আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
244 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (7 points)
reshown by

১. তালাকের অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি তার স্বামীকে বলে তুমি আমার স্বামী না। বা স্বামী যদি বলে তুমি আমার বউ না, তবে কি সংসারে কোনো সমস্যা হবে? মজা করে বা রাগ করে বললে।

২. আমার স্ত্রী এর দুইটা ফেসবুক আইডি ছিলো, একটা তেমন ইউজ করে না। একদিন সেই আইডিতে আমি মজা করে ম্যাসেজ করে বলি "তুমি দেখি আমাকে নক দেও না" তখন সে রিপ্লাই দেয় "আমি বিবাহিত " তখন আমিয়ো মজা করে বলি, " আমিইতো তোমার জামাই,  তখন সে বলে "তুমি না, আরেকজন"  (তার তালা* এর অনুমতি আছে)
এতে কি তালা* হবে? ( যদিও মনে হচ্ছে মজা করেই বলেছে তার থেকে একটা কি জিগ্যেস  করে জেনে নিতে হবে? ঘটনা ৪ মাস আগের মনে আছে কি না কে জানে)

৩. একটি হিন্দি গান আছে যার একটি লাইন "দিল বেইমান রেএএ",।  এই গান টি কোনো উদ্যেশ্য ছাড়া মাঝে মাঝে গেয়ে উঠতাম, ( নিজেকে বেইমান বলার উদ্দেশ্য নাই),  আর গানটি গাওয়ার সময় এই গান এর অর্থের দিক এতো মনোযোগ ছিলো কি না তাও বলতে পারছিনা। মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে, বুকের দিকে হাত দিয়ে মেরে মেরে দিল বুঝিয়ে এই গানের এই লাইন টি গেয়েছি কিন্তু এইরকম করেছি তাও নিশ্চিত না, মারলেও এই রকম বুকে বাজনা হিসাবে মেরেছি কিনা মনে পরছে না,খুবই কনফিউশান।  এর ফলে কি কুফর হবে?

৪.কেও যদি নিজেকে কুফা বলে, যে সে কুফা, যা দেয় সব ই হারিয়ে যায়। এই কুফা বলার দরুন কি কুফর হবে?

৫. আমাকে একদিন বউ বলেছিলো, আমি কি জিন্সের পেন্ট পরতে পারি, আমি ভেবেছিলাম সে যেহেতু সব সময় লম্বা জামা পরে এটা তার লম্বা জামার নিচে থাকবে, দেখা গেলে নিচে এট্টুই দেকা যাবে, তাই বলেছিলাম, এটা পরলে তো সমস্যা হবে না। এটা যে পুরুষের সাদৃশ্য হয় এটা মাথায় ছিলো না, অন্য কোনো বিষয় না ভেবে একদিক বিবেচনায় তাকে এটা বলে দিয়েছিলাম,এর ফলে কি কুফর হবে? সেদিনের আমার এই কথা যে ভুল তা কি তাকে জাননো বাধ্যতামূলক?

৬. ওয়াজে শুনেছিলাম, একটা হাদীস আছে যে, "নেককারের অন্তর আল্লাহর পাত্র/থালা" এটা হাদীসে কি আছে? এটা হাদীস শুনে কেও যদি বিশ্বাস করে তবে ইমানে সমস্যা হওয়ার মতো কিছু আছে কি? 


জাজাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
তালাকের অধিকার প্রাপ্ত বউ যদি তার স্বামীকে বলে তুমি আমার স্বামী না। বা স্বামী যদি বলে তুমি আমার বউ না, তবে  সংসারে কোনো সমস্যা হবে না। মজা করে বলুক বা রাগ করে বলুক

(২) আমার স্ত্রী এর দুইটা ফেসবুক আইডি ছিলো, একটা তেমন ইউজ করে না। একদিন সেই আইডিতে আমি মজা করে ম্যাসেজ করে বলি "তুমি দেখি আমাকে নক দেও না" তখন সে রিপ্লাই দেয় "আমি বিবাহিত " তখন আমিয়ো মজা করে বলি, " আমিইতো তোমার জামাই,  তখন সে বলে "তুমি না, আরেকজন"  (তার তালা* এর অনুমতি আছে)

এতেও  তালাক হবে না। 

(৩)একটি হিন্দি গান আছে যার একটি লাইন "দিল বেইমান রেএএ",।  এই গান টি কোনো উদ্যেশ্য ছাড়া মাঝে মাঝে গেয়ে উঠতাম, ( নিজেকে বেইমান বলার উদ্দেশ্য নাই),  আর গানটি গাওয়ার সময় এই গান এর অর্থের দিক এতো মনোযোগ ছিলো কি না তাও বলতে পারছিনা। মাঝে মধ্যে মনে হচ্ছে, বুকের দিকে হাত দিয়ে মেরে মেরে দিল বুঝিয়ে এই গানের এই লাইন টি গেয়েছি কিন্তু এইরকম করেছি তাও নিশ্চিত না, মারলেও এই রকম বুকে বাজনা হিসাবে মেরেছি কিনা মনে পরছে না,খুবই কনফিউশান। 

এর ফলে কুফর হবে না।

(৪)কেউ যদি নিজেকে কুফা বলে, যে সে কুফা, যা দেয় সব ই হারিয়ে যায়। এই কুফা বলার দরুন কুফর হবে না।

(৫)আমাকে একদিন বউ বলেছিলো, আমি কি জিন্সের পেন্ট পরতে পারি, আমি ভেবেছিলাম সে যেহেতু সব সময় লম্বা জামা পরে এটা তার লম্বা জামার নিচে থাকবে, দেখা গেলে নিচে এট্টুই দেকা যাবে, তাই বলেছিলাম, এটা পরলে তো সমস্যা হবে না। এটা যে পুরুষের সাদৃশ্য হয় এটা মাথায় ছিলো না, অন্য কোনো বিষয় না ভেবে একদিক বিবেচনায় তাকে এটা বলে দিয়েছিলাম,এর ফলে কুফর হবে না। তবে এই অনুমতি আর দেবেন না।

(৬) "নেককারের অন্তর আল্লাহর পাত্র/থালা" 
এমন কোনো হাদীস নেই।
"ومنها قولهم: "قلب المؤمن عرش الله". (الموضوعات للصغاني :۱/۵۰،ط:دارالمأمون للتراث)
( کشف الخفاء ومزیل الإلباس، حرف القاف :۲/۱۰۰، ط: مکتبة الغزالي، دمشق) فقط واللہ اعلم


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...