আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
114 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (38 points)
আমার সাধারণত সাদা স্রাব জনিত সমস্যা আছে আজকে এশার সালাতের সময় চার রাকাত সুন্নত সালাত পড়ার পরে আমি চেক করি যে আমার  স্রাব   হয়েছে কিনা আমি দেখতে পাই আমার  স্রাব নির্গত  হয়ে গিয়েছে এই ক্ষেত্রে এই ওয়াক্তের জন্য কি আমি মায়ূর হিসেবে গণ্য হব।
আমি একজন মেয়ে আমার বাবার উপার্জন হালাল নয় আমি আল্লাহর কাছে ওয়াদা করেছিলাম আমার বাবার টাকা ছাড়া অন্য কারোর হারাম উপার্জন আমি ভোগ করবো না । অনেক সময় দেখা যায় এরকম অনেক খাবার  আসে আসলে সেটা হালাল টাকার না হারাম টাকার আমি জানিনা। এ ক্ষেত্রে সেই খাবার কি আমি ভোগ করতে পারবো। নাকি সতর্কতা বসতো বর্জন করব।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
লিকুরিয়া রোগ যা মহিলাদের জরায়ুতে হয়।
যার অর্থ হল জরায়ু থেকে সাদাস্রাব নির্গত হওয়া।
সাদাস্রাব নাপাক।যা নির্গত হলে অজু চলে যায়।কাপড়ের যে অংশে লাগবে সেটুকু ধৌত করতে হবে।তা নাজাসতে গলিজা।এক দিরহামের বেশী হলে নামায হবে না।

এই সাদাস্রাব নির্গত হওয়া দুই প্রকার।
ক/
সাদাস্রাব মাঝেমধ্যে নির্গত হয়।অর্থাৎ হঠাৎ জরায়ুতে চলে আসে।
এমতাবস্থায় যদি হঠাৎ নামাযের মধ্যে বা নামাযের পূর্বে নির্গত হয়, তখন কাপড় পাল্টিয়ে লজ্জাস্থান ধৌত করা পূর্বক নতুন করে পবিত্রতা অর্জন করতে হবে।তারপর পূনরায় নামায পড়তে হবে।

খ/
যদি কোনো এক নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে।যেমন মাগরিবের নামাযের পূর্ণ ওয়াক্ত তথা ১ঘন্টা ৩০মিনিট ধারাবাহিক সাদাস্রাব নির্গত হতে থাকে। তাহলে এমতাবস্থায় উনাকে মা'যুর গণ্য করে মা'যুরের হুকুম উনার উপর আরোপ করা হবে।এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/50

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এমনিতেই মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন না।বরং আপনি যদি একটি পূর্ণ নামাযের ওয়াক্ত ব্যাপি অযু ভঙ্গ বা সাদাস্রাব নির্গত হওয়া ব্যতিত নামায পড়তে সক্ষম না হন, তাহলে তখনই কেবল আপনি মা'যুর হিসেবে গণ্য হবেন। অন্যথায় আপনাকে প্রয়োজনে বারংবার অজু করে নামায পড়ার চেষ্টা করতে হবে।

(২)
সতর্কতামূলক আপনি অন্য কারো খাবার গ্রহণ না করতে পারেন। তাছাড়া কারো মাল সম্পর্কে আপনার সন্দেহ হলে, আপনি যদি মাল থেকে কিছু গ্রহণ করে নেন, তাহলে সেই মালের সমপরিমাণ টাকা সদকাহ করে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...