ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
হজ্ব ফরজ হয় দৈনন্দিন খরচ বাদে হজ্বে আবশ্যকীয় প্রয়োজনে যে পরিমাণ টাকা প্রয়োজন তথা যাওয়া আসা, সেখানে থাকা খাওয়া ইত্যাদি পরিমাণ টাকা থাকলে ব্যক্তির উপর হজ্ব করা ফরজ হয়ে থাকে।
সে হিসেবে দেখতে হবে বর্তমানে হজ্ব করতে গেলে কত টাকা লাগবে। সে টাকা উক্ত ব্যক্তির কাছে থাকলে তার উপর হজ্ব করা আবশ্যক।
আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআন শরিফে এরশাদ করেনঃ
ولله على الناس حج البيت من استطاع اليه سبيلا، ومن كفر فان الله غنى عن العلمين.
(তরজমা) মানুষের মধ্যে যারা সেখানে (বায়তুল্লাহ) পৌঁছার সামর্থ্য রাখে তাদের উপর আল্লাহরউদ্দেশ্যে এ গৃহের হজ্ব করা ফরয। আর কেউ যদি অস্বীকার করে তাহলে তোমাদের জেনে রাখা উচিতযে, আল্লাহ তাআলা সৃষ্টিজগতের প্রতি মুখাপেক্ষী নন।-সূরা আলে ইমরান (৩) : ৯৭
,
★ফাতওয়ার কিতাবে এসেছেঃ
যার মালিকানায় নিত্য প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র এবং নিজের ও পরিবারের ভরণ-পোষণের খরচের অতিরিক্ত এই পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পত্তি আছে, যা দ্বারা হজ্জে যাওয়া-আসার ব্যয় এবং হজ্জকালীন সাংসারিক খরচ হয়ে যায়, তার উপর হজ্জ করা ফরয। (আদ্দুরুল মুখতার মা‘আ রদ্দিল মুহতার ২/৪৫৮)
হজ্জ যে বছর ফরয হয় সে বছরই তা আদায় করা ওয়াজিব। গ্রহণযোগ্য কোনো ওযর ছাড়া হজ্জ বিলম্বিত করলে গুনাহ হবে। তবে পরবর্তীতে হজ্জ আদায় করে নিলে এই গুনাহ মাফ হয়ে যাবে। (রদ্দুল মুহতার ৩/৫১৭ রশীদিয়া, কিতাবুল মাসাইল ৩/৭৬)
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
(০১)
২০১৭ সালে তো সাড়ে তিন লাখ হলেই (কম বেশি হতে পারে) হজ করা যেতো।
সুতরাং সেই সময়ে আপনার কাছে দৈনন্দিন আবশ্যকীয় খরচ ব্যাতিত সাড়ে তুন লাখ টাকা থাকলে আপনার উপর সেই সময়ে হজ্জ ফরজ হয়েছিলো,বলে ধরা হবে।
(০২)
না,এটি উচিত হবেনা।
তবে উক্ত বিবরণ মতে আপনার উপর যদি পূর্ব থেকেই হজ্জ ফরজ থেকে থাকে,সেক্ষেত্রে ফরজ আদায়ের জন্য যেভাবেই হোক হজ্জে যেতে হবে,তাই সঞ্চয় শুন্য করে হলেও লোন নিয়ে হলেও হজ্জে যেতে পারেন।
তবে সূদী লোন নিবেননা,এমনিতেই করজে হাসানাহ নিবেন।