আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
213 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (1 point)
উস্তাদ আমি একসময় খুব মৃত্যুর ভয় পেতাম কেউ মারা গেলে বা মাইকে এলাউন্স হলে মৃত্যুর ভয় চলে আসতো তখন হুজরদের কাছ থেকে পানি পড়া,ফুঁ দিতাম আমি তখন দ্বীনের পথে ছিলাম না কিন্তু এখন আলহামদুলিল্লাহ দ্বীনের পথে আছি এখন মৃত্যুর ভয় নাই, মৃত্যুর কথা তেমন স্বরণ হয় না, কবরের আজাব, জাহান্নামের তেমন ভয় নাই কোন ফিলিংস নাই কেমন যেন দিলটা হয়ে গেছে। এতে কি আমার ঈমানের কোন ক্ষতি হবে?এমনটা কেন হয় উস্তাদ? এটা ভালো লক্ষ্মণ না খারাপ বললে উপকৃত হবো।

জাযাকুমুল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ- 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম 


প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই,
আপনার মৃত্যুর ভয় নাই, মৃত্যুর কথা তেমন স্বরণ হয় না, কবরের আজাব, জাহান্নামের তেমন ভয় নাই কোন ফিলিংস নাই।
পূর্ণ দ্বীনের উপর থাকলে জানামতে এটি খারাপ কিছু নয়। 
কিন্তু পূর্ণ দ্বীনের উপর না থাকলে এটি ভালো বিষয় নয়।
,
এক্ষেত্রে করনীয়ঃ-

মৃত্যু ও তার ভয়াবহতা সম্পর্কে চিন্তা-ভাবনা করা এবং এ বিষয়েও চিন্তা করা যে মৃত্যু থেকে পলায়নের কোন পথ নেই।

আল্লাহ তা'আলা বলেন:{বলুন, তোমরা যে মৃত্যু থেকে পলায়নপর, সেই মৃত্যু অবশ্যই তোমাদের মুখামুখি হবে।}
[সূরা: আল-জুমুয়া, আয়াত: ৮]

মৃত্যু পরবর্তী জীবন, কবর এবং কবরের ভয়াবহতা নিয়ে চিন্তা করা। 

এমন লোকদের সান্নিধ্যে বসা যাদের মধ্যে আল্লাহর ভয় বিরাজমান। 
সুতরাং হক্কানী শায়েখদের কাছে যাওয়া উচিত,তাদের হতে মৃত্যু,জাহান্নামের ভয়বাহতা সম্পর্কে আলোচনা শোনার চেষ্টা করুন।
এ সম্পর্কে তাদের রেকর্ড কৃত বয়ানও শুনতে পারেন।

মৃত্যুর ভয় আনার জন্য বেশি বেশি কবর জিয়ারত করা। কবরের কাছে যাওয়া। মৃত্যু ব্যক্তিদের কাছে যাওয়া উচিত। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

وَعَنِ ابْنِ مَسْعُودٍ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: «كُنْتُ نَهَيْتُكُمْ عَنْ زِيَارَةِ الْقُبُورِ فَزُورُوهَا فَإِنَّهَا تُزَهِّدُ فِي الدُّنْيَا وتذكر الْآخِرَة» . رَوَاهُ ابْن مَاجَه

‘আবদুল্লাহ ইবনু মাস্‘ঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমি তোমাদেরকে কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। (এখন) তোমরা কবর যিয়ারত করবে। কারণ কবর যিয়ারত দুনিয়ার আকর্ষণ কমিয়ে দেয় ও পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
(ইবনু মাজাহ্ ১৫৭১, ইবনু হিব্বান ৯৮১, মুসতাদরাক লিল হাকিম ১৩৮৭, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৭১৯৭, য‘ঈফ আত্ তারগীব ২০৭৩, য‘ঈফ আল জামি‘ আস্ সগীর ৪২৭৯,মিশকাত ১৭৬৯।)

রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, কবর যিয়ারতের মাধ্যমে মানুষ দুনিয়া বিমুখ হয়। অর্থাৎ কবর যিয়ারতের মাধ্যমে দুনিয়া ত্যাগী হয়, দুনিয়ার প্রতি কোন লোভ, লালসা ও মোহ থাকে না। আর আখিরাতের কথা মনে করিয়ে দেয়। ক্ববরের পাশে দাঁড়ালে জীবিতদের চিন্তা আসে এক সময় আমার অবস্থাও এমন হবে। অর্থাৎ ক্ববরে চলে যেতে হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...