ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
( رَبَّنَا لَا تُؤَاخِذْنَا إِنْ نَسِينَا أَوْ أَخْطَأْنَا )
হে আমাদের পালনকর্তা, যদি আমরা ভুলে যাই কিংবা ভুল করি, তবে আমাদেরকে অপরাধী করো না।(সূরা বাকারা-২৮৬)
অন্য এক আয়াতে আল্লাহ তা'আলা বলেন,
(وَلَيْسَ عَلَيْكُمْ جُنَاحٌ فِيمَا أَخْطَأْتُمْ بِهِ وَلَكِنْ مَا تَعَمَّدَتْ قُلُوبُكُمْ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَحِيمًا)
এ ব্যাপারে তোমাদের কোন বিচ্যুতি হলে তাতে তোমাদের কোন গোনাহ নেই, তবে ইচ্ছাকৃত হলে ভিন্ন কথা। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।(সূরা আহযাব-৫)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,
إِنَّ اللَّهَ قَدْ تَجَاوَزَ عَنْ أُمَّتِي الْخَطَأَ، وَالنِّسْيَانَ، وَمَا اسْتُكْرِهُوا عَلَيْهِ
নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার উম্মতের অজ্ঞতা ও ভূলভাল কে ক্ষমা করে দিবেন।এবং অপারগতা বশত কৃত গোনাহকেও ক্ষমা করে দিবেন।(সুনানে ইবনে মা'জা,-২০৪৩)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১)
এজন্য আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হয়নি।
(২)
যেহেতু মনের অজান্তেই এসব চিন্তা মনের মধ্যে আসে, তাই আপনার ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।
(৩)
নামায আদায় হবে।তবে হাত ছেড়ে দেওয়ার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই। ধীরে ধীরে অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে ইনশা'আল্লাহ।
(৪)
যেই রা'কাতে অজু চলে যাবে, সেই রা'কাতের তিলাওয়াত নিজে নিজে করে নিলেই হবে। ইমাম সাহেবকে জিজ্ঞাসা করে জেনে নিবেন, ঐ রাকাতে কতটুকু তিলাওয়াত করেছেন? অথবা অজু খানা যদি এতো নিকটে হয় যে, তিলাওয়াত শ্রবণ করা যায়, তাহলে তিলাওয়াত শুনে শুনে অজু করে নিলেও কুরআন খতম হয়ে যাবে।
(৫)
স্বপ্নদোষের কারণে রোযা ফাসিদ হয় না।
(৬)
ওযু/গোসলে নাকে পানি দেওয়ার সময় পানি মাথায় চলে গেলে রোজা ফাসিদ হয়ে যাবে।শুধুমাত্র কাযা আসবে,কাফফারা আসবে না।
(৭)
রোজা আছি এইটা খেয়ালে না থাকা অবস্থায় রোজা ভঙ্গের কিছু করে ফেললে, (যেমন ভিতর থেকে আসা খাবার গিলে ফেলা) এতে রোজা ভঙ্গ হবে না।তবে রোযা স্বরণ থাকাবস্থায় খেয়ে ফেললে রোযা ফাসিদ হয়ে যাবে।