আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
264 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামু আলাইকুম,আমার গত ফেব্রুয়ারি মাসের ১৪ তারিখ হায়েজ হয়  এক ফোটা দুই ফোটা করে দিলে ৭ম দিন(২০ফেব্রুয়ারি) ফজরের পর পর্যন্ত দেখি তারপর ব্লাড  আর না দেখাতে যুহরের ওয়াক্তে ফরয গোসল করে নামায পড়ি।২১ তারিখ পরিপূর্ণ সুস্হ ছিলাম ফেব্রয়ারির ২২ তারিখ  আবার ব্লাড দেখি এক ফোটা দুই ফোটা তরে (ফেব্রুয়ারি ২৬ তারিখি পর্যন্ত)৫দিন ছিলো। তার পর ৮দিন পর ৭ইমার্চ আবার ব্লাড দেখি যা ২৬মার্চ পর্যন্ত ৬দিন ছিলো।এরপর  আবার১২ দিন পর ২৫ মার্চ ২য় রমজানে যোহরের ফরয স্বলাতের  পর পর আমি  আবার ভেজা অনুভব করি এবং ব্লাড দেখি। পিরিওডের মতো ব্লেডিং  হচ্ছে,,হালকা ব্যাথ্যা হচ্ছে।আমার প্রশ্ন হলোঃ~

 ১.আমি কিভাবে বুঝবো কোনটা ইস্তিহাযা ছিলো আর কোনটা হায়েজ ছিলো?

২.২৫ মার্চ তারিখে ইন্তিহাযা ভেবে  রোজা রেখেছি+নামায পড়েছি  আমার রোজা নামাজ কি হবে? ন্যাপকিনের উপর ভারি করে ট্যিসু দিয়ে রাখি যাতে ব্লাডটা ন্যাপকিনে না লাগে।তারপর  নামাযের আগে টিস্যু পাল্টিয়ে ওযু  করে নামায পড়েছি।নিয়মটা কি শুদ্ধ?
৩.আর ইস্তিহাযা হলে কুরআন পড়ার বিধান কি? আমি কুর আন পড়তে পারবো?

৪.ইস্তিহাযা হলে নামায পড়ার আগে কিভাবে পবিত্রতা অর্জন করবো?আর ওযু কি প্রত্যেক নামাযের আগে করতে হবে। তারাবির আগেও কি করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (633,150 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,
فَإِنْ لَمْ يُجَاوِزْ الْعَشَرَةَ فَالطُّهْرُ وَالدَّمُ كِلَاهُمَا حَيْضٌ سَوَاءٌ كَانَتْ مُبْتَدَأَةً أَوْ مُعْتَادَةً وَإِنْ جَاوَزَ الْعَشَرَةَ فَفِي الْمُبْتَدَأَةِ حَيْضُهَا عَشَرَةُ أَيَّامٍ وَفِي الْمُعْتَادَةِ مَعْرُوفَتُهَا فِي الْحَيْضِ حَيْضٌ وَالطُّهْرُ طُهْرٌ. هَكَذَا فِي السِّرَاجِ الْوَهَّاجِ.
«الفتاوى الهندية» (1/ 37)
মাঝেমধ্যে হায়েয হওয়া আবার মাঝেমধ্যে বন্ধ হওয়া, দশ দিনের ভিতর সবকিছুই হায়েয হিসেবে গণ্য হবে।চায় এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন ঐ মহিলা প্রথমবার হোক বা এ ব্যাপারে অভ্যস্ত থাকুক।
যদি রক্তস্রাব দশদিন অতিক্রম করে যায়, তাহলে প্রথমবার এ পরিস্থিতির সম্মুখিন মহিলার জন্য দশদিন হায়েয। আর কোনো এক সংখ্যায় আদত ওয়ালী মহিলার জন্য তার পূর্বের আদতই হায়েয় এবং বাদবাকী সময় তুহুর। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭,কিতাবুল-ফাতাওয়া-২/১০৮,কিতাবুন-নাওয়াযিল-৩/১৭২) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7474


প্রশ্নকারী দ্বীনী বোন!
 (১+২) উপরের মূলনীতির আলোকে আপনি বুঝে নিবেন যে, কোনটা ইস্তিহাযা ছিলো আর কোনটা হায়েজ ছিলো?
(৩) আর ইস্তিহাযা হলে কুরআন পড়া যাবে।
(৪) ইস্তিহাযা হলে প্রতি ওয়াক্তের জন্য অজু করে নিবেন। তারপর নামায পড়ার আগে ইস্তেহাযার রক্ত সম্ভলিত সেলোয়ার পাল্টিয়ে নিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (633,150 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 235 views
0 votes
1 answer 236 views
0 votes
1 answer 190 views
...