আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (14 points)
আসসালামুআলায়কুম।
আমার বাসা থেকে আমার বিয়ের জন্য পাত্র দেখেছে এবং অনেকটা ঠিক করে ফেলেছে বলা যায়। ছেলে পর্তুগাল থাকে। আমি ছেলের ছবি দেখেছি,সুন্নতি দাড়ি নেই। আর বাসার মানুষ কেওই পর্দা করে বলে মনে হয়না। ইসলামিক ছেলে ছাড়া বিয়ে করবোনা বলায় বলতেছে যে এই ছেলে ধার্মিক। তাদের ধার্মিমিতার যুক্তি হচ্ছে তারা খুজ নিয়ে নাকি জেনেছে যে ছেলে নামাজ পরে, ছেলের মা হজ করেছে,আর তাদের বাড়ির মানুষ বলছে যে পাশের বাসায় কিছুদিন আগে খরচো ছিলো সেখানে ফ্যামিলির মানুষদের যেতে দেয়নি, এছাড়া বিদেশে সে নাকি  বেছে বেছে হালাল কাজ করে(সত্যি কিনা আল্লাহ ভালো জানেন)। আর আমি বলছিলাম আমি যেহেতু পর্দা করি তাই ফ্যামিলি পর্দাশীল ও ছেলে ধার্মিক হতে হবে কিন্তু আমার আব্বুকে ডিরেক্ট বলতে পারিনি। আব্বু অন্যদের থেকে কি শুনেছে জানিনা এখন আমার ওপর রাগ হয়ে আছে কথা বলেনা, আরো বলছে যে আমি কি এখন ওর জন্য বাড়ি বাড়ি হজুর খুজতে যাবো নাকি, আর এইদিকে আমার বাসা থেকেও ওইখানে দেওয়ার জন্য রাজি আর ওইবাসা থেকেও। তারা মেইবি আর মেয়েও দেখছে না।
কিন্তু দ্বীনদ্বার তলীবুল ইলম ছাড়া বিয়ে করবো এটা আমি ভাবতেই পারছিনা। এছাড়া আমি চেয়েছিলাম এরমাধ্যমে আমি সহশিক্ষার চরম ফেতনা থেকে মুক্তি পাবো। কোন ইসলামিক কান্ট্রিতে মাহারাম সহ সহশিক্ষা মুক্ত কোন প্রতিষ্ঠানে পড়াশুনা করবো।
এছাড়া আমি এখন ইন্টার পরিক্ষা শেষে ইঞ্জিনিয়ারিং প্রিপারেশন নিচ্ছি। ওই বাসায় তেমন শিক্ষিত কেও নেই। ছেলে গ্রামের একটা ভার্সিটি থেকে অনার্স পরেছে। আমার পড়াশুনার অবস্থা কি হবে বুঝছিনা।  যদিও বাসা থেকে বলছেযে এটা লিখিত করে নিবো যে পড়াতেই হবে।  তারাও রাজি হয়েছে।কিন্তু আমাকে কিছুদিন পর ছেলে দেখতে আসবে বাসায় যেতে বলতেছে।  কিন্তু কিছুদিন পর আমার পরিক্ষা আমি একটুও সময় পাচ্ছিনা এগুলা ভাবার। একদিকে পড়ার চিন্তা অন্যদিকে এইগুলা... আমার ১৩ বছরের কষ্ট করে পড়া সবই বিফলে যাওয়ার মতো। আর বাসায় না আর তাদের কথা না শুনলে  হয়তোবা আমার পড়ালেখা অফ করে দিবে। আমি কি করবো এখন❗কিভাবে বুঝবো যে ছেলে ধার্মিক❗ আর বাড়ির মানুষকেই বা কি বুঝাবো❗

1 Answer

0 votes
by (574,260 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


বিবাহের ক্ষেত্রে রাসুল সাঃ কুফু মিলাইতে বলেছেন।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
 
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»

আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
(সহীহ বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)

কুফু সম্পর্কে বিস্তারিত জানুনঃ  https://www.ifatwa.info/4541/

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
রাসুলুল্লাহ সাঃ উক্ত হাদীসে বলেছেনঃ
তোমরা ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে যেহেতু কিছুদিনের মধ্যেই ছেলে আপনাকে দেখতে আসবে,সুতরাং  ছেলে ধার্মিক কিনা,এটা আপনি সামনা সামনি পাত্রের সাথে কথা বলে জেনে নিবেন।

তার দাড়ি আছে কিনা,দেখবেন।
যদি দাড়ি না থাকে,আর আপনার কাছে যদি ওয়াদা করে যে বিবাহের পর পূর্ণ দাড়ি রাখবেন,তাহলে এতে সমস্যা হবেনা।

তিনি নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন কিনা,রমজান মাসে পূর্ণ রোযা রাখেন কিনা,জেনে নিবেন।

তার বাসায় পূর্ণ পর্দার আছে কিনা, আপনাকে তার বাসায় পূর্ণ পর্দার অনুমতি দেয়া হবে কিনা,জেনে নিবেন।

এক্ষেত্রে সব কিছু বিবেচনা করে তাকে দ্বীনদার মনে হলে উপরোক্ত কথাগুলি মেনে নিলে এই বিবাহে এগোনোর পরামর্শ থাকবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...