ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
তালাকের অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি তার স্বামীকে বলে তুমি আমার স্বামী না। বা স্বামী যদি বলে তুমি আমার বউ না, তবে সংসারে কোনো সমস্যা হবে না। মজা করে বলুক বা রাগ করে বলুক
(২) আমার স্ত্রী এর দুইটা ফেসবুক আইডি ছিলো, একটা তেমন ইউজ করে না। একদিন সেই আইডিতে আমি মজা করে ম্যাসেজ করে বলি "তুমি দেখি আমাকে নক দেও না" তখন সে রিপ্লাই দেয় "আমি বিবাহিত " তখন আমিয়ো মজা করে বলি, " আমিইতো তোমার জামাই, তখন সে বলে "তুমি না, আরেকজন" (তার তালা* এর অনুমতি আছে)
এতেও তালাক হবে না।
(৩)একটি হিন্দি গান আছে যার একটি লাইন "দিল বেইমান রেএএ",। এই গান টি কোনো উদ্যেশ্য ছাড়া মাঝে মাঝে গেয়ে উঠতাম, ( নিজেকে বেইমান বলার উদ্দেশ্য নাই), আর গানটি গাওয়ার সময় এই গান এর অর্থের দিক এতো মনোযোগ ছিলো কি না তাও বলতে পারছিনা। মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে, বুকের দিকে হাত দিয়ে মেরে মেরে দিল বুঝিয়ে এই গানের এই লাইন টি গেয়েছি কিন্তু এইরকম করেছি তাও নিশ্চিত না, মারলেও এই রকম বুকে বাজনা হিসাবে মেরেছি কিনা মনে পরছে না,খুবই কনফিউশান।
এর ফলে কুফর হবে না।
(৪)কেউ যদি নিজেকে কুফা বলে, যে সে কুফা, যা দেয় সব ই হারিয়ে যায়। এই কুফা বলার দরুন কুফর হবে না।
(৫)আমাকে একদিন বউ বলেছিলো, আমি কি জিন্সের পেন্ট পরতে পারি, আমি ভেবেছিলাম সে যেহেতু সব সময় লম্বা জামা পরে এটা তার লম্বা জামার নিচে থাকবে, দেখা গেলে নিচে এট্টুই দেকা যাবে, তাই বলেছিলাম, এটা পরলে তো সমস্যা হবে না। এটা যে পুরুষের সাদৃশ্য হয় এটা মাথায় ছিলো না, অন্য কোনো বিষয় না ভেবে একদিক বিবেচনায় তাকে এটা বলে দিয়েছিলাম,এর ফলে কুফর হবে না। তবে এই অনুমতি আর দেবেন না।
(৬) "নেককারের অন্তর আল্লাহর পাত্র/থালা"
এমন কোনো হাদীস নেই।
"ومنها قولهم: "قلب المؤمن عرش الله". (الموضوعات للصغاني :۱/۵۰،ط:دارالمأمون للتراث)
( کشف الخفاء ومزیل الإلباس، حرف القاف :۲/۱۰۰، ط: مکتبة الغزالي، دمشق) فقط واللہ اعلم