আসসালমুআলাইকুম হুজুর। আমি একজন মারাক্তক ওয়াসওয়াসা রুগী ও মানসিক রুগী । আমি মানসিক ডাক্তার এর ওষধ খাচ্ছি। কিছু বিষয় নিয়ে খুব চিন্তা হচ্ছে।
১. হুলি বা রং খেলা যেটা সেটা যদি বন্ধু দের সঙ্গে মিলে খেলা জাই, না জেনে না বুঝে এমনি আনন্দ করার জন্য খেলে , শুধু মাত্র এমনি আনন্দ করার জন্য খেলে , যেদিন থেকে ইসলামিক জ্ঞান হয়েছে তার পর আর এইসব করিনি। তবে কি ঈমান চলে যাবে সে না জেনে না বুঝে খেলেছে আল্লাহ কসম দ্বীনের জ্ঞান না থাকার কারণে খেলেছে। হুজুর ঈমান থাকবে তো?
২. এমনি একটা গানের লাইন বলছি, " জয় দুর্গা ঠাকুর ধনকুনাকুর তুই তো সবার মা তুই কোন লেভেলের কোন খিলাড়ি কেউ তো জানে না। কেউ যদি কোনো কিছু না ভেবে সাধারণ ভেবে মজা করে এই গানটা করে তাহলে কি তার ঈমান চলে যাবে?? আল্লাহ কসম নরমালি এই গান টা আগে একবার করেছিলাম, না জেনে না বুঝে গান টা করেছি । দ্বীনের জ্ঞান হওয়ার পর ভয় হচ্ছে ঈমান চলে যাবে বলে, হুজুর আল্লাহ কসম কোনো কিছু না ভেবে এমনি গান করেছিলো। হুজুর ঈমান চলে যাবে না তো??
৩.আমি জানি আল্লাহ কসম ছাড়া আর কোনো কসম কাটা যায়না। আজ কি ভাবতে ভাবতে মনে মনে একদম মনে মনে বলা হয়ে গিয়েছে রাসূল এর কসম । মুখে উচ্চরণ করিনি । আল্লাহ কসম মুখে উচ্চরণ করিনি এমনি মনে মনে হয়ে গিয়েছে। পুরো ভুল করে মনে মনে হয়ে গিয়েছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৪. হুজুর স্ত্রীর বুকে মাথা দিয়ে শুয়ে আছি , মনে হচ্ছে এই সেজদা হয়ে গেলো নাকি , সঙ্গে সঙ্গে উঠে পড়ছি। আবার আদর করে স্ত্রীর কোলে মাথা দিচ্ছি এত ভয় লাগছে মনে হচ্ছে সেজদা হয়ে যাবে নাকি বা হয়ে গেলো নাকি? আস্তাগিরুল্লাহ , ওয়াসওয়াসা জন্য এমন মনে হচ্ছে , আসলে আমি আল্লাহ কে ছাড়া আর কাউকে সেজদা করা যায়না। হুজুর এই রকম মনে মনে হচ্ছে এই রকম মনে মনে হলে কি ঈমান চলে যাবে?? সম্পূর্ণ মনে মনে হচ্ছে, আমার খুব ভয় হচ্ছে হুজুর। আমি কিন্তু সেজদা করিনি আল্লাহ কসম। আমার ভয় লাগছে তাই এমন মনে হচ্ছে। এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে?
৫. হুজুর আমি একদিন নামাজ পড়ছিলাম সুন্নত নামাজ কি ফরয নামায মনে নেই। আর আমার পাশে আমার বন্ধু বসে ছিল তার নামাজ হয়ে গিয়েছিল হয়ত সুন্নত নামাজ হবে।। আমার নামাজের হটাৎ সূরা ভুল হয়ে যায়। আর সঙ্গে সঙ্গে আমার বন্ধু কে বলি নামাজ ভুল হয়ে গেলো বলে সরে আসি। আমার বন্ধু বললো নামাজ থেকে চলে এলে কেনো আমি বললাম নামাজ ভুল হয়েছে , সে বললো ভুল হলেও নামাজ ছেড়ে আসতে হয়না। আমি বললাম আমি তঃ জানতাম না তাই এমন হয়েছে , দিয়ে আমি আবার নামাজ আদায় করে নিলাম। হুজুর বিষয় হচ্ছে আমি না জেনে বুঝে ভুল হয়েছিল কথা বলে ফেলেছি ও নামাজ থেকে সরে এসে ছিলাম আবার নতুন করে নামাজ পড়েছি। আমি জানতাম না । আমার এটা একদম না জেনে বুঝে হয়েছে । আল্লাহ কসম জানলে কখনোই কথা বলতাম না । হুজুর না। জেনে বুঝে হয়েছে এর জন্য কি ঈমান চলে যাবে??
৬. হুজুর শুধু মনে হচ্ছে হয়ত ঈমান চলে গিয়েছে নাকি এই রকম শুধু নানা রকমের ভাবনা হচ্ছে। অনেক বছরে এর আগের কথা মনে হচ্ছে আর কেমন কেমন মনে হচ্ছে। ভয় হচ্ছে সঠিক কিছু মনে পড়ছে না তাও ভয় হচ্ছে । এই রকম মনে হলে কি ঈমান চলে যাবে?? হুজুর এইরকম ওয়াসওয়াসা হলে কি করব??
৭. হুজুর আমি খুব চিন্তিত , দয়া করে এই উত্তর টা দিবেন।
আমার যখন বিয়ে হয় তখন আমি যখন আমর শশুর বাড়ী বরযাত্রী তে জাই সম্মানের খাতির এ আমাকে মিষ্টি খাউইয়ে গাড়ি থেকে নামাচ্ছে তখন আমার শাশুড়ি আমার মুখ তার শাড়ির আঁচল দিয়ে ২ থেকে ৩ বার মুছিয়ে দিয়ে তার দুই চোখে ও ঠোটে ঠেকিয়ে ছিল সেই আঁচল টা । আমার শাশুড়ি কে এটা করতে বলছিলো, আমার শাশুড়ি বলছিলো আমাকে দিয়ে কি করিয়ে নিচ্ছি।এইটা আমাকে মানে জামাই কে সম্মান করেছিলো। হুজুর বিয়ে তে নানা রকমের নিয়ম থাকে তাই সম্মান এর জন্য এটা করেছে ,
***এর জন্য কি হুরমত হবে?? আল্লাহ কসম কোনো কাম ভাব ছিল না। Plz হুজুর বলেন।
**বিয়ে শুদ্ধ হয়েছে তহ??
*** আমাদের বৈবাহিক সম্পর্ক ঠিক আছে তহ হুজুর??