জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
প্রাইভেট পড়িয়ে এ-ই টাকা উর্পাজন হালাল হবে।
(০২)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا أَبُو سَعِيدٍ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ سَعِيدٍ، حَدَّثَنَا أَبُو خَالِدٍ الأَحْمَرُ، قَالَ سَمِعْتُ مُجَالِدًا، يَذْكُرُ عَنِ الشَّعْبِيِّ، عَنْ جَابِرِ بْنِ عَبْدِ اللَّهِ، قَالَ كُنَّا عِنْدَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم ـ صلى الله عليه وسلم ـ فَخَطَّ خَطًّا وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَمِينِهِ وَخَطَّ خَطَّيْنِ عَنْ يَسَارِهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ فِي الْخَطِّ الأَوْسَطِ فَقَالَ " هَذَا سَبِيلُ اللَّهِ " . ثُمَّ تَلاَ هَذِهِ الآيَةَ (وَأَنَّ هَذَا صِرَاطِي مُسْتَقِيمًا فَاتَّبِعُوهُ وَلاَ تَتَّبِعُوا السُّبُلَ فَتَفَرَّقَ بِكُمْ عَنْ سَبِيلِهِ) .
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট উপস্থিত থাকা অবস্থায় তিনি একটি সরল রেখা টানলেন এবং তাঁর ডান দিকে দুটি সরল রেখা টানলেন এবং বাম দিকেও দুটি সরল রেখা টানলেন। অতঃপর তিনি মধ্যবর্তী রেখার উপর তাঁর হাত রেখে বলেনঃ এটা আল্লাহ্র রাস্তা। অতঃপর তিনি এ আয়াত তিলাওয়াত করেন (অনুবাদ) এবং এ পথই আমার সরল পথ। অতএব তোমরা এ পথেরই অনুসরণ করো এবং বিভিন্ন পথ অনুসরণ করো না, অন্যথায় তা তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে ফেলবে। (সূরাহ আনআম ৬: ১৫৩)
(ইবনে মাজাহ ১১)
★আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের আকীদা সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ
আশ'আরী এবং মাতুরিদি আহলে সুন্নত ওয়াল জামাতের অন্তর্ভুক্ত।
আশায়েরা বলা হয়, যাদের নিসবত ইমাম আবুল হাসান আশআরী রহঃ এর দিকে। আর যাদের নিসবত ইমাম আবু মানসূর মাতুরিদী রহঃ এর দিকে, তাদের বলা হয় মাতুরিদী।
আশায়েরা মাতুরিদী উভয় দলের আকিদাই সঠিক।
মূলত তারা উভয়ে আল্লাহর নবী সাঃ এবং সাহাবায়ে কেরামের আকিদাসমূহ সংকলন করেছেন। আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীদের মাঝে এ দুইজনের সংকলন ব্যাপক প্রসিদ্ধি লাভ করে।
তাই আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের অনুসারীগণ এ দুইজনের একজনের দিকে নিজেদের আকিদাগত বিষয়ে নিসবত করে থাকেন।
তাদের উভয়ের মাঝে কিছু সংখ্যক মতভেদ রয়েছে। তবে তা বলতে গেলে আক্ষরিক মতভেদ। মূল মতভেদ নয়। আর এসব মতভেদ হয়েছে এমন বিষয়ে, যে বিষয়ে সাহাবায়ে কেরাম থেকে সুষ্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যায় না।
আরো জানুনঃ
আমরা বিশ্বাস রাখবো যে আল্লাহ বেষ্টনকারী, তথা আল্লাহ ইলম ও কুদরত হিসেবে সর্বত্র তিনি আমাদের মাঝে বিরাজমান আছেন। তাহলে এমন আকিদা বিশ্বাস রাখা যাবে।
,
আরো জানুনঃ
https://ifatwa.info/17901/
আল্লাহ তায়ালার আকার সংক্রান্ত মাসয়ালা জানুনঃ
(০৩)
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানুনঃ-
(০৪)
তারাবিহ নামাজ সুন্নাতে মুয়াক্কাদা।
এটি বিশ রাকাত। দুই দুই রাকাত করে পড়তে হয়,কেউ চাইলে চার রাকাত করেও পড়তে পারবে।
তবে দুই দুই রাকাত করে পড়াই উত্তম।
এ নামাজের আলাদা কোনী মুনাজাত কুরআন হাদীসে নেই।
প্রচলিত মুনাজাত কেহ চাইলে জরুরি মনে না করে পড়তে পারে।
চার রাকাত শেষে নির্দিষ্ট কোনো দোয়া পড়তে হয়না।
এটি কুরআন হাদীসের কোথাও নেই।
মাঝে দোয়া যিকির করতে পারেন,এতে সমস্যা নেই।
(০৫)
রমজান মাসে ইশার ফরজ ও সুন্নাতের পর আমি ২ রাকাত তারাবিহ নামাজের নিয়ত করছি,এমন নিয়ত মনে মন করে আল্লাহু আকবর বলে নামাজ পড়তে হবে।
অন্যান্য নামাজের মতোই সুরা ফাতেহা ও অন্যান্য সুরা মিলাতে হবে।
আলাদা কোনো নিয়ম নেই।
আরো জানতে আহকামে জিন্দেগী বইটি পড়তে পারেন।
(০৬)
ফরজ নামাজের পরে দোয়া আবশ্যক নয়।
তবে দোয়া করা যাবে।
দোয়াগুলো ফরজ নামাজ শেষ করে সালাম ফিরিয়ে তারপর পড়া যায়,চাইলে সুন্নাত আদায়ের পরেও করা যায়।