ওয়া আলাইকুম আস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
مَا في كلامهم عشرةٌ: خمسة أسماء، وخمسة حروف. فإذا كان اسما فيقال للواحد والجمع والمؤنَّث على حدّ واحد، ويصحّ أن يعتبر في الضّمير لفظُه مفردا، وأن يعتبر معناه للجمع.
فالأوّل من الأسماء بمعنى الذي نحو:وَيَعْبُدُونَ مِنْ دُونِ اللَّهِ ما لا يَضُرُّهُمْ[يونس/ ١٨] «٤» ثمّ قال: هؤُلاءِ شُفَعاؤُنا عِنْدَ اللَّهِ [يونس/ ١٨]
আরবী ভাষায় مَا শব্দটি দশ প্রকারের হতে পারে।এর মধ্যে ৫টি ইসম এবং ৫টি হরফ।
যখন ইসমের জন্য ব্যবহৃত হবে,তখন এক বচন,বহু বচন, পরুষলিঙ্গ ও স্ত্রীলিঙ্গ সবার জন্য ব্যবহৃত হয়ে থাকে।তাছাড়া مَا শব্দ দ্বারা এক বচন এবং অর্থ দ্বারা বহুবচনকেও উদ্দেশ্য নেয়া বৈধ রয়েছে।
এবং مَاশব্দ ইসমের জন্য পাঁচ ভাবে ব্যবহৃত হতে পারে।যথাঃ-
(১)مَاশব্দটি মাওসুল- তথা الذي (যে বা যারা বা যাদের ইত্যাদি) অর্থে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
যেমন সূরা ইউনুসের ১৮ নং আয়াতের ব্যখ্যায় আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَيَعْبُدُونَ مِن دُونِ اللّهِ مَا لاَ يَضُرُّهُمْ وَلاَ يَنفَعُهُمْ وَيَقُولُونَ هَـؤُلاء شُفَعَاؤُنَا عِندَ اللّهِ قُلْ أَتُنَبِّئُونَ اللّهَ بِمَا لاَ يَعْلَمُ فِي السَّمَاوَاتِ وَلاَ فِي الأَرْضِ سُبْحَانَهُ وَتَعَالَى عَمَّا يُشْرِكُونَ
আর উপাসনা করে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন বস্তুর, যা না তাদের কোন ক্ষতিসাধন করতে পারে, না লাভ এবং বলে, এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী। তুমি বল, তোমরা কি আল্লাহকে এমন বিষয়ে অবহিত করছ, যে সম্পর্কে তিনি অবহিত নন আসমান ও যমীনের মাঝে ? তিনি পুতঃপবিত্র ও মহান সে সমস্ত থেকে যাকে তোমরা শরীক করছ।(সূরা ইউনুস-১৮)
এখানে مَا শব্দটি দ্বারা একবচন উদ্দেশ্য নয়,বরং বহুবচন উদ্দেশ্য।কেননা অতঃপর আল্লাহ তা'আলা তাদের কথাকে নকল করে বলেন,
هؤُلاءِ شُفَعاؤُنا عِنْدَ اللَّهِ
এরা তো আল্লাহর কাছে আমাদের সুপারিশকারী।
(আল-মুফরাদাতু ফি গারিবিল কুরআন-১/৭৮৭)
সূরায়ে কাফিরুন।
قُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُونَ
(১)বলুন, হে কাফেরকূল,
لَا أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ
(২)আমি এবাদত করিনা, তোমরা যার এবাদত কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
(৩)এবং তোমরাও এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি
وَلَا أَنَا عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ
(৪)এবং আমি এবাদতকারী নই, যার এবাদত তোমরা কর।
وَلَا أَنتُمْ عَابِدُونَ مَا أَعْبُدُ
(৫)তোমরা এবাদতকারী নও, যার এবাদত আমি করি।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِيَ دِينِ
(৬)তোমাদের কর্ম ও কর্মফল তোমাদের জন্যে এবং আমার কর্ম ও কর্মফল আমার জন্যে।
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সূরায়ে কাফিরুনের ২ আয়াতে উল্লেখিত مَا শব্দটি দ্বারা বহুবচন উদ্দেশ্য।
সুতরাং আপনি যে তরজমা উল্লেখ করেছেন,সেই তরজমাতে "যার" দ্বারা যার বা যাদের উদ্দেশ্য।