আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (29 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ

১. হাদীসে নেক কাজের উসীলা দিয়ে দুয়া করার কথা আছে। প্রশ্ন হচ্ছে, কেউ যদি তার কোনো ইখলাসপূর্ণ নেককাজের উসীলা দিয়ে হাজত পূরণের দুয়া করে এবং সেই হাজত পূরণ হয় তবে কি সে আখিরাতে সেই নেককাজের প্রতিদান পাবে না?

২. কুরআনের নানা দুয়ার আয়াত আছে যেগুলো প্রায়ই পাঠ করা হয়। যেমন, রব্বানা আতিনা ফিদ্দুনিয়া... কিংবা ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রজিউন। এই আয়াতগুলো দুয়া হিসাবে পাঠ করার আগে কি আউযুবিল্লাহ পড়া জরুরি?
৩. নবীজি ﷺ এর উপর পড়া যাবে এমন কিছু ছোট-বড় দরূদ জানতে চাই। দরূদে ইব্রাহিম সম্পর্কে জানি। এটা ব্যতীত অন্যগুলো বলে দিবেন ইন শা আল্লাহ।

1 Answer

0 votes
by (574,080 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ- 


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَبيْ عَبدِ الرَّحمَانِ عَبدِ اللهِ بنِ عُمَرَ بنِ الخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنهما قَالَ : سمعتُ رسولَ الله ﷺ يقول انطَلَقَ ثَلاثَةُ نَفَرٍ مِمَّنْ كَانَ قَبْلَكُمْ حَتَّى آوَاهُمُ المَبيتُ إِلى غَارٍ فَدَخلُوهُ فانْحَدرَتْ صَخْرَةٌ مِنَ الجَبَلِ فَسَدَّتْ عَلَيْهِمُ الغَارَ فَقَالُوْا : إِنَّهُ لاَ يُنْجِيكُمْ مِنْ هذِهِ الصَّخْرَةِ إِلاَّ أنْ تَدْعُوا اللهَ بصَالِحِ أعْمَالِكُمْ قَالَ رجلٌ مِنْهُمْ : اَللّٰهُمَّ كَانَ لِي أَبَوانِ شَيْخَانِ كبيرانِ وكُنْتُ لا أغْبِقُ قَبْلَهُمَا أهْلاً ولاَ مالاً فَنَأَى بِي طَلَب الشَّجَرِ يَوْماً فلم أَرِحْ عَلَيْهمَا حَتَّى نَامَا فَحَلَبْتُ لَهُمَا غَبُوقَهُمَا فَوَجَدْتُهُما نَائِمَينِ فَكَرِهْتُ أنْ أُوقِظَهُمَا وَأَنْ أغْبِقَ قَبْلَهُمَا أهْلاً أو مالاً فَلَبَثْتُ - والْقَدَحُ عَلَى يَدِي - أنتَظِرُ اسْتِيقَاظَهُما حَتَّى بَرِقَ الفَجْرُ والصِّبْيَةُ يَتَضَاغَوْنَ عَندَ قَدَميَّ فاسْتَيْقَظَا فَشَرِبا غَبُوقَهُما اَللّٰهُمَّ إنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذلِكَ ابِتِغَاء وَجْهِكَ فَفَرِّجْ عَنا مَا نَحْنُ فِيهِ مِنْ هذِهِ الصَّخْرَةِ فانْفَرَجَتْ شَيْئاً لا يَسْتَطيعُونَ الخُروجَ مِنْهُ قَالَ الآخر : اَللّٰهُمَّ إنَّهُ كانَتْ لِيَ ابْنَةُ عَمّ كَانَتْ أَحَبَّ النّاسِ إليَّ - وفي رواية : كُنْتُ أُحِبُّها كأَشَدِّ مَا يُحِبُّ الرِّجَالُ النساءَ - فأَرَدْتُهَا عَلَى نَفْسِهَا فامْتَنَعَتْ منِّي حَتَّى أَلَمَّتْ بها سَنَةٌ مِنَ السِّنِينَ فَجَاءتْنِي فَأَعْطَيْتُهَا عِشْرِينَ وَمئةَ دينَارٍ عَلَى أنْ تُخَلِّيَ بَيْني وَبَيْنَ نَفْسِهَا فَفعَلَتْ حَتَّى إِذَا قَدَرْتُ عَلَيْهَا - وفي رواية : فَلَمَّا قَعَدْتُ بَينَ رِجْلَيْهَا قالتْ : اتَّقِ اللهَ وَلاَ تَفُضَّ الخَاتَمَ إلاّ بِحَقِّهِ فَانصَرَفْتُ عَنهَا وَهيَ أَحَبُّ النَّاسِ إليَّ وَتَرَكْتُ الذَّهَبَ الَّذِي أعْطَيتُها اَللّٰهُمَّ إنْ كُنْتُ فَعَلْتُ ذلِكَ ابْتِغاءَ وَجْهِكَ فافْرُجْ عَنا مَا نَحْنُ فيهِ فانْفَرَجَتِ الصَّخْرَةُ غَيْرَ أَنَّهُمْ لا يَسْتَطِيعُونَ الخُرُوجَ مِنْهَا وَقَالَ الثَّالِثُ : اَللّٰهُمَّ اسْتَأْجَرْتُ أُجَرَاءَ وأَعْطَيْتُهُمْ أجْرَهُمْ غيرَ رَجُل واحدٍ تَرَكَ الَّذِي لَهُ وَذَهبَ فَثمَّرْتُ أجْرَهُ حَتَّى كَثُرَتْ مِنهُ الأمْوَالُ فَجَاءنِي بَعدَ حِينٍ فَقالَ : يَا عبدَ اللهِ أَدِّ إِلَيَّ أجْرِي فَقُلْتُ: كُلُّ مَا تَرَى مِنْ أجْرِكَ: مِنَ الإبلِ وَالبَقَرِ والْغَنَمِ والرَّقيقِ فقالَ : يَا عبدَ اللهِ لاَ تَسْتَهْزِىءْ بِي! فَقُلْتُ : لاَ أسْتَهْزِئ بِكَ فَأَخَذَهُ كُلَّهُ فاسْتَاقَهُ فَلَمْ يتْرُكْ مِنهُ شَيئاً الَّلهُمَّ إنْ كُنتُ فَعَلْتُ ذلِكَ ابِتِغَاءَ وَجْهِكَ فافْرُجْ عَنا مَا نَحنُ فِيهِ فانْفَرَجَتِ الصَّخْرَةُ فَخَرَجُوا يَمْشُونَ مُتَّفَقٌ عليهِ 

