জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم
যদি খেলার গেঞ্জিতে দলীয় লোগোতে ক্রুশ চিহ্ন অংকিত হয়ে থাকে, তাহলে কোন মুসলমানের জন্য উক্ত গেঞ্জি পরিধান করা জায়েজ নয়।
কোন মুসলমানের জন্য বিধর্মীদের ধর্মীয় প্রতীক বা ধর্মীয় ইউনিফর্ম ব্যবহার সম্পূর্ণ হারাম।
সেই হিসেবে খৃষ্টানদের ধর্মীয় প্রতীক যেহেতু ক্রুশ তাই। তাই ক্রুশ চিহ্নিত কোন পোশাক পরিধান করা মুসলমান সন্তানের জায়েজ হবে না।
আল্লাহ তাআলা আমাদের খাঁটি মুসলমান হয়ে কবরে যাওয়ার তৌফিক দান করুন।
বিধর্মীদের ধর্মীয় প্রতীক ব্যাবহারের প্রতি হাদীসের মাঝে কঠোর হুশিয়ারী উচ্চারিত হয়েছে।
যেমন-
عَنِ ابْنِ عُمَرَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « مَنْ تَشَبَّهَ بِقَوْمٍ فَهُوَ مِنْهُمْ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রা. থেকে বর্ণিত। রাসূল সা. ইরশাদ করেছেন-যে ব্যক্তি যার সাদৃশ্য গ্রহণ করে সে তাদেরই অন্তর্ভুক্ত হবে।
(আবু দাউদ শরীফ, হাদিস নং-৪০৩৩, মুসনাদুল বাজ্জার, হাদিস নং-২৯৬৬, মুসনাদে আব্দুর রাজ্জাক, হাদিস নং-২০৯০৮৬)
যে কাপড়ে অমুসলিমদের কোন ধর্মীয় প্রতীক (যেমন ক্রুশ, শঙ্খ প্রভৃতি) থাকে, সে কাপড় (ও অলঙ্কার) ব্যবহার বৈধ নয়।
.
★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত গেঞ্জি পরিধান করা জায়েজ নেই।
হ্যা যদি উক্ত চিহ্ন কেটে ফেলা হয়,তাহলে সেই গেঞ্জি পরিধান করা জায়েজ আছে।
মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, ‘নবী (সাঃ) বাড়িতে কোন জিনিসে ক্রুশ দেখলেই তা কেটে ফেলতেন।’ (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ৪১৫১ নং)
بَابُ إِنْ صَلَّى فِي ثَوْبٍ مُصَلَّبٍ أَوْ تَصَاوِيرَ هَلْ تَفْسُدُ صَلاَتُهُ وَمَا يُنْهَى عَنْ ذَلِكَ
ক্রুশ চিহ্ন অথবা ছবিযুক্ত কাপড়ে সালাত ফাসিদ হবে কিনা এবং এ সম্মন্ধে নিষেধাজ্ঞা
حَدَّثَنَا أَبُو مَعْمَرٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَمْرٍو، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَارِثِ، قَالَ حَدَّثَنَا عَبْدُ الْعَزِيزِ بْنُ صُهَيْبٍ، عَنْ أَنَسٍ، كَانَ قِرَامٌ لِعَائِشَةَ سَتَرَتْ بِهِ جَانِبَ بَيْتِهَا فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " أَمِيطِي عَنَّا قِرَامَكِ هَذَا، فَإِنَّهُ لاَ تَزَالُ تَصَاوِيرُهُ تَعْرِضُ فِي صَلاَتِي ".
(৩৬৭)আবূ মা’মার ‘আবদুল্লাহ ইবনু আমর (রহঃ) .... আনাস (রাঃ) থেকে বর্ণিত, ‘আয়িশা (রাঃ)-এর কাছে একটা বিচিত্র রঙের পাতলা পর্দার একটা কাপড় ছিল। তিনি তা ঘরের একদিকে পর্দা হিসাবে ব্যাবহার করছিলেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমার সম্মুখ থেকে এই পর্দা সরিয়ে নাও। কারণ সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করার সময় এর ছবিগুল আমার সামনে ভেসে ওঠে।
(বুখারী ২৫৬)
,
★উক্ত গেঞ্জির ক্রুশ চিহ্ন যদি কোনো কিছু দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়,তাহলেও যেহেতু উক্ত নাজায়েজ কাপড় পরিধান করতেই হচ্ছে,তাই সেটিও নাজায়েজ।
,
তবে কিছু উলামায়ে কেরামগন বলেছেন যে উক্ত চিহ্ন ঢেকে দেওয়া সেটা কেটে ফেলার হুকুমেই,তাই সেই সময় সেটি পরিধান করা জায়েজ আছে।
তবে সতর্কতা মূলক সেটি পরিধান না করাই ভালো।