ওয়া আলাইকুম আসসালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
যারা মুজতাহিদ ফিল মাযহাব নন।অর্থাৎ যাদের মুজতাহিদ ফিল মাযহাব সমপরিমাণ জ্ঞান নেই,তাদের জন্য যেকোনো একজন ইমামকে অনুসরণ করা ওয়াজিব।সুতরাং আপনি উপরও যেকোনো একজন ইমাম বা যেকোনো একটি মাযহাবকে অনুসরণ করবেন।অনুসরণ করা আপনার উপর ওয়াজিব।
যেহেতু আপনি হানাফি মাযহাবের অনুসরণ করে আসছেন।তাই সকল মাস'আলায় আপনার জন্য হানাফি মাযহাবকে অনুসরণ করা ওয়াজিব।আপনি সকল মাস'আলায় সর্বক্ষেত্রে হানাফি মাযহাবকে অনুসরণ করবেন।
নারী পরুষের নামাযের ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে কি না?এ নিয়ে পরস্পর বিরোধী হাদীসের আলোকে ফুকাহাদের মধ্যে মতবিরোধ রয়েছে।
কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,নারী পুরুষের নামাযের মধ্যে কোনো পার্থক্য নাই।অন্যদিকে কিছু সংখ্যক ফুকাহায়ে কেরাম মনে করেন,নারী পুরুষের নামাযের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।হানাফি ফিকহ অনুযায়ী নারী পুরুষের নামাযের মধ্যে পার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে।এ পার্থক্যর অালোচনা ফুকাহায়ে কেরাম,হাদীসের অালোকেই করে থাকেন।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এটাই মনে প্রাণে মানবেন ও বিশ্বাস করবেন যে,নারী-পুরুষের নামাযের পার্থক্য রয়েছে।অন্য কোনো ব্যখ্যার দিকে মনকে প্রবিষ্ট করবেন না।
ﺃﺧﺒﺮﻧﺎﻩ ﺃﺑﻮ ﺑﻜﺮ ﻣﺤﻤﺪ ﺑﻦ ﻣﺤﻤﺪ ﺃﻧﺒﺄ ﺃﺑﻮ ﺍﻟﺤﺴﻴﻦ ﺍﻟﻔﺴﻮﻱ ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻠﺆﻟﺆﻱ ﺛﻨﺎ ﺃﺑﻮ ﺩﺍﻭﺩ ﺛﻨﺎ ﺳﻠﻴﻤﺎﻥ ﺑﻦ ﺩﺍﻭﺩ ﺃﻧﺒﺄ ﺑﻦ ﻭﻫﺐ ﺃﻧﺒﺄ ﺣﻴﻮﺓ ﺑﻦ ﺷﺮﻳﺢ ﻋﻦ ﺳﺎﻟﻢ ﺑﻦ ﻏﻴﻼﻥ ﻋﻦ ﻳﺰﻳﺪ ﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺣﺒﻴﺐ : ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭ ﺳﻠﻢ ﻣﺮ ﻋﻠﻰ ﺍﻣﺮﺃﺗﻴﻦ ﺗﺼﻠﻴﺎﻥ ﻓﻘﺎﻝ ﺇﺫﺍ ﺳﺠﺪﺗﻤﺎ ﻓﻀﻤﺎ ﺑﻌﺾ ﺍﻟﻠﺤﻢ ﺇﻟﻰ ﺍﻷﺭﺽ ﻓﺈﻥ ﺍﻟﻤﺮﺃﺓ ﻟﻴﺴﺖ ﻓﻲ ﺫﻟﻚ ﻛﺎﻟﺮﺟﻞ ( ﺳﻨﻦ ﺍﻟﻜﺒﺮﻯ ﻟﻠﺒﻴﻬﻘﻰ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺤﻴﺾ،
ﺑﺎﺏ ﻣﺎ ﻳﺴﺘﺤﺐ ﻟﻠﻤﺮﺃﺓ ﻣﻦ ﺗﺮﻙ ﺍﻟﺘﺠﺎﻓﻲ ﻓﻲ ﺍﻟﺮﻛﻮﻉ ﻭﺍﻟﺴﺠﻮﺩ، ﺭﻗﻢ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ 3016- )
তাবেয়ী ইয়াযীদ বিন আবী হাবীব রহ. বলেন-একবার রাসূল সা. দুই মহিলার পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। তখন তাদেরকে (সংশোধনের উদ্দেশ্য) বললেন-“যখন সেজদা করবে তখন শরীর যমীনের সাথে মিলিয়ে দিবে। কেননা মহিলারা এ ক্ষেত্রে পুরুষদের মত নয়। (সুনানুল বায়হাকী, হাদিস নং-৩০১৬, কিতাবুল মারাসিল লি ইমাম আবু দাউদ-৫৫, হাদিস নং-৮০)
প্রসিদ্ধ মুহাদ্দিস আলেম নওয়াব সিদ্দীক হাসান খান বুখারী শরীফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ “আওনুল বারী” (১/৫২০) তে লিখেছেন-“উল্লেখিত হাদিসটি সকল ইমামদের উসুল অনুযায়ী দলীল হিসেবে পেশ করায় যোগ্য”।
মুহাদ্দিস মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল আমীর ইয়ামানী “সুবুলুস সালাম” শরহু বুলুগিল মারাম” গ্রন্থে (১/৩৫১-৩৫২) এই হাদিসকে দলীল হিসেবে গ্রহণ করে পুরুষ ও মহিলার সেজদার পার্থক্য করেছেন।
নারী পুরুষের নামাযের পার্থক্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- 498 