জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
আল্লাহ তা’আলা বলেন,
يُوصِيكُمُ اللّهُ فِي أَوْلاَدِكُمْ لِلذَّكَرِ مِثْلُ حَظِّ الأُنثَيَيْنِ فَإِن كُنَّ نِسَاء فَوْقَ اثْنَتَيْنِ فَلَهُنَّ ثُلُثَا مَا تَرَكَ وَإِن كَانَتْ وَاحِدَةً فَلَهَا النِّصْفُ وَلأَبَوَيْهِ لِكُلِّ وَاحِدٍ مِّنْهُمَا السُّدُسُ مِمَّا تَرَكَ إِن كَانَ لَهُ وَلَدٌ فَإِن لَّمْ يَكُن لَّهُ وَلَدٌ وَوَرِثَهُ أَبَوَاهُ فَلأُمِّهِ الثُّلُثُ فَإِن كَانَ لَهُ إِخْوَةٌ فَلأُمِّهِ السُّدُسُ مِن بَعْدِ وَصِيَّةٍ يُوصِي بِهَا أَوْ دَيْنٍ آبَآؤُكُمْ وَأَبناؤُكُمْ لاَ تَدْرُونَ أَيُّهُمْ أَقْرَبُ لَكُمْ نَفْعاً فَرِيضَةً مِّنَ اللّهِ إِنَّ اللّهَ كَانَ عَلِيما حَكِيمًا
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে আদেশ করেনঃ একজন পুরুষের অংশ দু?জন নারীর অংশের সমান। অতঃপর যদি শুধু নারীই হয় দু' এর অধিক, তবে তাদের জন্যে ঐ মালের তিন ভাগের দুই ভাগ যা ত্যাগ করে মরে এবং যদি একজনই হয়, তবে তার জন্যে অর্ধেক। মৃতের পিতা-মাতার মধ্য থেকে প্রত্যেকের জন্যে ত্যাজ্য সম্পত্তির ছয় ভাগের এক ভাগ, যদি মৃতের পুত্র থাকে। যদি পুত্র না থাকে এবং পিতা-মাতাই ওয়ারিস হয়, তবে মাতা পাবে তিন ভাগের এক ভাগ। অতঃপর যদি মৃতের কয়েকজন ভাই থাকে, তবে তার মাতা পাবে ছয় ভাগের এক ভাগ ওছিয়্যতের পর, যা করে মরেছে কিংবা ঋণ পরিশোধের পর। তোমাদের পিতা ও পুত্রের মধ্যে কে তোমাদের জন্যে অধিক উপকারী তোমরা জান না। এটা আল্লাহ কতৃক নির্ধারিত অংশ নিশ্চয় আল্লাহ সর্বজ্ঞ, রহস্যবিদ। (সূরা নিসা-১১)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মানুষ মারা যাওয়ার পর প্রথমে তার কাফন দাফন করতে হবে,তারপর ঋন থাকলে পরিশোধ করতে হবে,তারপর অসিয়ত করে গিয়ে তিন ভাগের এক ভাগ সম্পদ দিয়ে সেই অসিয়ত পূরন করতে হবে।
অবশিষ্ট সম্পদ ওয়ারিশ দের মাঝে শরীয়াহ অনুপাতে বন্টন করে দিতে হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরন মতে আপনার বাবার পার্সোনাল টাকা যাহা তিনি তার মেয়েদের ভবিষ্যতে জন্য রেখে গিয়েছেন।
যাহা তার ব্যাক্তিগত টাকা।
এই টাকা যদি আপনার বাবা আপনাদের নামে না লিখে দিয়ে যান,বা মালিক বানিয়ে না যান,সেক্ষেত্রে এই টাকার মধ্যেও সমস্ত ওয়ারিশগ অংশ পাবেন।
আপনার বাবার সমূদয় সম্পদ তার ওয়ারিশদের মাঝে কিভাবে বন্টন হবে,সেটি জানার জন্য সমস্ত ওয়ারিশদের লিস্ট লিখে দেয়ার পরামর্শ রইলো ।
(০২)
প্রত্যেকটি নামাজের জন্য একটি ফিদইয়াহ (সদকায়ে ফিতর সমপরিমাণ) টাকা গরিব মিসকিনকে দান করে দিতে হবে।
এবং প্রত্যেকটি রোযার জন্য অনুরূপ ফিদইয়াহ আদায় করতে হবে।
(০৩)
অসুস্থতার জন্য রোযা রাখতে না পারলে সুস্থ হওয়ার পর কাজা আদায় করতে হবে।
পরবর্তীতে আর সুস্থ না হলে বা সুস্থ হওয়ার আশা না থাকলে সেক্ষেত্রে ফিদইয়াহ আদায় করতে হবে।
এক্ষেত্রে ফিদইয়াহ আদায়ের পর ব্যাক্তি আবারো সুস্থ হয়ে গেলে তাকে পুনরায় কাজা আদায় করতে হবে।