আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
287 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (30 points)
আসসালামুয়ালাইকুম
একটা বিষয় নিয়ে জানার ছিল। একটু বড় ঘটনা,তার জন্য দুঃখিত।

১।বছর দেড়েক আগে, আমার বাসায় কোথাও থেকে একটা বাচ্চা কবুতর উড়ে আসে, সেটা ঠিক ভাবে উড়তে পারতো না৷ একটু উড়েই পরে যেত। তারপর সেটাকে আমার বাসায় রাখি আর আশেপাশে খোজ নিতে থাকি কারো বাসার কবুতরের বাচ্চা হারিয়ে গেছে কিনা। কিন্তু খোজ পাই না।
বাচ্চাটাকে ৩ মাস রাখার পর বুঝি সেটা ছেলে৷ তাই তার সাথে মেয়ে কবুতর দেই আর আস্তে আস্তে বংশ বিস্তার করে। এর মধ্যে একজন বাসায় এসে কবুতর নিয়ে গল্পে বলতে থাকে অনেকদিন আগে নাকি এক আন্টি উনার বাসায় এসে হারাই যাওয়া কবুতর তালাশ করেছেন। আমি সেই আন্টির ঠিকানা জানতে চাই,ফেরত দেয়ার জন্য কিন্তু তিনি না দিতে পারেন না।
এমতাবস্থায় আমার বাসায় ই কবুতর বড় হতে,বংশবিস্তার করতে থাকে। অতিরিক্ত বাচ্চাগুলো আমরা খেয়ে/বিক্রি করে দেই। এই ব্যাপারটাকি আমাদের জন্য জায়েজ হচ্ছে?  না হলে এখন আমাদের করনীয় কি?

২। হোস্টেলে আমার এক জুনিয়র এর বারান্দায় কোথাও থেকে একটা বাচ্চা কবুতর পথ হারিয়ে উড়ে আসে। আর বাসায় ফিরে যায় না। খাবারও খায় না। খোলা ছাড়া ছিল তাও উড়

এ যায় নি। খাবার খাচ্ছিলনা বলে আমাকে জুনিয়র কল দেয় যেহেতু আমার বাসায় কবুতর আছে আমার এখানে আনলে হয়ত খানা খাবে৷ তারপর আমার এখানে এসে সে সব কবুতরের সাথে খেলাধুলা করে খানা খায় সব নরমাল। কিন্তু এটার সাথে মাদি কবুতর কিনে দেয়ার সামর্থ আমার নাই। তাই এটাকে বিক্রি করে দিয়েছি। এটা কি আমার জন্য জায়েজ? নাকি এটাকে ঘরে রেখে এর সাথে জোড়া/মাদি ছাড়াই রেখে দিলে ভালো হতো?
জাজাকাল্লাহু খইরন

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
যদি বস্তুটির মূল্য ১০ দিরহামের কম হয়, তাহলে কয়েকদিন ঘোষণা দেবে (এখানে কয়েক দিন অর্থ আদালত যে ক'দিন সমীচীন মনে করেন) অথবা ব্যক্তি তার বিবেক অনুসারে তা যথেষ্ট মনে করে। (দ্র. মারগিনানী, হিদায়া : ২/৪১৭।) 
পক্ষান্তরে ১০ দিরহাম বা তার বেশি হলে এক বছর ঘোষণা দেবে। তবে কুড়ানো বস্তু সংক্রান্ত ঘোষণাটি এমন স্থানে হতে হবে, যেখানে ঘোষণা দিলে তা মালিকের কাছে পৌঁছবে বলে সমূহ ধারণা হয়। বিশেষ করে যেখানে বস্তুটি কুড়িয়ে পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে ঘোষণা দেয়া উত্তম। কারণ সাধারণত সম্পদ হারানোর পর সম্পদের মালিক সেখানেই খুঁজে থাকে, যেখানে সে তা হারায়। তারপর মানুষের সম্মিলনস্থলে যেমন- বাজার, মসজিদের দরজা; যখন মুসল্লিরা মসজিদ থেকে বের হন, তবে মসজিদের ভেতরে ঘোষণা করা বৈধ নয়। কেননা মসজিদ ইবাদতের জন্য তৈরি হয়েছে; কুড়ানো বিষয়ের ঘোষণার জন্য নয়। আর যদি মরুভূমি বা বিস্তীর্ণ মাঠে কোনো বস্তু পাওয়া যায় তবে তা নিকটস্থ লোকালয়ে প্রচার ও ঘোষণা করতে হবে। (ইবনে কুদামা : আল মুগনি)। 

যদি কুড়ানো বস্তু এমন প্রকৃতির হয় যে, মালিক তা খোঁজ করবে না, যেমন দানা বা ডালিমের খোসা (pomegranate skins), তাহলে তা ফেলে রেখে যাওয়া মুবাহ (যে কাজ ফরজ, হারাম, মানদুব এবং মাকরূহ নয়, তাকে মুবাহ বা বৈধ বলে)। এমনকি ঘোষণা করা ছাড়াই তা দ্বারা উপকৃত হওয়া বৈধ হবে। এর সপক্ষে হাদিসে এসেছে, আনাস (রা.) বলেন, 'রাসুলুল্লাহ (সা.) পথ দিয়ে যাওয়ার সময় একটি খেজুর দেখতে পেলেন, তিনি বললেন, যদি সদকার খেজুর হওয়ার সম্ভাবনা না থাকত, তবে আমি অবশ্যই তা ভক্ষণ করতাম।' (বোখারি : ২৪৩১)। কিন্তু যদি তা নষ্ট হয়ে যাওয়ার মতো না হয়, তাহলে তা মালিকের মালিকানায় বহাল থাকবে। কেননা অজ্ঞাত ব্যক্তির পক্ষ থেকে মালিকানা প্রদানের বৈধতা নেই। (হেদায়া)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/7998

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১) যেহেতু আপনি কবুতরের মালিককে খুজে পাচ্ছেন না, তাই আপনি কবুতের মূল্য কবুতরের মালিকের নামে সদকাহ করে কবুতরকে নিজের কাছে রেখে দিবেন। কবুতর থেকে যেই বংশবিস্তার হয়েছে, সেইগুলো আপনারই।কেননা এখানে তো সম্পূর্ণ শ্রম আপনার।

(২)
কবুতরটি যদি জঙ্গলি হয়, তাহলে এটার মালিক তো আপনিই।কিন্তু যদি কবুতরটি পালিত হয়, তাহলে এর বিক্রয় মূল্যকে সদকাহ করে দিবেন। আর যদি আপনি যাকাত গ্রহণের উপযোক্ত ব্যক্তি হন, তাহলে নিজের কাজেও রেখে দিতে পারবেন। তখন আর সদকাহ করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (30 points)
ইন শা আল্লাহ 
by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...