আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
235 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (5 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম
আমার স্বামি সামান্য ঝগ্রা হলেই কথায় কথায় বলে সংসার করতে ভালো না লাগলে চলে যাও  ডিভোর্স দাও ইত্যাদী।বিয়ের পর থেকে উনি প্রায় এমন কথা বলে।

 গত ২ মাসে এমন কথা অনেক বার বলেছে, এরপর আমি তাকে বলি আমাকে মুক্ত করে দেন,উনি বলে নিজে মুক্ত  হয়ে যাও,আমি বিয়ের পর থেকে বলতেছি এখনো বলি আমাকে ভালো না লাগলে আমার সাথে সংসার করতে ইচ্ছে না হলে তোমার যেখানে ভালো লাগে সেখানে চলে যাও,  ডিভোর্স পেপার পাঠাও সাইন করে দিবো,  যা মোহরানা পাবে নিয়ে যাও, এটা কয়েক বার বলে,  এরপর আরো একদিন সে বলে সংসার না করতে চাইলে চলে যাও।সম্পর্ক ঝুলিয়ে রাখছো কেনো, ডিভোর্স পেপার পাঠাও, বার বার একই কথা বলার পর আমি বলি আপনি আমাকে তালাক্ব না দিলে আমি কিভাবে চলে যাবো,  উনি  বলে পেপার্স পাঠিয়ে দাও সাইন করে দিবো,  এরপর আমি বলি ঠিক আছে আমি নিজের উপর নিজে তালাক নিলাম,৷  এটা আমি মেসেজে লিখেছি, তালাক তালাক, এর আগে একবার মুখে উচ্চারন করেছিলাম নিজে নিজে।,  এই মেসেজ দেখার পর আমার স্বামি বলতেছে উনি নাকি এত বসর এগুলু মজা করে বলেছে,  সিরয়াস ভাবে বলেনি, এর মধ্যে ৩ মাস কেটে গেছে উনার সাথে আমার এক ঘরে থাকা হয়নি।কিন্তু আমি সংসার না করার জন্যই উনাকে তালাক দিতে বলেছি। কিন্তু উনি বলে আমি তো তোমাকে তালাক দেইনি৷ তাই তালাক হবেনা।

 ১/ এই অবস্থায় কি আমার সাথে উনার তালাক হয়ে গেছে? যদি হয়ে থাকে কয় তালাক হবে।

২/ কাভিন নামার ১৮ নাম্বার কলামে লিখা আছে,  স্বামি যদি স্ত্রীর কর্তব্য পালনে অক্ষম হয়,  পাগল,কারাবাস এবং নিরুদ্দেশ হয় তাহলে আপনি নিজের তালাক নিজে প্রদান করিতে  পারবেন, এই  কাবিন নামা কাজি বিয়ের পরে লিখছে কিন্তু সব কিছু কাজির নিজের হাতে লিখা সুধু আমাদের সাইন আছে,সাইন নিয়েছে সম্ভবত ইজাব কবুল এর আগে।এটা আমরা কেউ সঠিক মনে করতে পারছিনা। সেক্ষেত্রে আমি তালাকে তাফবিজের ক্ষমতা পেয়েছি কিনা?  আমার হাজবেন্ড বলে উনি কাবিন নামায় কি লিখা আছে সেটা জানেনা।উনাকে বলছে এখানে সাইন করো আর বাকি সব কাজি লিখে নিবেন পরে উনি আর কিছু বলেননি উনি সাইন করে দিয়েছে, ইজাব কবুল এর পরে কাজি কাবিন নামা ফিলাপ করেছে সম্ভবত । হাজবেন্ড প্রবাসী উনি আমার কোনো হক্ব ঠিক ভাবে আদায় করেন না,, কোনো কর্তব্য ঠিক ভাবে পালন করেনা। ৩/৪ বসর পর অল্প ছুটি নিয়ে দেশে আসে, উনাকে একে বারে চলে আসতে বলি উনি আসেনা, এই অবস্থা আমি কোনো গুনাহে জরিয়ে পরার আসংখ্যা করে তালাক নিয়ে দ্বিতীয় বিয়ে করার কথা চিন্তা করেছি, আমার বিয়ের বয়স ১৩ বসর, উনার সাথে বিয়ের পর থেকে স্বামি স্ত্রীর যে মিল মহাব্বত থাকার কথা সেটা নেই,, যদি ১নং প্রশ্ন অনুযায়ী যদি তালাক হয়ে থাকে তাহলে আমি ইদ্দত পালনের পর ২য় বিয়ে বসতে পারবো কিনা, দয়া করে যানাবেন

