আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
245 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (20 points)
আসসালামু আ'লাইকুম ওয়াহরহমাতুল্লোহি ওয়াবারকাতুহ উস্তাজ,

আমার পুরো লিখা পড়বেন, আপনার বোন,মা, মেয়ে ভেবেই উত্তর দিবেন।
আমার কিছুদিন আগে বিয়ে হয় বিয়ের আগে ছেলেটিকে খুব অল্প সময় জানি।  তাকে আমি দ্বীনের প্রতি আগ্রহ, ইচ্ছা শক্তি, নামাজ কালাম,আর যে দ্বীন প্রেকটিস করবে তাকে সাপোর্ট দিবে দেখেই বাসায় হ্যা বলি।  তবে সে আমাকে জানায় ছেলেটি স্মুকিং করে সে বলেছে ছেড়ে দিচ্ছে। সে রাজনীতিতে ছিলো বলেছিলো দুই বছর আগে এখন আর নেই তাই আমি ওনাকে বিয়ে করার সীদ্ধান্ত নি তবে ইস্তেখারা করেছি ৯ বার।  ফ্যামিলি গত বিয়ে তবুও দ্বীনের উপর অঢল থেকে যতটুকু ঠিক ভাবে করা যায় করেছি৷

আমার বাবা তার বেকারত্ব আর্থিক হাল দেখে না বলতে চাইসে আমি ইনসাফ হবেনা দেখে অর্থ সম্পদ এর লোভ হবে দেখে আমি বলেছি আল্লাহর সম্পদ তিনি দিবেন আমার রিজিক ত আমার রবের হাতে সে ত বান্দা৷ আমি একজন এচেনা মানুষের জন্য ইনসাফের বেলায় হকের বেলায় সচেতন ছিলাম তবে কেন আমার বেলায় উলটো হলো।
কিন্তু বিয়ের ১৩-১৪ দিনের মাথায় সে রাজনীতির পোগ্রামে যায় স্মুক ত প্রতিদিন করে তাহলে সে আমাকে ঠকালো না? সে বলে ঠকায়নি বদলাবে আমাকে ত বিগে করেছে চ্যাঞ্জ হতে আমি নেয়ামত স্বরুপ!
এর ভেতরে আমি জানতে পারি তার বিয়ের ৪-৩ বছর আগে হারাম সম্পর্ক ছিলো একটা না তাও।  এর ভেতরে সে একজনের সাথে একাধিক বার হারাম সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে ভ্যাবিচারে (ফিজিক্যালি) এটা আমি শুরুতেই আন্দাজ করেছিলাম কিন্তু সে মিথ্যা বলেছে আমি ভাবলাম শয়তান এর ওয়াস ওয়াসা স্কিপ করি।
পরে সাম হাউ আমি এ সব কিছু জেনে যায় তার সব অতির আমার কাছে প্রকাশ হয়।  সে আমাকে এই সত্য লুকিয়ে বিয়ে করসে তাহলে কি সে আমাকে ঠকালো না? প্রতারণা করেনি

