আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
189 views
in সাওম (Fasting) by (2 points)
(এক পরিচিতার হয়ে করা প্রশ্ন)

আমার কয়েক মাস যাবত ইস্তিহাযার প্রব্লেম রয়েছে।এর জন্য ঔষুধ খাওয়া শুরু করেছি।এখন মার্চের 10 তারিখে হায়েজ নয়তো ইস্তিহাযা ছিলো (মেডিসিন গ্যাপ দেয়ার জন্য)আমার খেয়াল নেই ।মেডিসিন খেলেই 1দিনের মধ্যেই ব্লাড অফ হয় ।আমার কাউন্ট করা নেই কবে অফ হয়েছে ।সর্বোচ্চ 15 তারিখ ধরলাম ওইদিন আমি পুরোপুরি ভালো। তো 25 তারিখ পর্যন্ত মেডিসিন নেওয়ার কথা ছিল কিন্তু মেডিসিন গ্যাপ যাওয়ায় আর 15 দিনের গ্যাপ রাখার জন্য(যেহেতু প্রতি হায়েজের মাঝে ১৫ দিন গ্যাপ থাকা লাগে)এখনও মেডিসিন নিচ্ছি।এখন প্রশ্ন                     
১)আমি যে মেডিসিন নিয়ে অফ রেখে রোজা করেছি এর জন্য কি গুনাহ হবে?

২)আমার ইস্তিহাযার সমস্যা অনেক দিন ধরে,আগে অল্প সমস্যা থাকায় বুঝি নি এটা যে ইস্তিহাযা তাই আমার হায়েজের সম্ভাব্য তারিখ জানা নেই।আর যখন স্বাভাবিক ছিলো তখনও তারিখ ঠিক থাকতো না।একেক মাসে একেক সময় হতো।আর স্বাভাবিক থাকা অবস্থায় আমার ৭ দিন পর্যন্ত হায়েজ থাকতো।তো এখনো কি আমি ৭ দিন পর্যন্তই হায়েজ ধরবো?আর আমার একদিন ঔষুধ মিস গিয়েছে,এখন খাওয়া অফ আছে তাই আবার ব্লিডিং হতে পারে তো ব্লিডিং দেখা দিলে কি হায়েজ ধরে ৭টা রোজা ভাঙবো?
                                                    
৩)যদি 30 তারিখের পর মেডিসিন অফ রাখার জন্য ব্লিডিং হয় ইফতারের আগেই তবে কি রোজা ভেঙে ফেলবো?নাকি রোজা কন্টিনিউ করে আবার কাজা করে নিবো?জা

~জাঝাকাল্লাহু খইর

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


https://ifatwa.info/35487/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
ঔষধ খেয়ে মাসিক বন্ধ করে রোযা রাখলে রোযা হয়ে যাবে।  তবে মেয়েদের স্বাভাবিক অবস্থার বিরুদ্ধে এ নিয়মে শরীরের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। তাই ট্যাবলেট না খাওয়াই উত্তম। 

যদি কোন মহিলা রমজান আসার আগেই এবং হায়েজ শুরু হওয়ার আগে ওষুধ খেয়ে তা বন্ধ করে দেয়, তাহলে তার জন্য রোযা রাখতে হবে। কারণ, এতে করে তার উপর রোযা না রাখার কোন কারণ বিদ্যমান থাকছে না। তাই তার জন্য রোযা রাখা আবশ্যক হবে।
কিন্তু যদি রমজান চলে আসে, আর রক্ত জারি হয়ে যাওয়ার পর ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে দেয়, তাহলে হায়েজের সর্বনিম্ন সীমা কমপক্ষে ৩ দিন পর্যন্ত রোযা রাখতে পারবে না। এর পর থেকে রোযা রাখা আবশ্যক। যেহেতু হায়েজ শুরু হয়ে গিয়েছিল। আর হায়েজ শুরু হলে এর সর্বনিম্ন সময়সীমা হল তিন দিন। তাই হায়েজ শুরু হতেই ওষুধ খেয়ে বন্ধ করে ফেললেও ধরা হবে হায়েজ জারী আছে তিনদিন পর্যন্ত। তিন দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলে হায়েজ বন্ধ হয়ে গেছে হিসেবে রোযা রাখা আবশ্যক।  {কিতাবুল ফাতওয়া-৩/৪০৫}

