وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
‘আলক্বামাহ (রহ.) হতে বর্ণিত।
عن علقمة، قال: كنت مع عبد الله، فلقيه عثمان بمنى، فقال: يا أبا عبد الرحمن إن لي إليك حاجة فخلوا، فقال عثمان: هل لك يا أبا عبد الرحمن في أن نزوجك بكرا، تذكرك ما كنت تعهد؟ فلما رأى عبد الله أن ليس له حاجة إلى هذا أشار إلي، فقال: يا علقمة، فانتهيت إليه وهو يقول: أما لئن قلت ذلك، لقد قال لنا النبي صلى الله عليه وسلم: «يا معشر الشبابمن استطاع منكم الباءة فليتزوج، ومن لم يستطع فعليه بالصوم فإنه له وجاء»
তিনি বলেন, যখন আমি ‘আবদুল্লাহ্ (রাঃ)-এর সঙ্গে ছিলাম, ‘উসমান (রাঃ) তাঁর সঙ্গে মিনাতে দেখা করে বলেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আপনার সাথে আমার কিছু দরকার আছে। অতঃপর তারা দু’জনে এক পাশে গেলেন। তারপর ‘উসমান (রাঃ) বললেন, হে আবূ ‘আবদুর রহমান! আমি কি আপনার সঙ্গে এমন একটি কুমারী মেয়ের বিয়ে দিব, যে আপনাকে আপনার অতীত কালকে স্মরণ করিয়ে দিবে? ‘আবদুল্লাহ্ যখন দেখলেন, তার এ বিয়ের দরকার নেই তখন তিনি আমাকে ‘হে ‘আলক্বামাহ’ বলে ইঙ্গিত করলেন। আমি তাঁর কাছে গিয়ে বলতে শুনলাম, আপনি আমাকে এ কথা বলছেন (এ ব্যাপারে) রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে বলেছেন, হে যুবকের দল! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে এবং যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে না, সে যেন ‘সওম’ পালন করে। কেননা, সওম যৌন ক্ষমতাকে দমন করে।(সহীহ বোখারী-৫০৬৫)
«النِّكَاحُ حَالَةَ الِاعْتِدَالِ سُنَّةٌ مُؤَكَّدَةٌ مَرْغُوبَةٌ، وَحَالَةَ التَّوَقَانِ وَاجِبٌ، وَحَالَةَ الْخَوْفِ مِنَ الْجَوْرِ مَكْرُوهٌ.» - «الاختيار لتعليل المختار»
(3/ 82)
স্বাভাবিক অবস্থায় বিয়ে করা সুন্নতে মু’আক্কাদা। আর যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনায় বিয়ে করা ওয়াজিব। আর স্ত্রীর জুলুম করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।(আল-এখতিয়ার লি তা’লিলিল মুখতার-৩/৮২)
অথবা এভাবেও বলা যায়,
বিবাহের সামর্থ রয়েছে, আর্থিক শারিরিক উভয় রকম সামর্থ্য রয়েছে,এবং যিনা ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে,তাহলে এমতাবস্থায় বিয়ে ওয়াজিব। বিবাহের সামর্থ্য রয়েছে,তবে যিনা-ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা নাই এমতাবস্থায় বিয়ে করা সুন্নত। এবং স্ত্রীর হক আদায় না করার আশংকা থাকলে তখন বিয়ে করা মাকরুহ।বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-
https://www.ifatwa.info/2276,
★কোন মুসলমানের যদি কামভাব বা জৈবিক চাহিদার আধিক্যতার দরুন যিনা. ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল হয়ে থাকে এবং সে মোহর, আহার এবং পারিবারিক প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহনে সক্ষম হয় তাহলে এমন ব্যক্তির উপর বিবাহ করা ওয়াজিব।
★কোন মুসলমানের যদি কামভাব বা জৈবিক চাহিদার আধিক্যতার দরুন যিনা. ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার পূর্ণ আশংকা থাকে এবং সে মোহর, আহার এবং পারিবারিক প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহনে সক্ষম হয় তাহলে এমন ব্যক্তির উপর বিবাহ করা ফরয। বিবাহ বর্জন করলে এমন ব্যক্তি গুনাহগার হবে।
★কোন মুসলমানের যদি কামভাবের আধিক্য না হয় বরং স্বাভাবিক অবস্থা হয় এবং সে স্ত্রী সঙ্গমসহ পারিবারিক প্রয়োজনীয় সব ধরণের ব্যয়ভার বহনে সক্ষম হয়, তাহলে এমতাবস্থায় তার জন্য বিবাহ করা সুন্নাতে মুআক্কাদাহ।
★কোন মুসলমান যদি মোহর, আহার এবং পারিবারিক প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহনে সক্ষম না হয় অথবা স্ত্রী সঙ্গমে শক্তি না রাখে, তাহলে এমন ব্যক্তির উপর বিবাহ করা হারাম।
★কোন মুসলমান যদি বিবাহের পর স্ত্রীর হকসমূহ আদায় করতে অপরাগতার সম্ভাবনা প্রবল হয় তাহলে বিবাহ করা মাকরূহ তাহরিমী।
.
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
বেকার অবস্থায় বিবাহ করা যায়,তবে তাহা ওয়াজিব বা ফরজ নয়।
এক্ষেত্রে ছেলের বাবা যদি বেকার ছেলের স্ত্রীর খরচ চালায়তে চায় অথবা মেয়ের বাবা যাবতীয় খরচ চালায়তে চায়,সেক্ষেত্রে এই বিবাহ জায়েজ।
নতুবা বিবাহ মাকরুহ হবে।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি স্ত্রীর মোহর, আহার এবং পারিবারিক প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহনে সক্ষম হোন,তাহলে বিবাহ না করলে যিনা. ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার পূর্ণ আশংকা থাকে,তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার উপর বিবাহ করা ফরয।
আর যদি এক্ষেত্রে বিবাহ না করলে যিনা. ব্যভিচারে লিপ্ত হওয়ার আশংকা না থাকে,সেক্ষেত্রে আপনার জন্য বিবাহ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনি যদি স্ত্রীর মোহর, আহার এবং পারিবারিক প্রয়োজনীয় ব্যয়ভার বহনে সক্ষম না হোন,সেক্ষেত্রে আপনার বাবা বা মেয়ের পরিবার মেয়ের খরচ যাবতীয় প্রয়োজনীয় খরচ দিতে রাজি হলে আপনার জন্য বিবাহে কোনো সমস্যা নেই।হ্যাঁ যদি তারা রাজি না হয়,সেক্ষেত্রে বিবাহ মাকরুহ হবে।