ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
রাসূলুল্লাহ সাঃ কে আল্লাহ তা'আলা ৪ টি বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে প্রেরণ করেছেন।এ সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,
هُوَ الَّذِي بَعَثَ فِي الْأُمِّيِّينَ رَسُولًا مِّنْهُمْ يَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِهِ وَيُزَكِّيهِمْ وَيُعَلِّمُهُمُ الْكِتَابَ وَالْحِكْمَةَ وَإِن كَانُوا مِن قَبْلُ لَفِي ضَلَالٍ مُّبِينٍ
তিনিই নিরক্ষরদের মধ্য থেকে একজন রসূল প্রেরণ করেছেন, যিনি তাদের কাছে পাঠ করেন তার আয়াতসমূহ, তাদেরকে পবিত্র করেন এবং শিক্ষা দেন কিতাব ও হিকমত। ইতিপূর্বে তারা ছিল ঘোর পথভ্রষ্টতায় লিপ্ত।(সূরা-জুমুআহ-২)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর ৪ টি দায়িত্বের একটি দায়িত্ব হল,আত্মসুদ্ধি। এই আত্মসুদ্ধির অপর নাম তাসাউফ।তাসাউফ সম্পর্কে জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/1037
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
বাইয়াত ব্যতীত মৃত্যুকে জাহিলিয়াতের মৃত্যু বলে যেই হাদীস রয়েছে, সেই হাদীস মূলত রাষ্ট্রর হাকিমের অানুগত্য করা উদ্দেশ্য। আপনি হাদিসটির প্রতি লক্ষ্য করলেই বুছতে পারবেন।
রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
من مات وليس في عنقه بيعة مات ميتة جاهلية
‘যে ব্যক্তি মৃত্যুবরণ করলো, অথচ তার কাঁধে আনুগত্যের বাই‘আত নেই, সে জাহিলিয়্যাতের উপর মৃত্যুবরণ করলো’।(সহীহ মুসলিম-১৮৫০)
(১) বাইয়াত বলতে গোনাহ কে পরিত্যাগ করার নিমিত্তে কাউকে শিক্ষক/পরামর্শক হিসেবে গ্রহণ করে নেওয়া, এটা এখনো জরুরী।তবে মাজার কেন্দ্রিক পীর মুরিদির যে পদ্ধতি রয়েছে, সেটা অবশ্যই পরিত্যাজ্য।
(২) গোনাহ পরিত্যাগ করার জন্য নেককার কারো সংস্পর্শ গ্রহণ করে উনার পরামর্শ মোতাবেক পরিচালিত হতে হবে।
(৩) মহিলা নেককার মহিলার সংস্পর্শ গ্রহণ করবে।অথবা পর্দার আড়ালে থেকে নেককার কোনো আলেম ওয়াজ নসিহত শ্রবণ করে নিজেকে সংশোধন করার চেষ্টা করবে।