জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
এক্ষেত্রে প্রধানত নিয়ত থাকতে হবে আল্লাহকে রাজি খুশি করানো,তাহলে এতে অন্য কিছুর নিয়ত (ডায়েট করার নিয়ত) রাখলে কোনো সমস্যা হবে না।
বিস্তারিত জানুনঃ
,
(০২)
যদি কাপরে মযির চিহ্ন দৃশ্যমান থাকে,আপনি নিশ্চিত ভাবে সেটা বুঝতে পারেন যে ইহা আর ছড়িয়ে যায়নি।
শুধু এতটুকুই।
তাহলে শুধু উক্ত জায়গা তিনবার ধুয়ে নিয়ে প্রত্যেকবার নিংড়ানো হলে তাহা পাক হবে।
হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,
أَنَّ النَّبِيَّ ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ
হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)
বিস্তারিত জানুনঃ
(০৩)
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
(قوله: وطين شارع)طين الشوارع عفو وإن ملأ الثوب للضرورة ولو مختلطا بالعذرات وتجوز الصلاة معه.................أقول: والعفو مقيد بما إذا لم يظهر فيه أثر النجاسة كما نقله في الفتح عن التجنيس
প্রয়োজনের ধরুণ রাস্তার মাঠি ক্ষমাযোগ্য। যদিও কাপড় মাঠি দ্বারা লেপ্টে যাউক না কেন এবং যদিও সেই মাঠি নাজাসত দ্বারা মিশ্রিত হউক না কেন।এদ্ধারা নামায বিশুদ্ধ হবে।তবে যদি নাজাসতের চিন্থ দৃশ্যমান থাকে,(এক দিরহামের বেশী হলে)তাহলে নামায বিশুদ্ধ হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৪২৪)
,
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিল্ডিংয়ের উপর থেকে যে পানির ছিটা কাপড়ের উপর আসে,বিল্ডিংয়ের কোথা থেকে এই পানি আসলো, এটা নাপাক না পাক,ইত্যাদি যদি কোনোভাবেই নির্দিষ্ট না করতে পারেন,নাপাকির চিন্থ যদি দৃশ্যমান না হয়,নাপাকির গন্ধও যদি না পাওয়া যায়,তাহলে কোনো সমস্যা নেই।
আপনার কাপড় পবিত্র।
,
আরো জানুনঃ