আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
159 views
in যাকাত ও সদকাহ (Zakat and Charity) by (26 points)
কাজের বুয়া বা দুস্থ শ্রেণী দের যে যাকাত দেওয়া হয়, এখন যদি তাদের যাকাত দেওয়া হয় টাকা ব্যতীত অন্য কিছু, এবং পরবর্তী তে তারা নিসাব পরিমাণ মালের অধিকারী হলো (এবং যেহেতু যাকাত দিলে সেটা যেহেতু উল্লেখ না করে মনে মনে নিয়ত রাখলেও হয় )কিন্তু তাদের কাছে যাকাতের সম্পত্তি রয়ে গেছে যেটা সে অজান্তেই ব্যবহার করছে, এমতবস্থায় সে সম্পত্তি কি তার জন্যে জায়েজ হবে?

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ 

اِنَّمَا الصَّدَقٰتُ لِلۡفُقَرَآءِ وَ الۡمَسٰکِیۡنِ وَ الۡعٰمِلِیۡنَ عَلَیۡهَا وَ الۡمُؤَلَّفَۃِ قُلُوۡبُهُمۡ وَ فِی الرِّقَابِ وَ الۡغٰرِمِیۡنَ وَ فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ وَ ابۡنِ السَّبِیۡلِ ؕ فَرِیۡضَۃً مِّنَ اللّٰهِ ؕ وَ اللّٰهُ عَلِیۡمٌ حَکِیۡمٌ ﴿۶۰﴾

সাদাকাহ হচ্ছে শুধুমাত্র গরীবদের এবং অভাবগ্রস্তদের, আর এই সাদাকাহর (আদায়ের) জন্য নিযুক্ত কর্মচারীদের এবং (দীনের ব্যাপারে) যাদের মন রক্ষা করতে (অভিপ্রায়) হয় (তাদের), আর গোলামদের আযাদ করার কাজে এবং কর্জদারদের কর্জে (কর্জ পরিশোধে), আর জিহাদে (অর্থাৎ যুদ্ধ সরঞ্জাম সংগ্রহের জন্য) আর মুসাফিরদের সাহায্যার্থে। এই হুকুম আল্লাহর পক্ষ হতে নির্ধারিত, আর আল্লাহ মহাজ্ঞানী, অতি প্রজ্ঞাময়।
(সুরা তওবা ৬০)

https://ifatwa.info/7744/ নং ফতোয়াতে উল্লেখ রয়েছেঃ-
যে ব্যক্তি নেসাব পরিমাণ মালের মালিক হবে।চায় সে ক্রমবর্ধমান নেসাব পরিমাণের মালিক হোক বা অক্রমবর্ধমান মালের মালিক হোক।সর্বাবস্থায় ঐ ব্যক্তি শরীয়তের দৃষ্টিতে ধনী হিসেবে বিবেচিত হবে। ঐ ব্যক্তির জন্য যাকাত গ্রহণ করা কখনো জায়েয হবে না।বিস্তারিত জানুন- 1461

والأولى أن يفسر الفقير بمن له ما دون النصاب كما في النقاية أخذا من قولهم يجوز دفع الزكاة إلى من يملك ما دون النصاب أو قدر نصاب غير تام، وهو مستغرق في الحاجة،
ফকিরের উত্তম ব্যখা হলো,যার নেসাব পরিমাণ মাল নেই।সুতরাং যার নেসাব পরিমাণ মালে নামী(ক্রমবর্ধমান) নাই বা যার নেসাব পরিমাণ মালে গায়রে নামী(ক্রমবর্ধমান নয়)আছে, তবে সে হাজতে লিপ্ত, এমন ব্যক্তিকে যাকাত দেয়া যাবে।
(বাহরুর রায়েক্ব-২/২৫৮)বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 699

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নের বিবরণ মতে কাজের বুয়া বা দুস্থ শ্রেণী দের যে টাকা ব্যাতিত অন্য কোনো কিছু যাকাত প্রদান করা হলে যাকাত গ্রহনের সময় তারা নেসাব পরিমান সম্পদের মালিক না হলে সেই যাকাত তখন যেহেতু তাদের গ্রহন জায়েজ,তাই এর পরবর্তীতে তারা নিসাব পরিমাণ সম্পদের অধিকারী হলে সেই সময়েও উক্ত (যাকাত হিসেবে পাওয়া) বস্তু তারা ব্যবহার করতে পারবে। 

যাকাত সহীহ ভাবে গ্রহনের সাথে সাথেই এটি তাদের নিজস্ব সম্পদ হয়ে গিয়েছে। 
তাই পরবর্তীতে তারা ধনী হয়ে গেলেও উক্ত (যাকাত হিসেবে পাওয়া) বস্তু তারা ব্যবহার করতে পারবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...