১. এক ভাইয়ের এর হয়ে প্রশ্ন করছি -
"আমি এক মহিলাকে পছন্দ করতাম সেও আমাকে করতো । আমার ইচ্ছা ছিলো।তার ১৮ বছর হলে তাকে বিয়ে করে নেবে। অল্প দিনের পরিচয় আর আঠারো বৎসর হতে ৫/৬ মাস বাকি ছিলো এই সময়ে তার বাবা মা তার সাথে ওই নারীর যোগাযোগ বন্ধ করায় আমার প্রায় মারা যাবার মত অবস্থা।পাগলের মত কান্নাকাটি আর কোন কাজ ই করতে না পারার অবস্থা তৈরি হয় আমার বয়স ২০ বৎসর।
আমাড় মাথায় সব সময় এটা ঘুরতো যে আমার থেকে ওকে সরানোর জন্য ওকে তাবিজ করা হইসে। ও এমন মেয়ে না।
কদিন আগে জানতে পারি মেয়েটা অন্য ছেলেদের সাথে কথা বলে হাসি ঠাট্টা করে।
তবুও আমার মন মানতে পারছিলো না।
তখন আমার এক ভাই যিনি মাওলানা পরীক্ষা দিয়েছেন উনি বলতেছিলো যে তোমাকে যদি আমি হালাল ভাবে কিছু করে দেই তুমি কি করবা? হালাল ভাবে যদি নিয়ে আসা যায় তুমি কি আনবা?
আমি বলছি ভাই আমি কুফরি কিছু করবোনা।কোন আমল দিলে করবোনা কারন আমি ভাবতাম যে কোন আমল দিলে এর মাধ্যমে কুফরি কিছু করাবে। আমি বলেছি হালাল ভাবে হলে আমাকে এটা জানান যে ওকে কি তাবিজ করছে নাকি ও নিজে থেকে চলে গেছে।আপনি কি আমাকে বলতে পারবেন ও মেয়ের ক্যারেক্টার কেমন?
এরপর উনি জানায় (এক মহিলা হুজুর টাইপ থেকে যিনি তদবির করে, যা তথ্য দেয় তাই সত্য হয়, যেই তদবির দেয় সেটায় কাজ হয়) থেকে জানায় যে এই মেয়েকে তাবিজ করেছে আর এই তাবিজ দুই মাস আগে করেছে,তাবিজ করে তোমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করেছে, আরো ৭ সপ্তাহ এই মেয়ের তাবিজের প্রভাব থাকবে।
উনি আমাকে সব সময় এটাই বুঝাইছে যে এইটা হালালভাবে জানা যায়।তদবির নাকি হালাল, এটা হালাল।এটা হারাম নয়,আমরা নাকি অনেক মাস'আলা জানি না যেটা উনারা ছাড়া কেউ জানেনা। এগুলার অনেক ফাংশন থাকে যেগুলা আমি বুঝবোনা। কিন্তু হালাল এটা হারাম নয়। এটার গ্যারান্টি আছে যে কুফরির সংমিশ্রণ করবেনা।
আমার বোন বলতেছে এটা নাকি গণকের কাছে যাওয়া হয়েছে, এখন আমার ৪০ দিনের ইবাদাত কবুল হবেনা। আর বিশ্বাস করলে নাকি আমার ঈমান চলে গেছে,তওবা না করলে নাকি আমি কাফির অবস্থায় মারা যাব।
আমার প্রশ্ন হলো হুজুর,
১.আমি কি বিশ্বাস করলে বেঈমান হয়ে যাবো? আমি কি কাফির অবস্থায় মারা যাবো? উনি বলেছিল হালাল ভাবে জানবে তাই বিশ্বাস করে নিয়েছিলাম। আমাকে বলে যে এগুলা কুফরি না,কুফরি করলে মেয়ে হেটে হেটে চলে আসবে আমার কাছে। সামনে রমজান আমি কি করবো কিছুই মাথায় কাজ করতেছেনা.
২. যদি বিশ্বাস না করে তওবা করতাম তাহলে কি আমার ইবাদত কবুল হবে?
৩. এটা কি গণকের কাছে যাওয়া হয়েছে? আমার মন আমাকে ধোকা দিতে চাচ্ছে যে সে তো ভবিষ্যৎ নিয়ে গণনা না করে অতীত নিয়ে করেছে। এটা কি গণকের কাছে যাওয়ার হাদিসের দিকে ইংগিত করে?
৪. আমি কি ওই মেয়ে ফিরিয়ে আনার জন্য তদবির করবো?
উনি যে বলতেছে উনি হালাল ভাবে তাবিজ কাটায় দিবে এটা কি সত্য? যার সাথে বৈধ কোন সম্পর্ক নাই তাকে তাবিজ করে নিজের করে নেয়া কি জায়েজ হবে?
বি:দ্র: ওই মেয়ের ফ্যামিলি কখনো আমাকে মেয়ে দিবেনা।
৫. আমার মন থেকে কোন কিছু হবার আগে কামড় দেয়। মনে হয় এটা হবে ওটা হবে, তখন সেটা হয়।
কোন একটা জিনিসের দিকে আমার অন্তর ঝুকলে সেটাই ম্যাক্সিমাম সময় হয়।
এটা কি আল্লাহর তরফ থেকে নাকি শয়তানের তরফ থেকে?
এই অবস্থায় কি নিজের মনের সব কথা দৃড় বিশ্বাস করা যাবেম এতে কি নফসের গোলামি হবে?
৬.আমার মন সব সময় শুধু বলে যে ওকে তাবিজ করছে ওকে তাবিজ করছে। যতটা না ওই তদবির দাবী করা লোকের কথা য় বিশ্বাস হয়েছে,আমার মন বলেছে বলেই আমার বিশ্বাস হচ্ছে।এভাবে নিজের মন যা বলে তাই করা বা বিশ্বাস করা কি শরিয়ত সম্মত?
হুজুর একটু বলুন আমার তো রুহ শুকিয়ে আসছে,আমি কি করব!
অপরদিকে ওই নারীর এত বদ খাসলত দেখেও দুনিয়ার বিপক্ষে গিয়েও ওই নারীকে বিয়ে করতে মনে চায়। আমার আগে থেকে ওয়াস ওয়াসার সমস্যা ছিল, শয়তান মনে মনে ইসলাম,আল্লাহ নিয়ে আজে বাজে কথা আসতো।
আমি মনে মনে যুদ্ধ করতাম,ইস্তেতেগফার করতাম।এখন যদি ইমানহারা হই কিভাবে আবার কালিমা পড়ে বা ঈমান আনবো?
আরো একটু প্রশ্ন হুজুর, আমার ওই ভাই ঝাড়ফুক করতে হিন্দু লোককে বাড়ি নিয়ে আসে আর বকে এভাবে করলে।নাকি সমস্যানাই,কাজ করলে নাকি এদের দিয়ে করানো যায়।
একজন মুসলিম হয়ে বিধর্মি কারো কাছে সাহায্যের জন্য/ তদবিরের জন্য যাওয়া কি জায়েজ?ইমান থাকবে?