আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
175 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
আসসালামুআলাইকুম হুজুর।ছেলে না থাকলে বাবা সম্পত্তি ছাড়া পার্সোনাল টাকার ভাগ ও কি ওয়ারিশরা দাবি করতে পারে?যে টাকা চাকুরি শেষে পেয়েছে। একান্তই ব্যাক্তিগত টাকা। যা তার মেয়েদের ভবিষ্যতে জন্য রেখে গেছে। উল্লেখ্য আমার বাবা তার সম্পত্তি কারো নামে লিখে দিয়ে যায় নাই। তার দুই মেয়ে এখন বাবা মারা যাওয়ার পর সম্পত্তি অন্য সকল ওয়ারিশ দের কাছে চলে গেছে। তারা সবাই এখন হকদার ।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে তারা আমার বাবার সম্পত্তি কতোটুকু পাবে? এবং আমার বাবা চাকরি শেষে এককালীন অর্থ পেয়েছে যা একান্তই ব্যাক্তিগত এখন এই টাকার ভাগ ও অন্য ওয়ারিশরা পাবে? যা তারা বর্তমানে দাবি করছে? এই সম্পর্ক ইসলাম কি বলে? আমার বাবার সম্পত্তি কতোটুকু তার মেয়েরা পাবে এবং কতোটুকু তার মা ভাইবোন পাবে?২/আরেকটা প্রশ্ন হচ্ছে মৃত ব্যক্তির নামাজে ও রোযা যদি বাকি থাকে অসুস্থ তার জন্য পড়তে না পারে তাহলে করনীয় কি? কাফফারা কি দিতে হয়? ৩/ অসুস্থতার জন্য রোযা রাখতে না পারলে এর বিকল্প হিসেবে কি করনীয়?অন্য কাউকে এর জন্য কতোটুকু অর্থ বা খাবার দিতে হব?না দিলে কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (566,790 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
 
 يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
 
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)  
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মানুষ মারা যাওয়ার পর প্রথমে তার কাফন দাফন করতে হবে,তারপর ঋন থাকলে পরিশোধ করতে হবে,তারপর অসিয়ত করে গিয়ে তিন ভাগের এক ভাগ সম্পদ দিয়ে সেই অসিয়ত পূরন করতে হবে।

অবশিষ্ট সম্পদ ওয়ারিশ দের মাঝে শরীয়াহ অনুপাতে বন্টন করে দিতে হবে। 
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বাবার পার্সোনাল টাকা যাহা তিনি তার মেয়েদের ভবিষ্যতে জন্য রেখে গিয়েছেন।
যাহা তার ব্যাক্তিগত টাকা।
এই টাকা যদি আপনার বাবা আপনাদের নামে না লিখে দিয়ে যান,বা মালিক বানিয়ে না যান,সেক্ষেত্রে এই টাকার মধ্যেও সমস্ত ওয়ারিশগ অংশ পাবেন।

আপনার বাবার সমূদয় সম্পদ তার ওয়ারিশদের মাঝে কিভাবে বন্টন হবে,সেটি জানার জন্য সমস্ত ওয়ারিশদের লিস্ট লিখে দেয়ার পরামর্শ রইলো । 

(০২)
প্রত্যেকটি নামাজের জন্য একটি ফিদইয়াহ (সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ) টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে। 

এবং প্রত্যেকটি রোযার জন্য অনুরূপ ফিদইয়াহ আদায় করতে হবে। 

(০৩)
অসুস্থতার জন্য রোযা রাখতে না পারলে সুস্থ হওয়ার পর কাজা আদায় করতে হবে।
পরবর্তীতে আর সুস্থ না হলে বা সুস্থ হওয়ার আশা না থাকলে সেক্ষেত্রে ফিদইয়াহ আদায় করতে হবে। 
এক্ষেত্রে ফিদইয়াহ আদায়ের পর ব্যাক্তি আবারো সুস্থ হয়ে গেলে তাকে পুনরায় কাজা আদায় করতে হবে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...