আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
140 views
in সুন্নাহ-বিদ'আহ (Sunnah and Bid'ah) by (18 points)

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ,
বিভিন্ন গ্রন্থাদিতে কায়লুলা করাকে সুন্নাহ বলে বর্ণনা করা হয়েছে। কায়লুলা কি এ ব্যাপারে কোথাও বলা হয়েছে, দুপুরের খাবারের পর সামান্য রেস্ট, কিন্তু না ঘুমানো। কোথাও বলা হয়েছে, দুপুরের খাবারের পর ঘুমানো। 

অন্যদিকে, আমাদের জানামতে খাবারের পর সাথে সাথে ঘুমিয়ে গেলে অন্তর শক্ত হয়ে যায়। এছাড়া হুযুর সা এর দৈনন্দিন রুটিন থেকে এটা পেয়েছি যে, তিনি জোহরের সালাতের আগে একটু ঘুমিয়ে নিতেন, ঘুম থেকে উঠে সালাত আদায় করতে যেতেন। এছাড়া অন্য একটি হাদীস পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে যে, জুমুআর সালাতের পর তাঁরা কাইলুলাহ করতেন ও খেতে যেতেন। 


حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ كُنَّا نَقِيلُ وَنَتَغَدَّى بَعْدَ الْجُمُعَةِ‏.‏

কাইলুলাহ কী ও তা কখন করা সুন্নাহ এটা জানালে সবিশেষ উপকৃত থাকবো ইনশাআল্লাহ্‌। 

1 Answer

0 votes
by (590,550 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!

দুপুরে সূর্য মধ্যবর্তী স্থানে থাকার সময়ে তথা যাওয়ালের পূর্বে বা পরে বিশ্রামকে কায়লুলা বলা হয়।ইবনুল আছির রাহ বলেন, দিনের মধ্যবর্তী সময়ের বিশ্রামকেই কায়লুলা বলা হয়, যদিও সেই বিশ্রামের সাথে ঘুম না থাকুক।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া-সাল্লাম' এর সময়ে সাহাবায়ে কেরামদের আ'মল ছিল, তারা জোহরের নামাযের পূর্বে কায়লুলা বিশ্রাম নিতেন।হ্যা, জুমুআর দিন তারা জোহরের নামাযের পর কায়লুলা করতেন। সুতরাং সহীহ বোখারীতে এসেছে, হযরত সাহল রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন, 
حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ كَثِيرٍ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ كُنَّا نَقِيلُ وَنَتَغَدَّى بَعْدَ الْجُمُعَةِ.
সাহল ইবনু সা’দ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা জুমু’আহর সালাতের পর দুপুরের বিশ্রাম গ্রহণ ও খাবার খেতাম।(সহীহ বোখারী-১০৮৬)
(উসওয়ায়ে রাসূল সাঃ-পৃষ্টাঃ৩৬১)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
কায়লুলা হল রেষ্ট বা বিশ্রাম গ্রহণ। এবং সেটা জোহরের পূর্বে হবে।শুধুমাত্র জুমুআর দিন জুমুআর পরে কায়লুলা হবে। অর্থাৎ খাবার গ্রহণের পর সামান্য বিশ্রাম করা। সেই বিশ্রামে ঘুমানো শর্ত নয়।ঘুম ব্যতিতও বিশ্রাম হতে পারে।

عمدة القاري شرح صحيح البخاري - (33 / 15):
"والقائلة هي القيلولة وهي النوم بعد الظهيرة، وقال ابن الأثير: المقيل والقيلولة الاستراحة نصف النهار وإن لم يكن معها نوم، يقال: قال يقيل قيلولة فهو قائل."

فتح الباري - ابن حجر - (11 / 69):
"( قوله: باب القائلة بعد الجمعة )  أي بعد صلاة الجمعة وهي النوم في وسط النهار عند الزوال وما قاربه من قبل أو بعد، قيل لها: "قائلة"؛ لأنها يحصل فيها ذلك وهي فاعلة بمعنى مفعولة مثل عيشة راضية، ويقال لها أيضاً: "القيلولة"، وأخرج بن ماجة وبن خزيمة من حديث بن عباس رفعه: استعينوا على صيام النهار بالسحور، وعلى قيام الليل بالقيلولة. وفي سنده زمعة بن صالح وفيه ضعف، وقد تقدم شرح حديث سهل المذكور في الباب في أواخر كتاب الجمعة، وفيه إشارة إلى أنها كانت عادتهم ذلك في كل يوم، و ورود الأمر بها في الحديث الذي أخرجه الطبراني في الأوسط من حديث أنس رفعه، قال: قيلوا فإن الشياطين لاتقيل. وفي سنده كثير بن مروان وهو متروك. وأخرج سفيان بن عيينة في جامعه من حديث خوات بن جبير رضي الله عنه موقوفاً، قال: نوم أول النهار حرق، وأوسطه خلق، وآخره حمق. وسنده صحيح."

فتح الباري - ابن حجر - (2 / 388):
"والمعنى أنهم كانوا يبدؤن بالصلاة قبل القيلولة بخلاف ما جرت به عادتهم في صلاة الظهر في الحر؛ فإنهم كانوا يقيلون ثم يصلون لمشروعية الإبراد."

عمدة القاري شرح صحيح البخاري (10 / 212):
"عن ( سهل ) قال: كنا نصلي مع النبي الجمعة ثم تكون القائلة."


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...