‘হায়েজা মহিলার জন্য উত্তম হলো নিজের স্বাভাবিক অবস্থার ওপর থাকা। আল্লাহ তাআলা তার ওপর যে ফয়সালা করেছেন, তার ওপর সন্তুষ্ট থাকা। এমন কিছু ব্যবহার না করা, যার দ্বারা রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। বরং হায়েজ অবস্থায় রোজা ছেড়ে দেয়া। অতঃপর রোজাগুলোর কাজা আদায় করে নেয়া। কেননা, উম্মুল মুমিনিন ও আকাবির মহিলারা এমনটিই করেছেন। আর যদি ওষুধ দিয়ে রক্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়, তাহলেও রোজা হয়ে যাবে।’(আপকে মাসায়েল : খণ্ড ৩, পৃ. ২০৭)

وفی الفقہ علی المذاھب الاربعہ:
لا یجوز للمرأۃ أن تمنع حیضاً أو تستعجل إنزالہ إذا کان یضر صحتہا؛ لأن المحافظۃ علی الصحۃ واجبۃٌ۔
(کتاب الطھارۃ، ج: 1، ص: 124)
সারমর্মঃ
মহিলাদের উপর জায়েজ নেই,তাদের হায়েজ বন্ধ রাখা।
যখন এটি তাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর হয়।
কেননা শরীর হেফাজত করা ওয়াজিব। 

قال في الإنصاف: يجوز شرب دواء مباح لقطع الحيض مطلقاً، مع أمن الضرر، على الصحيح من المذهب
সারমর্মঃ
হায়েজ বন্ধ করার জন্য ঔষধ খাওয়া সাধারণত  জায়েজ,তবে ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকতে হবে।

আরো জানতে উক্ত লিংক দ্রষ্টব্য।
,
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে হায়েজ বন্ধের ঔষধ খেলে আপনার স্বাস্থের জন্য যদি কোনো ক্ষতিকর না হয়,তাহলে আপনি হায়েজ বন্ধ হওয়ার ঔষধ খেতে পারবেন।
তবে না খাওয়াই ভালো। 

এক্ষেত্রে ঔষধ খেলে উপরোক্ত ফতোয়ার কিতাবের ফতোয়া ফলো করতে হবে।      

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
(০১)
যে মেডিসিন নিয়ে অফ রেখে রোজা করেছেন, এর জন্য গুনাহ হবেনা।
তবে মেডিসিন নেয়ার দরুন আপনার শরীরের যেনো ক্ষতি না হয়,সেদিক থেকে সতর্ক থাকবেন।

(০২)
৭ দিনের মাথায় ব্লিডিং বন্ধ হয়ে ১০ দিনের মধ্যে যদি আবারো ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে পুরো ১০ দিনকেই হায়েজ হিসেবে ধরবেন।

১০ দিনের পর থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আবারো ব্লিডিং  হলে সেটিকে ইস্তেহাজা ধরবেন।

প্রশ্নে উল্লেখিত ৭ দিনের মাথায় ব্লিডিং বন্ধ হয়ে ১০ দিনের মধ্যে যদি আর ব্লিডিং না হয়,সেক্ষেত্রে ৭ দিন হায়েজ হিসেবে ধরবেন।

১০ দিনের পর থেকে ১৫ দিনের মধ্যে আবারো ব্লিডিং  হলে সেটিকে ইস্তেহাজা ধরবেন।

(০৩)
ইফতারের সময়ের আগেই যদি ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে এটি যদি আপনার হায়েজ আসার ১০ দিনের মধ্যেই হয়ে থাকে,সেক্ষেত্রে এই রোযা ভেঙ্গে যাবে।
পরবর্তীতে এই রোযার কাজা আদায় করতে হবে।

তবে আপনি এ দিন রোযা ভেঙ্গে ফেলবেননা।

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যদি ইফতারের সময়ের আগেই ব্লিডিং হয়,সেক্ষেত্রে এটি যদি আপনার হায়েজ আসার ১০ দিনের পরবর্তী ১৫ দিনের মধ্যে হয়,সেক্ষেত্রে এই রোযা ভেঙ্গে যাবেনা।
কেননা এটি ইস্তেহাজা, তাই এতে রোযার সমস্যা হবেনা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 185 views
0 votes
1 answer 202 views
...