1 Answer

0 votes
by (583,410 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
(وَأَمَّا) بَيَانُ صِفَةِ الْحُكْمِ الثَّابِتِ بِالتَّفْوِيضِ: فَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ غَيْرُ لَازِمٍ فِي حَقِّ الْمَرْأَةِ حَتَّى تَمْلِكَ رَدَّهُ صَرِيحًا أَوْ دَلَالَةً لِمَا ذَكَرْنَا أَنَّ جَعْلَ الْأَمْرِ بِيَدِهَا تَخْيِيرٌ لَهَا بَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ نَفْسَهَا وَبَيْنَ أَنْ تَخْتَارَ زَوْجَهَا، وَالتَّخْيِيرُ يُنَافِي اللُّزُومَ وَمِنْ صِفَتِهِ أَنَّهُ إذَا خَرَجَ الْأَمْرُ مِنْ يَدِهَا لَا يَعُودُ الْأَمْرُ إلَى يَدِهَا بِذَلِكَ الْجَعْلِ أَبَدًا،
তাফবীযে তালাকের মাধ্যমে অর্জিত তালাকের অধিকার স্ত্রীর জন্য গ্রহণ করা অত্যাবশ্যকীয় নয়।এমনকি স্ত্রী প্রকাশ্যে বা ইশারায় সেই অধিকার কে ফিরিয়ে দেয়ারও ক্ষমতা রাখে। কেননা আমরা ইতিপূর্বে উল্লেখ করেছি যে, স্ত্রীর হাতে অর্পিত অধিকারটি তার ইচ্ছাধীন।স্ত্রী চাইলে সে তার অধিকার কে বাস্তবায়িত করতে পারে, আবার সে স্বামীকে গ্রহণ করেও নিতে পারে।সুতরাং ইচ্ছাগত বিষয় অত্যাবশ্যকীয় বিষয়ের সম্পূর্ণ বিরোধী।
এ হিসেবে বলা যায় যে,যখন স্ত্রী তার স্বামী কর্তৃত প্রদত্ত তালাকের অধিকারকে ফিরিয়ে দেবে তখন পূর্বে প্রদত্ত অধিকার দ্বারা স্ত্রী আর নিজের উপর তালাক প্রয়োগ করতে পারবে না।(বরং নতুন করে আবার স্বামী অধিকার দিলে স্ত্রী তালাকের মালিক বনবে।)
(বাদায়ে সানায়ে-৩/১১৭)


সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
"ভালো না লাগলে চলে যাও  ডিভোর্স দাও"

এরপর আপনাদের কথোপকথন

"আমি তাকে বলি আমাকে মুক্ত করে দেন,উনি বলে নিজে মুক্ত  হয়ে যাও,আমি বিয়ের পর থেকে বলতেছি এখনো বলি আমাকে ভালো না লাগলে আমার সাথে সংসার করতে ইচ্ছে না হলে তোমার যেখানে ভালো লাগে সেখানে চলে যাও,  ডিভোর্স পেপার পাঠাও সাইন করে দিবো,  যা মোহরানা পাবে নিয়ে যাও, এটা কয়েক বার বলে,  এরপর আরো একদিন সে বলে সংসার না করতে চাইলে চলে যাও।সম্পর্ক ঝুলিয়ে রাখছো কেনো, ডিভোর্স পেপার পাঠাও, বার বার একই কথা বলার পর আমি বলি আপনি আমাকে তালাক্ব না দিলে আমি কিভাবে চলে যাবো,  উনি  বলে পেপার্স পাঠিয়ে দাও সাইন করে দিবো,  এরপর আমি বলি ঠিক আছে আমি নিজের উপর নিজে তালাক নিলাম,৷  এটা আমি মেসেজে লিখেছি, তালাক তালাক, এর আগে একবার মুখে উচ্চারন করেছিলাম নিজে নিজে।"

এইসব আলোচনা দ্বারা স্ত্রী তালাকের অধিকার পেয়ে গেছে। স্ত্রী,যদি সরাসরি উপস্থিত থাকাবস্থায় স্বামীকে মেসেজে লিখে,তাহলে মেসেজ গ্রহণযোগ্য হবে না।কিন্তু যদি স্বামী দূরে কোথাও থাকে, তাহলে মেসেজের তালাক গ্রহণযোগ্য হবে। মুখের তালাক সর্বাবস্থায় গ্রহণযোগ্য হবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (583,410 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...