তালাক সংক্রান্ত একটি বিষয়ে জানার জন্য

Question

আসসালামু আলাইকুম,

প্রশ্ন) আমার স্ত্রী তার বাবার বাড়িতে ছিলো । আমিও তার সাথেই আমার শশুর বাড়িতে ছিলাম । তার বাড়ি এবং আমাদের বাড়ি পাশাপাশি হওয়ায় আমি আমার একটু কাজে  আমার বাড়িতে আসি। আমার বাড়িতে আসার পর মোবাইলে তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। এমতাবস্থায় আমার স্ত্রী ও আমার বাসায় আসে এবং আমাদের মধ্যে অনেক ঝগড়াঝাটি হয় এবং সে ( আমার স্ত্রী) তাকে যেন ছেড়ে দেই এই কথা বলে । আমি উত্তরে আর তেমন কিছু বলিনি । ভয় দেখানোর জন্য ভবিষ্যতের দিকে ইংগিত করে কিছু বলি যাতে তা*** সংক্রান্ত কোন সমস্যা না হয়।

এই ঘটনার  পর আমার ফ্যামিলি এবং তার ফ্যামিলি দুই পক্ষ বসে একটা সমাধান করে।বিষয়টা সমাধান হওয়ায়ার পর আমার স্ত্রী ও তার এক আত্মীয় পুনরায় আমাকে তাদের বাসায় যেতে বলে । আমি বলি যে আমি এখন যাবোনা । আমার চিন্তা ছিলো যে এখন গেলে গরম মাথায় ঝগড়া হতে পারে এবং আমারো কিছু কাজ আছে সেগুলো সেড়ে পড়ে যাবো।তারা আমাকে রিকোয়েস্ট করতেই থাকে কিন্তু আমি এখন যাবোনা, পড়ে যাবো । এই কথা বলার পর আমার স্ত্রী এবং তার এক আত্মীয় উনাদের বাসায় যাওয়ার জন্য রওনা দেয়।তখনো আমি বাসায় ছিলাম। হঠাত তার আত্মীয় আবারো  বাসায় এসে আমাকে যাওয়ার  জন্য আবারো  রিকোয়েস্ট করে তখন আমি উনাকে আমার  স্ত্রীর কথা জিজ্ঞেস করলাম যে ,সে কোথায় এখন ? অই আত্মীয় তখন উত্তর দেয় যে , সে ( আমার স্ত্রী) বাসার সামনে আছে? একটু পর আমি রেডি হয়ে দেখি যে সে ( স্ত্রী) বাসার সামনে ছিলোনা। অনেক খোজাখুজির পর জানতে পারি যে সে রাগ করে তার অন্য এক আত্মীয়ের বাসায় যায়। পরে সেখান থেকে তার বাসার মানুষ অনেক বুঝিয়ে তার বাসায় আনে।

এই পুরো ঘটনার তা***  সংক্রান্ত কোন সমস্যা হতে পারে কি? যেহেতু প্রথম ঘটনায় ছেড়েদেওয়ার কথা বললে সেখানে ভবিষ্যতের দিকে ইংগিত করে বলার কারনে তা*** সংক্রান্ত কোন সমস্যা হবে না এমনটা প্রশ্ন করে  উত্তর পেয়েছি গতকাল।
তারপরের ঘটনায় বাসা থেকে রাগ করে বেরহয়ে যাওয়ার ঘটনায় সেটা অনাকাঙ্ক্ষিত ।সেটাতো আমি চাইনি যে সে এমন করুক ।আমি চেয়েছিলাম যে মাথা ঠান্ডা হউক তারপর আমি আমার কাজ গুলো সেড়ে তার বাসায় যাবো।

Answer 1

জবাবঃ-

وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 

بسم الله الرحمن الرحيم

আল্লাহ তা'আলা বলেন,

الرِّجَالُ قَوَّامُونَ عَلَى النِّسَاء بِمَا فَضَّلَ اللّهُ بَعْضَهُمْ عَلَى بَعْضٍ وَبِمَا أَنفَقُواْ مِنْ أَمْوَالِهِمْ فَالصَّالِحَاتُ قَانِتَاتٌ حَافِظَاتٌ لِّلْغَيْبِ بِمَا حَفِظَ اللّهُ وَاللاَّتِي تَخَافُونَ نُشُوزَهُنَّ فَعِظُوهُنَّ وَاهْجُرُوهُنَّ فِي الْمَضَاجِعِ وَاضْرِبُوهُنَّ فَإِنْ أَطَعْنَكُمْ فَلاَ تَبْغُواْ عَلَيْهِنَّ سَبِيلاً إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيًّا كَبِيرًا

পুরুষেরা নারীদের উপর কৃর্তত্বশীল এ জন্য যে, আল্লাহ একের উপর অন্যের বৈশিষ্ট্য দান করেছেন এবং এ জন্য যে, তারা তাদের অর্থ ব্যয় করে। সে মতে নেককার স্ত্রীলোকগণ হয় অনুগতা এবং আল্লাহ যা হেফাযতযোগ্য করে দিয়েছেন লোক চক্ষুর অন্তরালেও তার হেফাযত করে। আর যাদের মধ্যে অবাধ্যতার আশঙ্কা কর তাদের সদুপদেশ দাও, তাদের শয্যা ত্যাগ কর এবং প্রহার কর। যদি তাতে তারা বাধ্য হয়ে যায়, তবে আর তাদের জন্য অন্য কোন পথ অনুসন্ধান করো না। নিশ্চয় আল্লাহ সবার উপর শ্রেষ্ঠ।(সূরা নিসা-৩৪)

এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-https://www.ifatwa.info/6149

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,

এই পুরো ঘটনায় তালাক সংক্রান্ত কোনো সমস্যা হবেনা।

আপনি নিশ্চিন্তে থাকুন, আপনাদের বৈবাহিক সম্পর্ক আগের মতোই বহাল রয়েছে।  আলহামদুলিল্লাহ।