আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in সাওম (Fasting) by (10 points)
আসসালামু আলাইকুম
আমার পরিচিত এক বোন কিছুদিন আগেই বাচ্চা কনসিভ করে।কিন্তু এই রোজার মধ্যে উনি ইকটু রক্ত দেখতে পান।ওনার এই অবস্থা কি হায়েজ হিসাবে ধরতে হবে?

১.এই অবস্থায় কি উনি রোজা রাখতে পারবে?রোজা কি হবে?

২.ওনার ৮মাসের একটা বাচ্চা আছে।উনি খুব দুর্বল হয়ে গেছেন।এখন উনি কি চাইলে এ অবস্থায় রোজা ভাঙতে পারবেন?

1 Answer

0 votes
by (559,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
https://ifatwa.info/7702/ ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ  
শরীয়তের বিধান হলো গর্ভাবস্থায় কোনো রক্ত আসলে সেটি ইস্তেহাজা তথা অসুস্থতা বলে গন্য হবে।
 এক্ষেত্রে নামাজ নিষেধ নয়।
পড়তেই হবে।

وما تراہ صغیرة دون تسع․․․ وحامل ولو قبل خروج أکثر الولد استحاضة (رد المحتار علی الدر المختار: ۱/۴۷۷، باب الحیض، زکریا)
সারমর্মঃ  গর্ভাবস্থায় সন্তান প্রসবের পূর্বে কোনো রক্ত আসলে সেটি ইস্তেহাজা।  
.
উল্লেখিত মাসয়ালা পূর্ণ ইবারতঃ 
(والناقص) عن أقلہ (والزائد) علی أکثرہ أو أکثرالنفاس أوعلی العادة وجاوز أکثرہما. (وما تراہ) صغیرة دون تسع علی المعتمد وآیسة علی ظاہر المذہب (حامل) ولو قبل خروج أکثر الولد (استحاضة.)(الدر المختار وحاشیة ابن عابدین (رد المحتار) 1/ ط:زکریا، دیوبند)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ
  
حَدَّثَنَا أَحْمَدُ بْنُ يُونُسَ، وَعَبْدُ اللَّهِ بْنُ مُحَمَّدٍ النُّفَيْلِيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا زُهَيْرٌ، حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عُرْوَةَ، عَنْ عُرْوَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ فَاطِمَةَ بِنْتَ أَبِي حُبَيْشٍ، جَاءَتْ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَقَالَتْ إِنِّي امْرَأَةٌ أُسْتَحَاضُ فَلاَ أَطْهُرُ أَفَأَدَعُ الصَّلاَةَ قَالَ " إِنَّمَا ذَلِكِ عِرْقٌ وَلَيْسَتْ بِالْحَيْضَةِ فَإِذَا أَقْبَلَتِ الْحَيْضَةُ فَدَعِي الصَّلاَةَ وَإِذَا أَدْبَرَتْ فَاغْسِلِي عَنْكِ الدَّمَ ثُمَّ صَلِّي " .

আহমাদ ইবনু ইউনূস ......... আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ফাতেমা বিন্তে আবূ হুবায়েশ (রাঃ) রাসূল্লুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের খিদমতে উপস্হিত হয়ে বলেন, আমি একজন ইস্তেহাযাগ্রস্ত মহিলা। দীর্ঘদিন যাবত আমার রক্তস্রাব বন্ধ হচ্ছে না। এ সময় কি আমি নামায ত্যাগ করব? তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ এটা বিশেষ শিরা হতে নির্গত রক্ত, হায়েযের রক্ত নয়। অতএব তোমার যখন হায়েযের নির্ধারিত সময় উপস্হিত হবে তখন নামায ত্যাগ করবে এবং ঐ সময় অতিক্রাস্ত হলে প্রত্যেক নামাযের পূর্বে রক্ত ধৌত করে অযু
 করে নামায আদায় করবে।
(আবু দাউদ ২৮২)
,

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই পরিচিত বোন উক্ত ব্লিডিংকে ইস্তেহাজা ধরে নামাজ রোযা চালিয়ে যাবে।
এটি হায়েজ নয়।

তার রোযা হবে।

বিস্তারিত উক্ত লিংক দ্রষ্টব্য।   

(০২)
এক্ষেত্রে যদি দুইজন বিজ্ঞ মুসলিম ডাক্তার তাকে বলে যে  এমতাবস্থায় রোযা রাখা তার শরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর, সেক্ষেত্রে সে রোযা না রাখতে পারবে।
পরবর্তীতে কাজা আদায় করবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ- 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...