আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
277 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (28 points)

হুজুর আমি আপনাদের থেকে জেনেছিলাম যে, জমি বন্ধক রাখা জায়েজ আছে তবে বন্ধক গ্রহণ করলে সেই জমি ভোগ করা জায়েজ হবে না। এটি জানার পরেও আমার মনে নানা ধরনের যুক্তি আসতে থাকে যে, জমি বন্ধক রাখাও জায়েজ নেই। উল্লেখ্য যে, আমি একজন সাধারণ মানুষ। কোনো আলেম নই। জমি বন্ধক রাখা জায়েজ নেই বা জমি বন্ধক রেখে টাকা ভোগ করা হারাম- এই বিষয়ে নানা ধরনের যুক্তি নিয়ে চিন্তা করি এবং বিষয়গুলো আমার কাছে যুক্তিযুক্তও মনে হয়। এমতাবস্থায় আমি ধারণা করেছিলাম যে,জমি বন্ধকের টাকা হারাম বা ধারণা করেছিলাম যে, হালাল বা হারাম কি হয় হোক; আমি জমি বন্ধকের টাকা দিয়ে ব্যবসা(কনফেকশনারি)  শুরু করি। যদিও আমি হারাম টাকা দিয়ে ব্যবসা করতে চাই নি। হারাম থেকে দূরে থাকতে চেয়েছিলাম। তারপরেও মনে হয়েছে - হালাল বা হারাম কি হয় হোক ব্যবসা শুরু করি। বা ভেবেছিলাম হারাম হলে হোক ; ব্যবসা শুরু করি। (আমি জানতাম যে, কেউ যদি হারাম টাকা দিয়ে হালাল ব্যবসাও করে তবে তার সব ইনকাম হারাম হবে)।
আমার বাবা আমাকে জমি বন্ধক রেখে টাকা দেয়। সেই টাকা আমি দোকানে লাগাই। উল্লেখ্য যে, আমি আমার বাবা মায়ের মতের বিরুদ্ধে দোকানটি দিয়েছি। তারা কেউ চান না যে, আমি দোকান করি। তারা চান আমি যেন চাকরি করি।
ক) প্রত্যেকটি কাজ নিয়তের ওপর নির্ভরশীল। আমার নিয়ত যেহেতু ছিল- বন্ধকের টাকা হারাম হলেও ব্যবসায় লাগাই বা হালাল হারাম কি হয় হোক টাকা ব্যবসায় লাগাই। আমার এমন মানসিকতার কারণে ব্যবসায় লাগানো টাকাগুলো হারাম হয়ে গেছে? হয়ে গেলে এখন করণীয় কি?
খ) আমার শ্বশুরের সুদের ব্যবসা ছিল এক সময়। এখন করে কিনা জানি না। আমার শ্বশুর তার বাবার কাছ থেকে অনেক দামি জমি পেয়েছিল। সেগুলোর অনেকগুলোই বিক্রি করেছে। মানে আমি শুনেছি, আমার শ্বশুর সমস্যায় পড়লেই জমি বিক্রি করে। আমার শ্বশুরের বেসরকারি হাসপাতালে কিছুটা শেয়ারের ব্যবসা এবং চাউলের ব্যবসা আছে। আমার শ্বশুরের এসব ব্যবসায় ইনভেস্টের টাকাগুলো হালাল ছিল কিনা তা বলতে পারছি না। আর আমার মনে হয় - উনি নিজেও হয়ত বলতে পারবেন না। উনি বলতে পারলেও আমার এসব প্রশ্ন করতে একটু সংকোচ লাগে। আমার মনে হয়, উনি সঠিকভাবে বলতে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে যে- তার ব্যবসা দুইটির ইনভেস্টের টাকাগুলো হালাল ছিল নাকি হারাম ছিল। আমার শ্বশুর তার বাবার কাছ থেকে যেসব সম্পদ পেয়েছেন সেসবের কিছু অবৈধ থাকলে থাকতেও পারে।
আমার শ্বশুর বাড়ি থেকে অনেক কিছু বাধ্য হয়ো নিতেও হয়। কারণ তাদের মেয়ের বাড়িতে তারা এটা ওটা দেয়। বাধা দিলেও পাঠায়। আমি এখন কি করব? অনেক নিষেধ করেছি। আবার নিয়েওছি। আমি আমার শ্বশুরের দেওয়া হাজার দুয়েক বা এমন সামান্য কিছু পরিমাণ টাকা আমার দোকানে লাগিয়েছি। তারা তাদের মেয়ের বাড়িতে কিছু পাঠায় এবং ভবিষ্যতেও পাঠাবে। কি করব? না নিলেও হচ্ছে না
আমার করণীয় বলুন।

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(১)
জমি বন্ধক রেখে প্রাপ্ত টাকা দ্বারা যে ব্যবসা করবেন, সেটা জায়েয হবে না। সুতরাং অতিসত্তর ব্যবসাকে পরিত্যাগ করে ঐ টাকা পৃথক করতে হবে। যা লাভ হয়েছে, সেটা সদকাহ করে দিতে হবে।শরীয়তের বিধানে নিজস্ব কোনো যুক্তি চলবে না।
জমি বন্ধক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/4958

অবৈধ ও হারাম সম্পত্তির মালিকের নিকট থেকে হাদিয়া গ্রহণ সম্পর্কে কিছুটা ব্যাখ্যা রয়েছে।
(১)লোকটির সম্পূর্ণ সম্পত্তিই হারাম।এবং সে তার ঐ সম্পত্তি থেকেই কাউকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(২)লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হারামের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৩)দ্বিতীয় প্রকারের উল্টো তথা-লোকটির সম্পত্তিতে হালাল-হারামের সংমিশ্রণ রয়েছে।কোন গুলো হারাম আর কোনো গুলো হালাল,তার পরিচয় লাভের কোনো সুযোগ নেই।
তবে হালালের অাধিক্যর সম্ভাবনাই বেশী।উক্ত ব্যক্তিটি তার ঐ মিশ্রিত সম্পদ থেকে হাদিয়া দিতে চাচ্ছে।
(৪)হারাম সম্পত্তির মালিক তার হারাম টাকা থেকে হাদিয়া দিচ্ছে না।বরং কারো থেকে হালাল টাকা ধার করে বা কারো কাছ থেকে অর্থ নিয়ে হাদিয়্যা দিচ্ছে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন- https://www.ifatwa.info/1900

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
হালাল হারামের সংমিশ্রণ থাকলে আপনি শশুড় বাড়ির কিছুই গ্রহণ করবেন না।গ্রহণ করতে বাধ্য হলে সদকাহ করে দিবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...