আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
166 views
in সালাত(Prayer) by (27 points)
নিচ তলার আমার মা, স্ত্রী, বোন থাকে।
২য় তলায় মামী, ভাবী, মামাতে বোন নানী থাকে।

২য় তলার উনারা তেমন নামাজ পড়েন না।
তাই মা আমার স্ত্রীকে বলেছেন ইমাম হয়ে তারাবী পড়াতে। যাতে সব নারীরা থাকবেন। ফলে ২য় তলার যারা পড়েন না তারাও উৎসাহের সাথে পড়বে।
এই অবস্থায় আমার স্ত্রী কি মহিলাদের ইমাম হয়ে তারাবী পড়াতে পারবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
edited by
জবাবঃ- 
بسم الله الرحمن الرحيم 


https://ifatwa.info/40785/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছে, 
শরীয়তের বিধান মতে মহিলাদের ঘরে নামাজ আদায় করা উত্তম। 

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

ﻭَﻗَﺮْﻥَ ﻓِﻲ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻦَّ ﻭَﻟَﺎ ﺗَﺒَﺮَّﺟْﻦَ ﺗَﺒَﺮُّﺝَ ﺍﻟْﺠَﺎﻫِﻠِﻴَّﺔِ ﺍﻟْﺄُﻭﻟَﻰ ﻭَﺃَﻗِﻤْﻦَ ﺍﻟﺼَّﻠَﺎﺓَ ﻭَﺁﺗِﻴﻦَ ﺍﻟﺰَّﻛَﺎﺓَ ﻭَﺃَﻃِﻌْﻦَ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻭَﺭَﺳُﻮﻟَﻪُ ﺇِﻧَّﻤَﺎ ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻟِﻴُﺬْﻫِﺐَ ﻋَﻨﻜُﻢُ ﺍﻟﺮِّﺟْﺲَ ﺃَﻫْﻞَ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻭَﻳُﻄَﻬِّﺮَﻛُﻢْ ﺗَﻄْﻬِﻴﺮًﺍ

তরজমাঃ তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে। হে নবী পরিবারের সদস্যবর্গ। আল্লাহ কেবল চান তোমাদের থেকে অপবিত্রতা দূর করতে এবং তোমাদেরকে পূর্ণরূপে পূত-পবিত্র রাখতে।(সূরা-আহযাব-৩৩)

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  

হযরত উম্মে  হুমাইদ আস সাআদী রাযি. থেকে বর্ণিত, একবার তিনি রাসুলুল্লাহ ﷺ-এর নিকট এসে আরজ করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমি আপনার পিছনে নামাজ আদায় করতে চাই। নবী করীম ﷺ উত্তরে বললেন,

 قَدْ عَلِمْتُ أَنَّكِ تُحِبِّينَ الصَّلاةَ مَعِي وَصَلاتُكِ فِي بَيْتِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي حُجْرَتِكِ وَصَلاتُكِ فِي حُجْرَتِكِ خَيْرٌ مِنْ صَلاتِكِ فِي دَارِكِ وَصَلاتُكِ فِي دَارِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ وَصَلاتُكِ فِي مَسْجِدِ قَوْمِكِ خَيْرٌ لَكِ مِنْ صَلاتِكِ فِي مَسْجِدِي قَالَ فَأَمَرَتْ فَبُنِيَ لَهَا مَسْجِدٌ فِي أَقْصَى شَيْءٍ مِنْ بَيْتِهَا وَأَظْلَمِهِ فَكَانَتْ تُصَلِّي فِيهِ حَتَّى لَقِيَتْ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ

‘আমি ভালো করেই জানি, তুমি আমার পিছনে নামাজ আদায় করতে চাও। কিন্তু তোমার জন্য তোমার রুমে নামাজ আদায় করা অন্য রুমে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার ঘরের কোনো রুমে আদায় করা বাড়িতে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার  বাড়িতে নামাজ আদায় করা কওমের (এলাকার ) মসজিদে আদায় করার চেয়ে উত্তম। আর তোমার কওমের (এলাকার ) মসজিদে নামাজ আদায় করা আমার পিছনে নামাজ আদায় করার চেয়ে উত্তম। এরপর ঐ মহিলা তার অন্ধকার কুঠরিতে নামাজের জন্য জায়গা নির্ধারণ করে নেয়। এবং মৃত্যু পর্যমত সেখানেই নামাজ আদায় করতে থাকে।’ (মুসনাদে আহমাদ ৩৭/৪৫)
,
আরো জানুনঃ 

