আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
167 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (67 points)
১. কোনো এক জায়গায় দেখলাম যে ইব্রাহিম (আ:) চাঁদ,সূর্যকে উনার প্রতিপালক ভেবেছিলেন৷  এটা দেখে প্রথমে কেমন জানি লাগলো পরে দেখলাম কোরআনের অনুবাদেও এমনটি লেখা। পরে মনে মনে ভাবলাম তখন তিনি ছোট ছিলেন আর তিনি জানতেন না, না জেনে বলেছিলেন এগুলো তার গুনাহ বা অন্যকিছু না।
পরে আজকে এই আয়াতের তাফসির (তাফসিরে ম'আরিফুল কোরআন) পড়ে দেখলাম, ইব্রাহিম (আ:) উনার কাওমের মানুষদের বলেছিলেন যে চাদ,সূর্য এগুলোর মাবুদ হওয়ার বিষয়ে কথা বলছিলেন তা মূলত তার কাওমের মানুষের ধারনা অনুযায়ী, তিনি এসব বিশ্বাস করেন নাই। যাই হোক আমি আমার ভূল বুঝতে পারি, কিন্তু অর্থ পড়ে তো ভেবে বসেছিলাম উনি এগুলোকে মাবুদ ভেবেছিলেন, (নাউজুবিল্লাহ)  আমি এর পর থেকে খুবই খারাপ বোধ করছি।

 বিস্তারিত  না জেনে এমন ধারণা পোষনের ফলে কি আমার কুফর হয়েছে? আমি কখনোই কোনো নবী(সা:) কে গুনাহগার ভাবিনাই,  আমার কি কুফর হয়েছে?, আমার কি ইমান বিবাহ দোহারাতে হবে?

২. নামাজে আল্লাহ নিয়ে এমন এমন বাজে কথা,  বা অন্য আরো কুফরী কথা মনে মনে চলে আসে যা বলার বাহিরে। আমিতো এসব কথা  জেনে বুঝে মুখে কখনোই আনতে চাইনা। মনে চলে আাসে বাক্য গুলো।  এতে কি আমার কুফর হবে? আর নামামে এরুপ হলে আমি কি করবো. নামাজের মাঝে তো ইস্তেগফার পরতে পারিনা।

৩. আমার দীর্ঘ সময় তারাবী পড়া এবারই প্রথম, এর আগে সূরা পরেছি এবার ইচ্ছে, আছে খতম শেষ করার। দীর্ঘ সময় হাত বেধে রাখতে একটু ব্যাথা করলে আমি যদি মাঝে মাঝে হাত ছেড়ে নামাজ পরি আমার নামাজ আদায় হয়ে যাবে কি?

৪. পুরো ২৭ দিনের তারাবীর  যদি ২/১ রাকাত ওযু বা অন্য ওজরে ছোটে যায় মানে আমি নামাজরত অবস্থায়,এরুপ সিচুয়েশনে  কিছু অংশ ইমাম সাহেব পড়ে ফেলেন এতে কি আমার খতম তারাবী শেষ হবে না?এরুপ হলে কি করবো?

৫. ঘুম না লাগায় বউ এর সাথে অন্তরঙ্গ দৃশ্য কল্পনা করতে।করতে ঘুমাচ্ছিলাম, এর পর তন্দ্রা অবস্থায় সপ্নদোষ হয় বুঝতে পারছিলাম স্বপ্নদোষ হচ্ছে। কিন্তু থামনোর চেষ্টা করিনি, এতে কি রোজা ভেঙ্গে যাবে?

৬. ওযু/গোসলে নাকে পানি দেওয়ার সময় পানি মাথায় চলে গেলে রোজা হবে?

৭. রোজা আছি এইটা খেয়ালে না থাকা অবস্থায় রোজা ভঙ্গের কিছু করে ফেললে, (যেমন ভিতর থেকে আসা খাবার গিলে ফেলা) এতে কি রোজা ভাঙ্গবে?এগুলো করার পর রোজার কথা মনে পরলো এই সিচুয়েশন

1 Answer

0 votes
by (588,060 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 ( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
 (وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)


রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/4560


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
এজন্য আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হয়নি।

(২)
যেহেতু মনের অজান্তেই এসব চিন্তা মনের মধ্যে আসে, তাই আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।

(৩)
নামায আদায় হবে।তবে হাত ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।

(৪)
যেই রা'কাতে অজু চলে যাবে, সেই রা'কাতের তিলাওয়াত নিজে নিজে করে নিলেই হবে। ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবেন, ঐ রাকাতে কতটুকু তিলাওয়াত করেছেন? অথবা অজু খানা যদি এতো নিকটে হয় যে, তিলাওয়াত শ্রবণ করা যায়, তাহলে তিলাওয়াত শুনে শুনে অজু করে নিলেও কুরআন খতম হয়ে যাবে। 

(৫)
স্বপ্নদোষের কারণে রোযা ফাসিদ হয় না।

(৬)
ওযু/গোসলে নাকে পানি দেওয়ার সময় পানি মাথায় চলে গেলে রোজা ফাসিদ হয়ে যাবে।শুধুমাত্র কাযা আসবে,কাফফারা আসবে না।

(৭)
রোজা আছি এইটা খেয়ালে না থাকা অবস্থায় রোজা ভঙ্গের কিছু করে ফেললে, (যেমন ভিতর থেকে আসা খাবার গিলে ফেলা) এতে রোজা ভঙ্গ হবে না।তবে রোযা স্বরণ থাকাবস্থায় খেয়ে ফেললে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (588,060 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...