আসসালামু আলাইকুম।
প্রশ্ন:১:
আমি টয়লেট করার পর মলদ্বার হ্যান্ডওয়াশ ও পানি দিয়ে ধুই। কারন এছাড়া আমার মনে হয় যে, শুধু পানি দিয়ে ধুলে ঠিক মত পরিষ্কার হয়না।
আমার কাছে মনে হয় যে কিছুটা তেলতেলে ভাব থেকে যায়।
এখন রোজায় আমার একটা সমস্যা হচ্ছে।
টয়লেটের সময় প্রেশার দেওয়ার কারনে মলদ্বারের ফুটা টা খুলে এবং একটু বড় হয় এবং তারপর সেটা ধোয়ার জন্য হ্যান্ডওয়াশ বা পানি দিয়ে ধুতে গেলে মনে হয় যে, কিছু পানি ভিতরে ঢুকে যাবে।
আর অন্য দিকে কম পানি ব্যবহার করলে মনে হয় যে, সঠিকভাবে পরিষ্কার হয়না। তাই বেশি পানি ব্যবহার করা লাগে।
এর কারনে পানি কমও ব্যবহার করতে পারছি না আবার পানি ও হ্যান্ডওয়াশ ব্যবহার করলে মনে হচ্ছে যে কিছু পানি ভিতরে ঢুকে যাবে বা যায়।
(### কারন: মলদ্বার দিয়ে প্রেশার দেওয়ার ফলে মলদ্বারের ফুটা #বড় হয় এবং পানি ঢালার পর প্রেশার ছেড়ে দিলে ফুটা #ছোট হয়ে যায়। ★★ এবং সেই সময় মনে হয় যে ফুটা ছোট হয়ে গেলে কিছু পানি ভিতরে ঢুকে যেতেই পারে।
এখন কি করবো কিছুই বুঝতেছি না। কি করা উচিত?
প্রশ্ন:২:
আমি যদি প্রস্রাব করার পর প্রস্রাবের নলের ভিতর পরিষ্কার করার জন্য প্রস্রাবের নলের ফুটা দিয়ে কয়েকবার করে বদনা দিয়ে পানি দেই, এরপর টিস্যু ভাজ করে প্রস্রাবের নলের ফুটা মুছি, তাহলে কি আমার রোজা ভেংগে যাবে?
(বিদ্র: ## এরকম করার কারণ হচ্ছে, প্রস্রাব করার পর প্রথমে টিস্যু ব্যবহার করতে গেলে আমার খালি মনে হয় যে টিস্যুটা ভিজে আমার হাতে লেগেছে কি লাগে নাই এরকম সন্দেহ হয়।
(তাই সেই হাত দিয়ে আমি আবার কল ছাড়তে পারি না)
তাই আমি প্রস্রাবের নলের ফুটো দিয়ে বদনা দিয়ে কয়েকবার পানি দেই এবং তারপর টিস্যু দিয়ে সেইটা মুছি। ★যাতে করে প্রথম পানি ঢালার ফলে নাপাক ধুয়ে যায় এবং পরে টিস্যু ব্যবহার করে সেটা মুছে ফেলা হয়।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে এছাড়া কি অন্য কোন উপায় আছে? যাতে আমার সন্দেহটা দূর হয়ে যায়? (যেহেতু আমি যদি টিসু প্রথমে ব্যবহার করতে চাই তাহল সেই হাত দিয়ে আমি আবার কল ছাড়তে পারি না)
প্রশ্ন:৩:
মসজিদে ঢোকার সময় অনেক সময় দেখা যায় যে, কিছু ছোট বাচ্চা টয়লেট বা ওয়াশরুম বা প্রস্রাবখানা ব্যবহার করে ভিজা পায়ে মসজিদে ঘোরাঘুরি করছে। তাই আমার কাছে কিছুটা সন্দেহ লাগে যে বাচ্চা গুলো আসলেই ঠিকমতো পবিত্রতা অর্জন করেছে কিনা। সাধারণত ৮ থেকে ১০ বা ১২ বছরের মধ্যে অনেক বাচ্চারা প্রস্রাব বা পায়খানা করার পর সঠিকভাবে পবিত্রতা অর্জন করেনা। ❗➡️ টিস্যু ও ব্যবহার করে না ।
এবং ভিজা পায়ে মসজিদে ঘোরাঘুরি করে।পাপোশে পা মুছে। ➡️ এর কারণে আমার কাছে মনে হয় যে, তারা যদি সঠিকভাবে পবিত্রতা অর্জন না করে এবং তাদের ভিজা পায়ে যদি নাপাক থাকে। তাহলে তো মসজিদ নাপাক হয়ে যাবে। সমস্যা হচ্ছে: ⬇️⬇️⬇️
❗ এখন আমার সমস্যা হচ্ছে মসজিদের সেই সকল জায়গায় আমার পা দিতে অস্বস্তি লাগে। ❗
##কিন্তু মসজিদে তো আর লাফিয়ে লাফিয়ে হাঁটা যায় না। মসজিদের বেশিরভাগ মানুষ হয়তো এগুলো নিয়ে ভাবেই না।
★কিন্তু ওয়াসওয়াসার কারণে এগুলো নিয়ে আমার অনেক ভাবা লাগে।
এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে যে সেই সব বাচ্চারা ওয়াশরুমের মধ্যে কি করে আমি তো তা জানি না।
এখন আমি কি সেই বাচ্চাদের ভিজা পায়ে চলাফেরার স্থান পাক ধরবো নাকি নাপাক ধরবো?###(বড় মানুষ হলে তাও মানা যায় ওরা তো বাচ্চা, তাই সন্দেহ আরো অনেক বেশি বেড়ে যায়)
➡️(এত মানুষের মধ্যে তখন তো আর মসজিদের ফ্লোর ধোয়া সম্ভবও না)
বি:দ্র: যদি নাপাক ধরা হয়, তাহলে কি করবো? অন্য মসজিদে যেয়ে নামাজ পরবো?
প্রশ্ন:৪:
রোজার সময় ঠোঁট ফেটে রক্ত বের হলে, সেই রক্ত মুছে ফেলার পর আবার সামান্য পরিমান বা একদম অনেক অল্প বের হলে সেই অল্প রক্তটুকু গিলে ফেললে কি রোজা ভেংগে যাবে?