★শরীয়তের বিধান অনুযায়ী মহিলার জন্য মহিলাদের নামাজের ইমামতি করা মাকরুহে তাহরিমি।  
তবে যদি কখনো এমন ছুরত হয়,তাহলে মহিলা ইমাম কাতারের মাঝে দাড়াবে।
এইভাবে দাড়াবে যে ইমামামের পায়ের গোড়ালি মুক্তাদিদের পায়ের গোড়ালি থেকে কিছু আগে থাকবে। (কিতাবুন নাওয়াজেল ৪/২৪৮)
۔
হাদীস শরীফে এসেছে  

عن ریطۃ الحنفیۃ أن عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا أمتہن، وقامت بینہن في صلاۃ مکتوبۃ۔ (رواہ عبد الرزاق في مصنفہ والدار قطني في سننہ ۱؍۴۰۴، نصب الرایۃ ۱؍۲۴۰، إعلاء السنن ۴؍۲۲۷ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
যার সারমর্ম হলো হযরত আঈশা সিদ্দিকা রাঃ ইমামতি করেছিলেন,সেখানে তিনি কাতারের মাঝে দাড়িয়েছিলেন।

অন্য হাদিসে এসেছে    
عن عائشۃ أم المؤمنین رضي اللّٰہ عنہا أنہا کانت تؤم النساء في شہر رمضان فتقوم وسطاً، قال محمدؒ: لا یعجبنا أن تؤم المرأۃ فإن فعلت قامت في وسط الصف مع النساء کما فعلت عائشۃ رضي اللّٰہ عنہا وہو قول أبي حنیفۃؒ۔ (کتاب الآثار للامام محمدؒ ۱؍۲۰۳-۲۰۶، رمضان کے شرعی احکام: مصطفی عبد القدوس ندوی ۲۷۴، کتاب المسائل ۱؍۵۲۱)

হযরত আঈশা সিদ্দিকা রাঃ রমজান মাসে মহিলাদের জামাতের ইমামতি করতেন।
তিনি কাতারের মাঝে দাড়াতেন।    

کما تکرہ إمامۃ رجل لہن في بیت لیس معہن رجل غیرہ ولا محرم منہ کأختہ أو زوجتہ أو أمتہ أما إذا کان معہن واحد ممن ذکر أو أمہن في المسجد لا یکرہ۔ (الدر المختار مع الشامي ۲؍۳۰۷ زکریا)
সারমর্মঃ  
অনুরূপ ভাবে মহিলাদের ঐ ইমামের ইমামতি মাকরুহ, যেখানে তার সাথে অন্য কোনো পুরুষ না থাকে,অথবা ঐ ইমামের কোনো মাহরাম মহিলা (যেমন তারা স্ত্রী,বোন,মা) সেখানে শরিক না থাকে।
হ্যাঁ যদি ইমামের সাথে কোনো একজন পুরুষ থাকে,অথবা তার মাহরাম মহিলা সেই জামাতে থাকে,তাহলে এটি মাকরুহ নয়।
۔
বিস্তারিত জানুনঃ- 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার স্ত্রীর জন্য এভাবে ঈমামতি করা মাকরুহে তাহরিমি। 
অগত্যা তারপরেও ইমামতি করলে কাতারের মাঝে দাড়াবে।

তবে এক্ষেত্রে আপনি তাদের ইমাম হয়ে শরীয়তের বিধান মেনে তাদের ঈমামতি করতে পারবেন।

এক্ষেত্রে শরীয়তের বিধান হলো তারাবিহ এর ক্ষেত্রে যদি পুরুষ ইমাম হয়,এবং তার ইক্তেদায় পিছনে পর্দার সহিত মহিলারাও ঘরে শরিক হয়,এবং ইমামের পিছনে অন্য পুরুষরাও মুক্তাদী হয় অথবা মহিলাদের মধ্যে যদি ঐ ইমামের মাহরাম কেহ থাকে,তাহলে এভাবে তারাবিহ এর জামাতের সুযোগ রয়েছে।
তবে উত্তম হলো এখানে শুধু ঘরের মহিলারাই শামিল হবে,বাহিরের মহিলাদের সেখানে জমা হওয়ার দাওয়াত দিবেনা।
(কিতাবুন নাওয়াজেল ৫/৫৪. ফাতাওয়ায়ে রহিমিয়্যাহ ১/৩৪৭.ফাতাওয়ায়ে দারুল উলুম ৪/২৫০)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 229 views
...