(০১)
এ কথা পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
(০২)
না কোনো কাজা নেই।
কেননা কাজারো উপর ফরজ গোসল আদায় আবশ্যক হয়ে গেলে সে তো ফরজ গোসল করার আগ পর্যন্ত পাকই হয়না।
সুতরাং পরবর্তীতে তাকে পাক হতে হলে তো ফরজ গোসল করতেই হবে।
তার মানে বিলম্বে হলেও সে ফরজ গোসল আদায় করেছেই।
,
সুতরাং আগে তাৎক্ষনিক ফরজ গোসল না করার দরুন তার কাজা আসবেনা।
(০৩)
না,সেগুলোর কাজা আদায়ের প্রয়োজন নেই।
(০৪)
এখন একবার সঠিকভাবে ফরজ গোসল করলেই নামায পড়া যাবে।
আপনি যদি পূর্বেই সঠিক ভাবে ফরজ গোসল আদায় করে থাকেন,সেক্ষেত্রে এখন ফরজ গোসল করতে হবেনা।
(০৫)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، فِي الرَّجُلِ يَغْتَسِلُ مِنَ الْجَنَابَةِ فَيَنْضَحُ فِي إِنَائِهِ مِنْ غُسْلِهِ، فَقَالَ: لَا بَأْسَ بِهِ
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. ফরয গোসলের সময় পাত্রে পানির ছিটা পড়া সম্পর্কে বলেন, এতে কোনো সমস্যা নেই।
-মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস ৭৮৯; কিতাবুল আছল ১/২০; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৮; মাবসূত, সারাখসী ১/৪৬; বাদায়েউস সানায়ে ১/২১১; আলবাহরুর রায়েক ১/৭০
অপবিত্র কাপড় তিনবার ধৌত করার পর পবিত্র হয়ে যাবে। ধৌত করার সময় ব্যবহৃত পানির ছিটা উক্ত কাপড়ে লাগলে কোনো অসুবিধা নেই।
(আল মুহিতুল বুরহানি : ১/২২৩, হিন্দিয়া : ১/৪২)
★শরীয়তের বিধান হলো নাপাক কাপড় ধোয়ার সময় ছিটে আসা পানি নাপাক।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছিটে আসা পানি নাপাক।
নিশ্চিত ভাবে শরীরে বা কাপড়ে সেই ছিটে আসা পানি লাগলে এক দিরহামের চেয়ে কম লাগলে তাহা মাফ।