বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
শরীয়তের বিধান মতে সাড়ে ৫২ ভরি রুপা বা সমপরিমাণ টাকা দৈনন্দিন প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত হলে ও বছর পূর্ণ হলে তার উপর যাকাত ফরজ।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عن أبي سعيد الْخُدْرِي رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : «ليس فيما دون خمس أَوَاقٍ صدقة، ولا فيما دون خمس ذَوْدٍ صدقة، ولا فيما دُونَ خمسة أَوْسُقٍ صدقة».
[صحيح] - [متفق عليه]
আবূ সা‘ঈদ আল-খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “পাঁচ উকিয়ার কম রৌপ্যমুদ্রায় যাকাত নেই এবং পাঁচটি উটের কমের ওপর যাকাত নেই। পাঁচ ওয়াসাক এর কম শষ্যের ওপর যাকাত নেই।”
(বুখারী,মুসলিম)
★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
শরীয়তের বিধান হলো যদি কাহারো কাছে সোনা-রুপা, টাকা-পয়সা কিংবা বাণিজ্য-দ্রব্য- এগুলোর কোনোটি পৃথকভাবে পূর্ণ নিসাব পরিমাণ না থাকে, কিন্তু এসবের একাধিক সামগ্রী এ পরিমাণ রয়েছে, যা একত্র করলে সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার সমমূল্য বা তার চেয়ে বেশি হয় তাহলে এক্ষেত্রে সকল সম্পদ হিসাব করে যাকাত দিতে হবে।
(মুসান্নাফে আবদুর রাযযাক হাদীস ৭০৬৬,৭০৮১; মুসান্নাফে ইবনে আবী শায়বা ৬/৩৯৩)
আরো জানুনঃ
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
বর্তমান বাজার দর অনুযায়ী ২২ ক্যারেট রুপার এক ভরি ১৭১৪ টাকা।
২১ ক্যারেট রুপার এক ভরি ১৬৩২ টাকা।
১৮ ক্যারেট রুপার এক ভরি ১৪০০ টাকা।
গরিবদের লাভের দিক লক্ষ্য করে ১৮ ক্যারেট রুপার মুল্য ধরে যাকাত ফরজ হবে।
সেক্ষেত্রে সাড়ে বাহান্ন ভরি রুপার বর্তমান মূল্য ১৪০০× ৫২.৫= ৭৩৫০০ টাকা।
এলাকা ভেদে মুল্য কিছুটা কম বেশি হতে পারে।
সুতরাং কাহারো নিকট যদি ৭৩৫০০ টাকা থাকে,এই টাকা তার দৈনন্দিন প্রয়োজন থেকে অতিরিক্ত হলে ও বছর পূর্ণ হলে তার উপর যাকাত ফরজ হবে।
(০২)
বছরের শুরু আর শেষে যেহেতু নেসাব পূর্ণ ছিলো,তাই প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনার উপর যাকাত ফরজ হবে।
বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৩)
যেদিন আপনার বছর পূর্ণ হবে,সেদিনেই যাকাত প্রদান করতে হবে।
বিনা ওযরে দেড়ি করা ঠিক হবেনা।
★রমজান মাসে যে কোন আমলের সওয়াব অন্য মাসের তুলনায় বহুগুণে বর্ধিত করে দেয়া হয়।
এ মাসে একটি নফল এবাদত করলে একটি ফরজের সমান সওয়াব প্রদান করা হয় এবং একটি ফরজ আদায় করলে সত্তরটি ফরজ আদায় করার সমান সওয়াব প্রদান করা হয়। অর্থাৎ যে কোন আমলের সওয়াব রমজান মাসে বহুগুণে বৃদ্ধি করে দেওয়া হয়।
একারণে উলামায়ে কেরামগন বলেন যে কেউ যদি এই মাসে ফরজ যাকাত আদায় করে তাহলে অন্য মাসের তুলনায় বহুগুণ বেশি সওয়াব লাভ করবে।
সাধারণত আমাদের দেশের অনেকে রমজানে বেশি ছওয়াবের আশায় যাকাত প্রদান করে থাকেন।