আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
reshown by
আসসালামু আলাইকুম উস্তাদ। আমি আলহামদুলিল্লাহ একজন স্টুডেন্ট পাশাপাশি টিউশনি করছি বর্তমানে। আমার সামর্থ্য কম থাকা স্বত্তেও সাদাকা করতে বেশ ভালো লাগে আলহামদুলিল্লাহ এবং গোপনে সাদাকা করা হয়। খুব অল্প জানি কিন্ত তবুও করি আলহামদুলিল্লাহ এবং এটা সম্পর্কে কারো সাথে শেয়ার না করারই চেষ্টা করি। আজকে বিশেষ একটা প্রয়োজনে বলতে হচ্ছে আল্লাহ্ আমাকে মাফ করুন। উস্তাদ আমি আমার ড্রয়ারে কিছু টাকা রেখেছিলাম যেগুলো ইনশাআল্লাহ সাদাকা করবো। এবং আমার কাছে কতটুকু টাকা আছে আমি সংখ্যাটা একদম বলে দিতে পারি। আলহামদুলিল্লাহ আমার ইচ্ছে ছিলো আমি এই টাকাগুলো এই এই খাতে রমাদানের আগের + মধ্যের সাদাকা করবো ইনশাআল্লাহ। আমি যেখানে টাকা রাখি সেখানে কেউ কখনোই হাত দেয়না উস্তাদ। আজকে হঠাৎ বেশ কিছু টাকা এক্সট্রা দেখতে পাচ্ছি এবং একটা জায়গায় সুন্দরমতো মোড়ানো দেখতে পাচ্ছি। বাসার সবাইকে অনেকবার ভালোমতো জিজ্ঞাসাবাদ করার পরেও ১০০% শিওর কেউই টাকাটা সেখানে রাখেনি। আমি আলহামদুলিল্লাহ বেশ কিছু দান (যদিওবা পরিমানে অল্প করে কিন্ত আমার সামর্থ্যনুযায়ী হয়তোবা বেশ কিছু বলে ফেললাম আফওয়ান উস্তাদ) করেছি কয়দিনের মধ্যেই (সেই টাকা কিন্ত বিকাশে ছিলো উস্তাদ আমার ড্রয়ার থেকে না) । কিন্ত আমার জমানো টাকা থেকে না সেটা, চাবি দেয়া ড্রয়ারে যেই টাকা রাখা হয়েছে সেটা আমি অনেকবার গুনে গুনে খাতায় খাত লিখে রেখেছি কোনটা রমাদানের আগে পরে মধ্যে দান করা হবে ইনশাআল্লাহ। উস্তাদ আমি পড়েছিলাম একজন সালাফ তার সমস্ত বেতন দান করে দিতেন বাসায় এসে বিছানার নিচে সবকিছু আবারও দেখতে পেতেন। আমি নিজেকে তাদের সমতুল্য বলার ধৃষ্টতা ও পোষণ করছিনা আল্লাহ্ মাফ করুন। আমার ড্রয়ারের সমস্ত ধরনের টাকা এবং সমস্তকিছু কয়দিনের মধ্যেই গুছিয়ে রমাদানের জন্য প্রস্তুত করেছি। উস্তাদ এমন কি হতে পারে টাকা টা আমার কাছে আসলেও গায়েবি ভাবে এসেছে? (কারণ অন্য যেকোনো ভাবে ড্রয়ারে টাকা আসার সমস্ত ধরনের অপশন পুরোপুরিই নাই, একদমই ব্যক্তিগত ড্রয়ার এবং তারপর ও অনেকবার জিজ্ঞেস করেছি বাসার মানুষদের, তাদের কাছে আমার ড্রয়ারের চাবি নেই এবং তাদের ব্যক্তিগত আলমারি আছে ) এবং আমার সমস্ত টাকা একটি বিশেষ ব্যাগে থাকে যা মূলত সাদাকার জন্যই আলহামদুলিল্লাহ তার বাইরে কোনো টাকাই রাখিনা আলহামদুলিল্লাহ। উস্তাদ এখন এই টাকাগুলো আমি দান করে দিব ইনশাআল্লাহ? সাওয়াবের আশা রাখতে পারি ইনশাআল্লাহ উস্তাদ? আমার প্রশ্ন অনেক বড় হলো কোনো ধরনের বেয়াদবি হলে মাফ করে দিবেন উস্তাদ আমি জানতে চাই উস্তাদ উত্তরটা ইনশাআল্লাহ, এও কি সম্ভব উস্তাদ?