তাকে জিজ্ঞাসা করেছি আর বলে না সে করেনি তার এসব অতীত বর্তমানে সে এমন কিছুতে নেই।  তাকে ক্ষমা করতাম।  বিয়ের আগে দেখাইসে এক এখন দেখি আরেক এভাবে আমাকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে এমন হাকিকত এর সাথে আমি তার সাথে নিজেকে আর মানাতে পারছিনা মাত্র এই অল্প কয়েকদিনের ব্যাবধানে আমার তার প্রতি ঘেন্নাহ এসে গেসে৷  আমি তার থেকে আলাদা হতে চাই এই সম্পর্কে ইসলাম কি বলে? আমি কি বড় গুনাহ করে ফেলবো সংসার না করলে? আমি ত ভ্যাবিচারে ছিলাম না তবে কেন এমন হলো?  আমি ত এমন কিছু করিনি!!!  আমি বিয়ে টা করেছি কেন? হারাম থেকে বাচতে জিনাহ থেকে বাচতে দ্বীন কে সুন্দর ভাবে ফলো করতে অথচ আমি ধংস হয়ে গেসি ঠকে গেসি মেন্টালি সিক হয়ে যাচ্ছি স্বলাত আদায় করার শক্তি হারায় ফেলসি।
আমি আপনাদের আই ও এম এর স্টুডেন্ট তালিম দেয়া, অন্য জাগায় ক্লাস নেয়া নিজে ক্লাস করা আমলের সাথে থাকা সব কিছুতে উঠা বসা দ্বীনি কাজের দাওয়াত দেয়া আল্লাহর ইচ্ছেলে আমার ওসিলাই অনেক বোন কে দাওয়াত দিয়ে দ্বীনের দিকে টেনেছি।  এখন সেই আমার দ্বীন আর আমার কাছে নেই আমি আল্লাহ কে পাইনা আমি কিছু পাইনা আমি শান্তিতে নেই।  এমতা অবস্থায় কি করতে পারি।
আমার পিতা মাতা দ্বীনদার না তারা আমার সব কিছু জানেনা আমি সহ্য করতেসি।  তাদের বলেও লাভ নেই তারা আমাকে ছুটতে দিবেনা বলবে থেকে যেতে।  একটু ভেবে জানান আমার কি করা উচিৎ।  এই লোক কে সহ্য করা যাচ্ছেনা আর।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ كَفَرُوا امْرَأَتَ نُوحٍ وَامْرَأَتَ لُوطٍ ۖ كَانَتَا تَحْتَ عَبْدَيْنِ مِنْ عِبَادِنَا صَالِحَيْنِ فَخَانَتَاهُمَا فَلَمْ يُغْنِيَا عَنْهُمَا مِنَ اللَّهِ شَيْئًا وَقِيلَ ادْخُلَا النَّارَ مَعَ الدَّاخِلِينَ
আল্লাহ তা’আলা কাফেরদের জন্যে নূহ-পত্নী ও লূত-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। তারা ছিল আমার দুই ধর্মপরায়ণ বান্দার গৃহে। অতঃপর তারা তাদের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করল। ফলে নূহ ও লূত তাদেরকে আল্লাহ তা’আলার কবল থেকে রক্ষা করতে পারল না এবং তাদেরকে বলা হলঃ জাহান্নামীদের সাথে জাহান্নামে চলে যাও।
وَضَرَبَ اللَّهُ مَثَلًا لِّلَّذِينَ آمَنُوا امْرَأَتَ فِرْعَوْنَ إِذْ قَالَتْ رَبِّ ابْنِ لِي عِندَكَ بَيْتًا فِي الْجَنَّةِ وَنَجِّنِي مِن فِرْعَوْنَ وَعَمَلِهِ وَنَجِّنِي مِنَ الْقَوْمِ الظَّالِمِينَ
আল্লাহ তা’আলা মুমিনদের জন্যে ফেরাউন-পত্নীর দৃষ্টান্ত বর্ণনা করেছেন। সে বললঃ হে আমার পালনকর্তা! আপনার সন্নিকটে জান্নাতে আমার জন্যে একটি গৃহ নির্মাণ করুন, আমাকে ফেরাউন ও তার দুস্কর্ম থেকে উদ্ধার করুন এবং আমাকে যালেম সম্প্রদায় থেকে মুক্তি দিন।(সূরা তাহরীম-১০-১১)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
দেখুন তো আল্লাহ কি দৃষ্টান্ত দিচ্ছেন। দেখুন হযরত আসিয়া (আঃ) কতটুকু ধর্য্য ধারণ করেছিলেন।

আপনাকে ধোকা দেয়ার কারণে যদিও আপনার জন্য বিবাহ ভঙ্গ করার রুখসত রয়েছে, তবে আপনাকে ধর্য্য ধারণ করে সংসার চালিয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দেবো।

