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, সে সত্তার কসম, যার হাতে আমার জীবন। এ সূরা হচ্ছে সমগ্র কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) বললেনঃ আমার ভাই- কাতাদা ইবনু নুমান আমাকে বলেছেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সময় এক ব্যাক্তি শেষ রাতে সালাতে শুধুমাত্র “কুল হুআল্লাহু আহাদ” ছাড়া আর কোনো সূরাই তিলাওয়াত করেন নি। পরদিন সকালে কোন এক ব্যাক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কাছে আসলেন। বাকী অংশ পূর্বের হাদীসের অনুরূপ।
(বুখারী ৪৬৪৫)

فتاوی ہندیہ :
"ويكره تكرار السورة في ركعة واحدة في الفرائض ولا بأس بذلك في التطوع كذا في فتاوى قاضي خان وإذا كرر آية واحدة مرارا فإن كان في التطوع الذي يصلي وحده فذلك غير مكروه وإن كان في الصلاة المفروضة فهو مكروه في حالة الاختيار وأما في حالة العذر والنسيان فلا بأس. هكذا في المحيط."
( كتاب الصلاة، الباب السابع فيما يفسد الصلاة وما يكره فيها، الفصل الثاني فيما يكره في الصلاة وما لا يكره، ١ / ١٠٧، ط: دار الفكر)
সারমর্মঃ-
ফরজ নামাজের একই রাকাতে একই সুরা বারবার পড়া মাকরুহ,তবে নফল নামাজে এটি মাকরুহ নয়।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
উক্ত আমলটি বুযুর্গানে দ্বীনের বলে দেয়া আমল।  সুন্নাত ও আবশ্যকীয় মনে না করে ও দিন তারিখ নির্দিষ্ট না করে এই আমল করার অবকাশ আছে,সেক্ষেত্রে এটি বিদআত হবেনা।

প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সুরা ফিল না অন্য সুরা হবে,তাহা সংশ্লিষ্ট কাহারো থেকে জেনে নিবেন।

আরো জানুনঃ- 

(০২)
ইস্তিঞ্জার পরে লজ্জাস্থান ধোয়ার পর লজ্জাস্থানে যে পানি লেগে থাকে তা পায়জামায় লাগলে নাপাক হয়না।
সুতরাং ভেজা অংশ নাপাক নয়।

(০৩)
এতে অযু ভেঙ্গে যায়না।

(০৪)
হ্যাঁ,এভাবে পড়া যাবে,এতে কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...