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যদি বস্তুটির মূল্য ১০ দিরহামের কম হয়, তাহলে কয়েকদিন ঘোষণা দেবে (এখানে কয়েক দিন অর্থ আদালত যে ক'দিন সমীচীন মনে করেন) অথবা ব্যক্তি তার বিবেক অনুসারে তা যথেষ্ট মনে করে। (দ্র. মারগিনানী, হিদায়া : ২/৪১৭।) 
পক্ষান্তরে ১০ দিরহাম বা তার বেশি হলে এক বছর ঘোষণা দেবে। তবে কুড়ানো বস্তু সংক্রান্ত ঘোষণাটি এমন স্থানে হতে হবে, যেখানে ঘোষণা দিলে তা মালিকের কাছে পৌঁছবে বলে সমূহ ধারণা হয়। বিশেষ করে যেখানে বস্তুটি কুড়িয়ে পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ঘোষণা দেয়া উত্তম। কারণ সাধারণত সম্পদ হারানোর পর সম্পদের মালিক সেখানেই খুঁজে থাকে, যেখানে সে তা হারায়। তারপর মানুষের সম্মিলনস্থলে যেমন- বাজার, মসজিদের দরজা; যখন মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হন, তবে মসজিদের ভেতরে ঘোষণা করা বৈধ নয়। কেননা মসজিদ ইবাদতের জন্য তৈরি হয়েছে; কুড়ানো বিষয়ের ঘোষণার জন্য নয়। আর যদি মরুভূমি বা বিস্তীর্ণ মাঠে কোনো বস্তু পাওয়া যায় তবে তা নিকটস্থ লোকালয়ে প্রচার ও ঘোষণা করতে হবে। (ইবনে কুদামা : আল মুগনি)। 

যদি কুড়ানো বস্তু এমন প্রকৃতির হয় যে, মালিক তা খোঁজ করবে না, যেমন দানা বা ডালিমের খোসা (pomegranate skins), তাহলে তা ফেলে রেখে যাওয়া মুবাহ (যে কাজ ফরজ, হারাম, মানদুব এবং মাকরূহ নয়, তাকে মুবাহ বা বৈধ বলে)। এমনকি ঘোষণা করা ছাড়াই তা দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ হবে। এর সপক্ষে হাদিসে এসেছে, আনাস (রা.) বলেন, 'রাসুলুল্লাহ (সা.) পথ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি খেজুর দেখতে পেলেন, তিনি বললেন, যদি সদকার খেজুর হওয়ার সম্ভাবনা না থাকত, তবে আমি অবশ্যই তা ভক্ষণ করতাম।' (বোখারি : ২৪৩১)। কিন্তু যদি তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো না হয়, তাহলে তা মালিকের মালিকানায় বহাল থাকবে। কেননা অজ্ঞাত ব্যক্তির পক্ষ থেকে মালিকানা প্রদানের বৈধতা নেই। (হেদায়া)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7998

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি ঘরের সবাইকে জিজ্ঞাসা করবেন। যে যে ঘরে আসতে পারে সবাইকে জিজ্ঞাসা করে কিছুদিন অপেক্ষা করবেন, তারপর যখন দেখবেন কেউ কোনো খবর নিচ্ছে না, তারপর ঐ টাকা সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 148 views
...