ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
এটি শয়তানের পক্ষ থেকে আসে।
এক্ষেত্রে নামাজে মনোযোগী হতে হবে।
নামাজে মনোযোগী হওয়ার পদ্ধতি জানুনঃ-
(০২)
আপনি মনোযোগ সহকারে নামাজ আদায় করবেন।
এরপর আগত কোনো সন্দেহকে পাত্তা দিবেননা।
হ্যাঁ যদি প্রবল ধারনা হয় যে আপনি রুকু আদায় করেননি,বা সেজদাহ কম আদায় করেছেন,সেক্ষেত্রে নামাজের মধ্যেই সেই রুকু বা সেজদাহ আদায় করে শেষে সেজদায়ে সাহু দিবেন।
(০৩)
ইসলামে অমুসলিমদের সাথে উদারতা ও সদ্ব্যবহারের শিক্ষা রয়েছে। তাদের সাথে যদিও বন্ধুত্ব ও আন্তরিকতার সম্পর্ক স্থাপন করতে নিষেধ করা হয়েছে, কিন্তু সহানুভূতি, সৌজন্য, আতিথেয়তা, ব্যবসা-বানিজ্য ও লেন-দেনমূলক আচরণ করতে নিষেধ করা হয় নি। সেহেতু কোন মুসলিম কোনো অমুসলিমের সাথে ব্যবসা করলেও তার নামাজ, রোজা, কুরবানি ইত্যাদি ইবাদতের কোনো ক্ষতি হয় না।
তবে যদি এই লেন-দেন, ব্যবসা-বাণিজ্যের কারণে মুসলমানদের কোন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে তবে তা জায়েয থাকে না। রাসূলুল্লাহ ﷺ খোলাফায়ে রাশেদীন ও অন্যান্য সাহাবায়ে কেরাম কর্তৃক গৃহীত কর্মপন্থা থেকে এটি প্রমাণিত হয়। (মাআ’রিফুল কুরআন-২/৫, জাওয়াহিরুল ফিকহ ২/ ১৭৯)
★★ইসলামের দৃষ্টিতে অমুসলিমদের সাথে ক্রয়-বিক্রয় এবং দুনিয়াবি লেনদেন করায় শরী‘আতে কোনো আপত্তি নেই। সুতরাং নিম্নে অমুসলিমদের সাথে কেনাবেচা শরিকানায় ব্যবসা অর্থের বিনিময়ে শ্রমিক হিসাবে তাদের কাজ করা ও সাধারন দুনিয়াবি সম্পর্ক রাখার ব্যাপারে কুরআনের আয়াত, হাদীস এবং আলেমদের উক্তি তুলে ধরা হলো,
আল্লাহ তা‘আলা বলেন আল্লাহ তা‘আলা ক্রয়-বিক্রয় বৈধ করেছেন এবং সুদ হারাম করেছেন।(সুরা বাক্বারাহ আয়াত নং ২৭৫)।
এখানে আল্লাহ তা‘আলা ব্যবসা করার জন্য মুসলিম ও কাফির আলাদা করেননি বরং সাধারণভাবে ব্যবসাকে বৈধতা দিয়েছেন। সুতরাং তা জায়িয মুসলিম-অমুসলিম সবার সাথে যদি এ ক্ষেত্রে অন্য হারাম বিষয় জড়িত না হয়।
হযরত আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণীত তিনি বলেন রসুল (সাঃ) যবের বিনিময়ে তাঁর বর্ম বন্ধক রেখেছিলেন। (বুখারি-ইঃফাঃবাঃ) ৪০ বন্ধক হাঃ১৫৭৬)।
হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণীত তিনি বলেন, রসুল (সাঃ) জনৈক ইহুদির নিকট থেকে নিদির্ষ্ট মেয়াদে খাদ্য শস্য খরিদ করেন এবং নিজের বর্ম তার কাছে বন্ধক রাখেন। (বুখারী হাঃ৪৮/বন্ধক) পরিচ্ছে ৪৮/২যে ব্যক্তি নিজ বর্ম বন্ধক রাখে,হাঃ২৫০৯)।
বিস্তারিত জানুনঃ-
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
কাজ যদি হালাল হয়,সেক্ষেত্রে একজন হিন্দুর আন্ডারে চাকরি করা জায়েজ হবে। সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার স্বামীর ইনকাম হালাল হবে।
(০৪)
نَابِل [نبل]
[নাবিল] নাবিলাহ শব্দের অর্থঃ-
তীর নিক্ষেপকারী
তীরন্দাজ
হুবহু মিতু নামের আরবি অর্থ পাইনি।
মুতু শব্দের অর্থ তোমরা মারা যাও।
মিতু নামের বাংলা অর্থ: ছোট এক,মূল্যবান এক।
এ নাম রাখা যাবে।
আরো জানুনঃ-