ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
রোযা অবস্থায় হায়েয চলে আসলে, তখন খানাপিনা থেকে বিরত থাকা মুস্তাহাব।
’’یجب علی الصحیح، و قیل: یستحب الإمساك ... وعلی حائض و نفساء طهرتا بعد طلوع الفجر‘‘. (مراقی الفلاح : ص : ۳۷۰)
(২) রোজা অবস্থায় শিঙ্গা লাগালে রোযা ভঙ্গ হবে না কি না তা নিয়ে উলামাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।হানাফি ফিকহ অনুযায়ী রোযা ভঙ্গ হবে না।
ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রোযা থাকাবস্থায় (স্বীয় দেহে) শিংগা লাগিয়েছিলেন।
قولہ: ”وکذا لا تکرہ حجامة“: أي: الحجامة التي لا تضعفہ عن الصوم، وینبغي لہ أن یوٴخرھا إلی وقت الغروب، …، وذکر شیخ الإسلام أن شرط الکراھة ضعف یحتاج فیہ إلی الفطر کما فی التاتر خانیة۔إمداد۔ وقال قبلہ: وکرہ لہ فعل ما ظن أنہ یضعفہ عن الصوم کالفصد والحجامة والعمل الشاق لما فیہ من تعریضہ للإفساد اھ (رد المحتار، کتاب الصوم،۳: ۳۹۹، ط: مکتبة زکریا دیوبند)۔
(৩)
কায়েশ বিন তালক তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন,
عَنْ قَيْسِ بْنِ طَلْقٍ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ: سَأَلَ رَجُلٌ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَيَتَوَضَّأُ أَحَدُنَا إِذَا مَسَّ ذَكَرَهُ؟ قَالَ: ” إِنَّمَا هُوَ بَضْعَةٌ مِنْكَ أَوْ جَسَدِكَ
এক ব্যক্তি রাসূল সাঃ কে জিজ্ঞাসা করে যে, যে ব্যক্তি তার গোপনাঙ্গ স্পর্শ করেছে সে কি অজু করবে? রাসূল সাঃ বললেন, এটিতো তোমার একটি অঙ্গ বা বলেছেন তোমার শরীরের একটি অঙ্গ। [তাই এটি ধরলে অজু ভাঙ্গবে কেন?] {মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১৬২৮৬}
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/2153
উঠের গোশত যেহেতু শক্ত, তাই রাসূলুল্লাহ সাঃ শাব্দিক অজু তথা কুলি করার নির্দেশ দিয়েছেন।