শরীয়তের বিধান মতে সিজদায়ে শোকর,সিজদায়ে তেলাওয়াত, নামাজ, সকল বিধান একই।
অর্থাৎ অপবিত্র অবস্থায় অথবা অযু বিহিন জায়েজ নেই।
কেহ যদি এমনটি করে,তাহলে সে গুনাহগার হবে।
কেহ যদি দ্বীনের প্রতি ইহানত,তিরস্কার,ঘৃণা দেখানোর জন্য অযু ছাড়া সেজদা করে,তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو عَوَانَةَ، عَنْ سِمَاكِ بْنِ حَرْبٍ، ح وَحَدَّثَنَا هَنَّادٌ، حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ إِسْرَائِيلَ، عَنْ سِمَاكٍ، عَنْ مُصْعَبِ بْنِ سَعْدٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " لاَ تُقْبَلُ صَلاَةٌ بِغَيْرِ طُهُورٍ وَلاَ صَدَقَةٌ مِنْ غُلُولٍ " . قَالَ هَنَّادٌ فِي حَدِيثِهِ " إِلاَّ بِطُهُورٍ " . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا الْحَدِيثُ أَصَحُّ شَيْءٍ فِي هَذَا الْبَابِ وَأَحْسَنُ
ইবনু উমর (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ পবিত্রতা ছাড়া নামায কবুল হয় না। আর হারাম উপায়ে প্রাপ্ত মালের সাদকাও কুবুল হয় না। হান্নাদ 'বিগাইরি তুহুর' এর স্থলে ইল্লা বিতুহূর’ উল্লেখ করেছেন। —সহীহ। ইবনু মাজাহ– (২৭২) তিরমিজি ০১)
আবু ঈসা বলেন, এই অনুচ্ছেদে এ হাদীসটিই সবচাইতে সহীহ এবং উত্তম।
★তবে কিছু ইসলামী স্কলারদের মতে সেজদায়ে শোকর, সেজদার আয়াত তেলাওয়াত করে সেজদা দেয়ার জন্য ত্বাহারাত বা পবিত্রতা শর্ত নয়। সুতরাং ওযু না থাকলেও সিজদায়ে শোকর সিজাদায়ে তেলাওয়াত দেয়া জায়েয রয়েছে।
,
তাদের মতানুসারী গন সেই মত অনুযায়ী আমল করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।
,
★সিজদায়ে শোকরের জন্য অযু করা এবং সতর ঠিক রাখা জরূরী।
এ সংক্রান্ত আরো জানুনঃ
,
সতর সংক্রান্ত জানুন
অজু না থাকা অবস্থায় বা পিরিয়ড চলা কালে। সিজদার আয়াত শুনলে সিজদা দেয়া যাবেনা। এক্ষেত্রে সেজদাহ দেয়া আবশ্যকই হবেনা।
তিলওয়াতের সিজদা দেয়ার জন্য কিবলামুখী হওয়া প্রয়োজন, নামাজের মত সতর ঢাকাও প্রয়োজন।
الھندیہ: (الفصل الرابع فی احکام الحیض، 92/1)
وفی الصغریٰ:الحائض اذا سمعت آیت السجدہ لا سجدہ علیھا۔کذا فی التاتارخانیہ۔