আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
291 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
আসসালামু আলাইকুম।
১/ ছেলে সাত বছর হলেই বিছানা পৃথক করে দেবার নির্দেশ আছে হাদিসে। কথা হলো- যদি পর্যাপ্ত রুম না থাকে, তখন থাকার সিস্টেমটা কেমন হবে?

২/ একটা ঘটনা খুব শোনা যায় যারা অজ্ঞ মানুষ তাদের মুখে- হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু আনহা এর গোসলের সময় হযরত হাসান ও হুসাইন রদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহুম তাঁদের মায়ের ত্বক দেখে ফেলেন। তাঁরা তা দেখে তাজ্জব হয়ে গেলেন। তাঁরা তাঁদের মায়ের রুপ লোকদের কাছে বর্ণনা করেন। তাই হযরত ফাতিমা রদ্বিয়াল্লাহু তা'আলা আনহা তাঁদের দুজনকে অভিশাপ দেন এই বলে যে, একজনকে হত্যা করা হোক, আরেকজনকে বিষ খাওয়ানো হোক। তাই মায়ের অভিশাপ লেগে নাকি তাঁদের জীবনে এমন হয়েছে। মায়ের গুরুত্ব বোঝানোর জন্য বক্তারা এহেন ঘটনা বর্ণনা করছেন। ঘটনা কি সহীহ্?

৩/ আরেকটা কাহিনী- হাসান বসরী রহিমাহুল্লাহ্ ও রাবেয়া বসরী র. তাঁদের ধার্মিকতার প্রমাণ দিতে প্রতিযোগিতা করেছিলেন। সেই প্রেক্ষিতে একজন পানিতে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ার শক্তি দেখিয়েছেন আল্লাহর ক্বুদরতে, আরেকজন বাতাসে জায়নামাজ বিছিয়ে নামাজ পড়ার শক্তি দেখিয়েছেন আল্লাহর ক্বুদরতে।
একদিন তাঁরা লুকোচুরি খেলছিলেন। একজন আরেকজনকে বলছিলেন- আমি এখন লুকাবো। আপনি বলে দিবেন কোথায় আছি! হাসান বসরী র. লুকালেন চোখের পলকেই সমুদ্রের নিচে ঝিনুকের তলায়। আর রাবেয়া বসরী র. কোথায় আছেন তা বলে দিলেন। তখন হাসান বসরী র. তাজ্জব হয়ে গেলেন।
আবার রাবেয়া বসরী র. লুকালেন। হাসান বসরী র. তা বলতে পারছিলেন না। তখন রাবেয়া বসরী র. নিজেকে প্রকাশ করলে হাসান বসরী র. জিজ্ঞেস করলেন- কোথায় লুকিয়েছিলেন? তিনি নাকি বললেন, তিনি রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কলিজা ধরে ঝুলেছিলেন!!!!
অর্থাৎ এই ঘটনাটা বলা হয় রাবেয়া বসরী র. এর দ্বীনদারিতার উঁচু মাত্রা বোঝানোর জন্য। এইসব খুবই বিদঘুটে আর বানোয়াট লাগছে শুনতেই। এগুলো কি আদৌ সহীহ্ ঘটনা?
৪/ আরেকটা ঘটনা- হাসান বসরী র.  রাবেয়া বসরী র. এর শিক্ষক ছিলেন। রাবেয়া বসরী র.  এর বিবাহ্ দিতে পারছিলেন না তাঁর পিতামাতা। কারণ সে রাজি না। কেউ তাঁর তিনটি প্রশ্নের উত্তর দিতে পারছেনা বলে। তখন তার শিক্ষক হাসান বসরী র.  এর প্রস্তাব আসলো। তিনিও উত্তর দিতে পারলেন না। তাই রাবেয়া বসরী র.  আর জীবনে বিয়ে করেন নি! রাবেয়া বসরী র. এর বিয়ে  হবে কিয়ামতের দিন হাসান বসরী র.  এর সাথে।  কারণ সেদিন রাবেয়া বসরী র. এর তিনটি প্রশ্নের জবাব তিনি দিতে পারবেন।
এই ঘটনা কি সত্যি?

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
হযরত আমর বিন শুয়াইব তার সুত্রে বর্ণনা করেন,
ﻋَﻦْ ﻋَﻤْﺮِﻭ ﺑْﻦِ ﺷُﻌَﻴْﺐٍ ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻴﻪِ ﻋَﻦْ ﺟَﺪِّﻩِ ﻗَﺎﻝَ ﻗَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ : ( ﻣُﺮُﻭﺍ ﺃَﻭْﻟَﺎﺩَﻛُﻢْ ﺑِﺎﻟﺼَّﻠَﺎﺓِ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﺳَﺒْﻊِ ﺳِﻨِﻴﻦَ ، ﻭَﺍﺿْﺮِﺑُﻮﻫُﻢْ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﻭَﻫُﻢْ ﺃَﺑْﻨَﺎﺀُ ﻋَﺸْﺮٍ ، ﻭَﻓَﺮِّﻗُﻮﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﻀَﺎﺟِﻊِ ) .
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন, তোমরা তোমাদের সন্তানাদিকে নামাযের আদেশ দাও যখন তারা সপ্ত বর্ষে উপনীত হয়।নামায না পড়ার ধরুণ তাদেরকে প্রহার করো যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হয়।এবং সাথে সাথে তাদের শয়নস্থল কে পৃথক করে দাও।(সুনানু আবি-দাউদ-৪১৮)

হযরত সামুরাহ ইবনে মা'বাদ রাযি থেকে বর্ণিত,
ﻋﻦ ﺳﺒﺮﺓ ﺑﻦ ﻣﻌﺒﺪ ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻎ ﺃﻭﻻﺩﻛﻢ ﺳﺒﻊ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﻔﺮﻗﻮﺍ ﺑﻴﻦ ﻓﺮﺷﻬﻢ ﻭ ﺇﺫﺍ ﺑﻠﻐﻮﺍ ﻋﺸﺮ ﺳﻨﻴﻦ ﻓﺎﺿﺮﺑﻮﻫﻢ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺼﻼﺓ )
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,যখন তোমাদের সন্তানাদি সপ্তম বৎসরে উপনীত হবে তখন তোমরা তাদের বিছানাকে পৃথক করে দাও।এবং যখন তারা দশম বৎসরে উপনীত হবে তখন নামাযের জন্য তোমরা তাদেরকে প্রহার করো।
সহীহ জামে-৪১৮

এই হাদীস দ্বয় বালক-বালিকা সবাইকে শামিল রাখে।তথা ছেলেমেয়ে হলে তাদেরকে পৃথক করতে হবে।এবং কারো শুধুমাত্র ছেলে সন্তান বা শুধুমাত্র মেয়ে সন্তান থাকলে তাদের শয়নস্থল-কে ও পৃথক করতে হবে।বিস্তারিত জানুন- ৭৫৭

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
পর্যাপ্ত ঘর না থাকলে,ঘর নির্মাণের চেষ্টা করতে হবে।নতুবা একই ঘরে দুইটি খাটে তাদেরকে শুয়াইয়ে দিতে হবে।

যদি দুইটি খাট ক্ররিদ করারও সামরথ না থাকে,তাহলে একই খাটে দুইটি লেপের মাধ্যমে শুইয়াইতে দিতে হবে।


(২) এমন ঘটনার কোনো ভিত্তি নাই।

(৩)ভিত্তিহীন ঘটনা।


(৪)ভিত্তিহীন ঘটনা।



(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...