আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
274 views
in পবিত্রতা (Purity) by (19 points)
আমার ওসওয়াসার রোগ আছে।
১। প্রতিবার প্রস্রাব-পায়খানার পর পানি দিয়ে ধুতে গেলে মনে হয় যেন ছিটা পানি লেগেছে। প্রায়ই ঠিক করতে পারি না সেটা প্রবল ধারণা কিনা। এসব কারণে প্রায় এক-দেড় ঘন্টা ব্যয় হয় টয়লেটে।
২। স্বপ্নদোষ হলে কাপড় ও গায়ে নাপাক লাগে। সেটা পাক করে গোসল করতে ৪-৫ ঘন্টা সময় গোসলখানায় ব্যয় এখন নিয়মিত ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। কারণ,
(ক) মনী কাপড়ে ছড়িয়ে লেগে থাকে ফলে যে জায়গায় মনী থাকার সম্ভাবনা থাকে সব ধুতে থাকি দূর হওয়া প্রবল ধারনা হওয়ার আগ পর্যন্ত। আর মনী খুব ভালো করে ধুয়ে নেই। পরে কাপড় খুলে সাওয়ারের পানিতে উপরে উঠিয়ে পাক হওয়ার প্রবল ধারণা পর্যন্ত ধুয়ে নেই। যাতে নিচে পড়ে আবার সে পানির ছিটা না লাগে।

(খ) কাপড় ধোয়া হলে শরীর উপর থেকে ধোয়া শুরু করি এবং এক চুল পরিমাণও জায়গা যেন শুক্ত না থাকে যে চেষ্টা।

(গ) একবার শরীর ধোয়া হয়ে গেলে গোসলখানায় যে জায়গায় নাপাক পানির ছিটার সম্ভাবনা থাকে সেগুলো ধুয়ে নেই ভালো করে। আর গোসলখানা পাক করতে গিয়ে যে পানির ছিটা নিচে পরে গায়ে লাগে সেটা আবার ধুয়ে নেই।

সব মিলিয়ে এতটা সময় লাগে যার ফলাফল স্বরূপ ভয়ে প্রায়ই এমন হয় যে ২৪ ঘন্টা বা তার বেশি সময় গোসল করতেই যাই না স্বপ্নদোষ হলে। মাঝে মাঝে মনে হয় শাফেয়ী মাযহাব পালন করা শুরু করি দেই। নাহলে এভাবে কবে জানি ইসলাম পালন করাই ছেড়ে দেই আল্লাহ ভালো জানেন। আমার মত লোকের জন্য কি আলাদা বিধান আছে ধর্মে নাকি যা করি ঠিক করছি?

1 Answer

0 votes
by (641,250 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৬১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

 তালাকের ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/835

ওয়াসওয়াসা সম্পর্কে জানতে ক্লিক করুন-  https://www.ifatwa.info/1379


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
(১) প্রতিবার প্রস্রাব করার পর পানি ব্যবহার করার পর কিছু পানি ছিটিয়ে দিবেন। সর্বোচ্ছ তিনবার মলে ধৌত করতে পারবেন।এর অতিরিক্ত করলে তখন অপচয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

(২)
(ক)
এত বাড়াবাড়ির কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।ব্যস, কাপড়কে তিনবার ধৌত করে প্রত্যেকবার ধৌত করার সময় নিংড়িয়ে নিবেন।

(খ)
শরীরে তিনবার পানি ঢেলে দিয়ে ধৌত করে নিবেন। এত বাড়াবাড়ির অদ্য কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(গ)
গোসলখানায় একবার পানি ঢেলে দিবেন।

বিঃদ্রঃ
আপনি পুকুরে গোসল করার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (641,250 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 221 views
0 votes
1 answer 448 views
0 votes
1 answer 191 views
...