ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যাকাত শুধুমাত্র মালে নামী তথা ক্রমবর্ধমান মালের উপর ওয়াজিব হয়।
মালে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়তে থাকে,সেগুলো সর্বমোট চার প্রকার,(১)সোনা(২)রুপা(৩)ব্যবসার মাল(৪)গবাদি পশু
এগোলো কে যেহেতু শরীয়ত বাড়ন্ত মাল বলে আখ্যা দিয়েছে,সুতরাং এগুলো বাড়ন্ত মাল।বাস্তবে সবগুলো বাড়ুক বা নাই বাড়ুক।
মালে গায়রে নামী বলতে যে মাল শরীয়তের দৃষ্টিতে বাড়ে না।উপরোক্ত মাল ব্যতীত সবগুলোই অবাড়ন্ত।যেমন-স্থাবর সম্পত্তি এবং নিজ প্রয়োজনে ক্ররিদকৃত গাড়ী আসবাবপত্র ইত্যাদি।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
আপনার সোনার গহনা আছে, যেটার মূল্য ৩০-৪০ হাজার টাকার মতো হতে পারে। তারপর আপনি বলেছেন যে, একবছর হয়নি এমন কিছু গহনা আছে যেটার মূল্য ১৫০০০ এর মতো হবে। এটা কিসের গহনা সেটা আপনি উল্লেখ করেননি!সুতরাং বলা যায় যে, আপনার প্রশ্নটি অস্পষ্ট।
আপনার যেহেতু নেসাব পরিমাণ সম্পদ হয়নি, অর্থাৎ ৭.৫ ভড়ি স্বর্ণ বা ৫২.৫ ভড়ি রুপ্য আপনার নেই,তাই যাকাত ফরয হবে না। হ্যা, গায়রে নামী মাল, যেমন- জমি,অতিরিক্ত বাড়ী, অতিরিক্ত ফার্ণিচার, এগুলো
যদি ৫২.৫ ভড়ি পরিমাণ আপনার না থাকে, তাহলে আপনাকে ফিতরাও দিতে হবে না।
(২)
আপনার আম্মুর যাকাত ফরয হবে না।
(৩)
একজন উপার্জন সক্ষম পুরুষের ৫২.৫ ভড়ি রূপার সমপরিমাণ মূল্য থাকলে থাকলে, এবং এক বৎসর পর্যন্ত তার হাতে থাকলে তার উপর যাকাত ওয়াজিব হবে। যাকাত ৪০ ভাগের ১ ভাগ তথা ২.৫% হারে দিতে হয়।
(৪)
জমির উপর যাকাত আসে না।বরং জমিন হতে উৎপাদিত ফসলের ১০ভাগের একভাগ বা ২০ ভাগের ১ভাগ উশর দিতে হয়।
(৫)
জ্বী, এটা অবশ্যই ঠিক যে, আলেম হচ্ছেন তিনি যিনি আল্লাহকে ভয় করেন। একজন আলেমের উচিৎ,তিনি সর্বদা আজিমতের উপর আমল করবেন।
(৬)
আপনার অচিরেই বিয়ে হবে, এবং পারিবারিক জীবনে আপনার শান্তি আসবে,বরকত হবে।
(৭)
এই স্বপ্নটা আপনার মনের কল্পনা মাত্র।
(৮)
জ্বী, আলেম সাহেব সর্বদা আজিমতের উপরই আমল করবেন।
(৯)
রোযা রেখে মুখে সানস্ক্রিন দিলে সেই সানস্ক্রিনের এত ঘ্রাণ যে তা নাকের ভেতর প্রবেশ করলে রোযা নষ্ট হবে না।
وكذا اذا دخل الدخان أو الغبار أو ريح العطر أو الذباب حلقه، لا يفسد صومه، (فتاوى قاضى خان، كتاب الصوم، الفصلا الخامس فيما لا يفسد الصوم-1/208)