ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
অডিও কল ভিডিও কল এর মাধ্যমে বিবাহ সংগঠিত হবে না।বিস্তারিত জানতে..........
(চন্দ আহম আচরী মাসাঈল-২৩০;-দারুল উলূম দেওবন্দের ইফতা বিভাগ কর্তৃক ১৪৩৩হিঃ মোতাঃ২০১২ ইং তে প্রকাশিত)
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ বলেনঃ
(قَوْلُهُ: اتِّحَادُ الْمَجْلِسِ) قَالَ فِي الْبَحْرِ: فَلَوْ اخْتَلَفَ الْمَجْلِسُ لَمْ يَنْعَقِدْ، ----إلي ان قال-----
وَلَوْ عَقَدَا وَهُمَا يَمْشِيَانِ أَوْ يَسِيرَانِ عَلَى الدَّابَّةِ لَا يَجُوزُ،
স্বামী-স্ত্রী উভয়ের ইজাব-কবুলের মজলিস এক হতে হবে।যদি মজলিস ভিন্ন হয় তাহলে বিবাহ সংগঠিত হবে না।প্রসঙ্গক্রমে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেনঃস্বামী-স্ত্রী দু-জন যদি হাটতে হাটতে ইজাব-কবুল করেন,অথবা সওয়ারীর উপর সওয়ার হয়ে চলতে চলতে ইজাব-কবুল বলেনঃ তাহলেও বিবাহ সংগঠিত হবে না।(রদ্দুল মুহতার-৩/১৪;)
সাক্ষী উপস্থিত না থাকার ধরুণ বিবাহ সংগঠিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে উসমানী-মুফতী তাক্বী উসমানী-২/৩০৫;-"মাকতাবাতু মা'রিফুল কোরআন" করাচী, কর্তৃক১৪৩৩হিঃ-২০১২ইংরেজীে প্রকাশিত)
★সুওয়াল ও জওয়াব-৪/৭৯ ক্বারী আব্দুল বাসিত-
দারুল এশা'আত-পাকিস্তান,কর্তৃক ৪ খন্ডে ২০০৬সালে প্রকাশিত।
★জাদীদ ফেকহী মাসাঈল-১/১৯২(জমজম পাবলিশার কর্তৃক ২০১০সালে প্রকাশিত)
তবে আরব দেশের কেউ কেউ যেমন বিন বায বিয়ে সহীহ হওয়ার কথাও বলে থাকেন। কিন্তু সতর্কতামূলক তাদের কথাকে গ্রাহ্য করা যাবে না।কেননা বিয়েতে আসল হচ্ছে হারাম অর্থাৎ মহিলার বুজা বা স্ত্রী লিংগ পুরুষদের জন্য হারাম কিন্তু পরবর্তীতে অনেক শর্তাদির মাধ্যমে বিয়ে নামক পদ্ধতি দিয়ে তা পুরুষদের জন্য হালাল করা হয়েছে।
যেমন বিশিষ্ট উসুলবিদ আল্লামা ইবনে নুজাইম রাহ বলেনঃ-
الأصل في الأبضاع التحريم
স্ত্রীলিঙ্গ সমূহে মূল হুকুম হচ্ছে হারাম হওয়া।
(আল-আশবাহ ওয়ান নাযাইর১/৫৭-দারুল কুতুব আল আলামিয়্যাহ)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
প্রশ্নে উল্লেখিত বিয়ে শুদ্ধ হয়নি। সুতরাং যখন বিয়েই হয়নি, তখন তালাকের কোনো অালোচনাই আসবে না।