কোনো পুরুষ ধোকা দিয়ে বিয়ে করলে, এক্ষেত্রে শরয়ী বিধান হলো

ﻟَﻮْ اﻧْﺘَﺴَﺐَ اﻟﺰَّﻭْﺝُ ﻟَﻬَﺎ ﻧَﺴَﺒًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﻧَﺴَﺒِﻪِ ﻓَﺈِﻥْ ﻇَﻬَﺮَ ﺩُﻭﻧَﻪُ ﻭَﻫُﻮَ ﻟَﻴْﺲَ ﺑِﻜُﻒْءٍ ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِﺛَﺎﺑِﺖٌ ﻟِﻠْﻜُﻞِّ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻛُﻔُﺆًا ﻓَﺤَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﺩُﻭﻥَ اﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ، ﻭَﺇِﻥْ ﻛَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﻇَﻬَﺮَ ﻓَﻮْﻕَ ﻣَﺎ ﺃَﺧْﺒَﺮَ ﻓَﻼَ ﻓَﺴْﺦَ ﻷَِﺣَﺪٍ.............الي ان قال ............ ﻟَﻜِﻦْ ﻇَﻬَﺮَ ﻟِﻲ اﻵْﻥَ ﺃَﻥَّ ﺛُﺒُﻮﺕَ ﺣَﻖِّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻟَﻬَﺎ ﻟِﻠﺘَّﻐْﺮِﻳﺮِ ﻻَ ﻟِﻌَﺪَﻡِ اﻟْﻜَﻔَﺎءَﺓِ ﺑِﺪَﻟِﻴﻞِ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻮْ ﻇَﻬَﺮَ ﻛُﻔُﺆًا ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟَﻬَﺎ ﺣَﻖُّ اﻟْﻔَﺴْﺦِ ﻷَِﻧَّﻪُ ﻏَﺮَّﻫَﺎ، ﻭَﻻَ ﻳَﺜْﺒُﺖُ ﻟِﻷَْﻭْﻟِﻴَﺎءِ ﻷَِﻥَّ اﻟﺘَّﻐْﺮِﻳﺮَ ﻟَﻢْ ﻳَﺤْﺼُﻞْ ﻟَﻬُﻢْ،
যদি স্বামী নিজেকে নিজস্ব বাস্তব বংশ ব্যতীত ভিন্ন বংশের লোক বলে দাবী করে,এবং পরবর্তীতে এর চেয়ে নিম্নমানের বংশ প্রমাণিত হয়,তাহলে সে উক্ত মেয়ের কু'ফু হতে পারবে না,এবং মহিলা ও মহিলার অভিবাবক সকলের জন্যই বিবাহকে কাযীর মাধ্যমে ভঙ্গ করা অধিকার থাকবে।
কিন্তু যদি পরবর্তীতে এমন বংশ প্রমাণিত হয়,যা উক্ত মেয়ের কু'ফু অবশ্য হবে(কিন্তু সে প্রথমে বাড়িয়ে মিথ্যে বলেছিলো)তাহলে ও মহিলার বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে।যদিও ওলীর থাকবে না।
আর যদি তার বর্ণনাকৃত বংশের চেয়েও পরবর্তীতে উচ্ছ বংশ প্রমাণিত হয় তাহলে কারো বিবাহ ভঙ্গের অধিকার থাকবে না।

(ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেন)
বর্তমানে আমার কাছে এটাই প্রস্ফুটিত হয়েছে যে,মহিলার জন্য ফসখের অধিকার স্বামীকে শাস্তি দেয়ার জন্যই।কু'ফু র সমতা না থাকাতে নয়।
কেননা ছেলে মিথ্যা বলার পরও যদি তার এমন বংশ প্রমাণিত হয় যা ঐ মহিলার সমকক্ষ,তাহলেও মহিলার ফসখের অধিকার অর্জন হয়।এজন্য যে, পুরুষ মিথ্যা বলে মহিলাকে ধোকা দিতে চেয়েছিলো।এবং এজন্যই অভিবাবকদের জন্য ফসখের অধিকার অর্জন হবে না।কারণ সে অভিবাবকদের সাথে শাস্তিযোগ্য কোনো অপরাধ করেনি।(রদ্দুল মুহতার-৩/৫০১)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...