আব্দুল্লাহ বিন উমার (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি যে, তোমাদের পূর্বে (বনী ইসরাঈলের যুগে) তিন ব্যক্তি একদা সফরে বের হল। চলতে চলতে রাত এসে গেল। সুতরাং তারা রাত কাটানোর জন্য একটি পর্বত-গুহায় প্রবেশ করল। অল্পক্ষণ পরেই একটা বড় পাথর উপর থেকে গড়িয়ে নীচে এসে গুহার মুখ বন্ধ করে দিল। এ দেখে তারা বলল যে, এহেন বিপদ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হচ্ছে এই যে, তোমরা তোমাদের নেক আমলসমূহকে অসীলা বানিয়ে আল্লাহর কাছে দু‘আ কর।’ সুতরাং তারা স্ব স্ব আমলের অসীলায় (আল্লাহর কাছে) দু‘আ করতে লাগল।

তাদের মধ্যে একজন বলল, হে আল্লাহ! তুমি জান যে, আমার অত্যন্ত বৃদ্ধ পিতা-মাতা ছিল এবং (এও জান যে,) আমি সন্ধ্যা বেলায় সবার আগে তাদেরকে দুধ পান করাতাম। তাদের পূর্বে স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে ও কৃতদাস-দাসী কাউকে পান করাতাম না। একদিন আমি গাছের খোঁজে দূরে চলে গেলাম এবং বাড়ী ফিরে দেখতে পেলাম যে পিতা-মাতা ঘুমিয়ে গেছে। আমি সন্ধ্যার দুধ দহন করে তাদের কাছে উপস্থিত হয়ে দেখলাম, তারা ঘুমিয়ে আছে। আমি তাদেরকে জাগানো পছন্দ করলাম না এবং এও পছন্দ করলাম না যে, তাদের পূর্বে সন্তান-সন্ততি এবং কৃতদাস-দাসীকে দুধ পান করাই। তাই আমি দুধের বাটি নিয়ে তাদের ঘুম থেকে জাগার অপেক্ষায় তাদের শিয়রে দাঁড়িয়ে থাকলাম। অথচ শিশুরা ক্ষুধার তাড়নায় আমার পায়ের কাছে চেঁচামেচি করছিল। এভাবে ফজর উদয় হয়ে গেল এবং তারা জেগে উঠল। তারপর তারা নৈশদুধ পান করল। হে আল্লাহ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি বিধানের জন্য করে থাকি, তাহলে পাথরের কারণে আমরা যে গুহায় বন্দী হয়ে আছি এ থেকে তুমি আমাদেরকে উদ্ধার কর। এই দু‘আর ফলস্বরূপ পাথর একটু সরে গেল। কিন্তু তাতে তারা বের হতে সক্ষম ছিল না।

দ্বিতীয়-জন দু‘আ করল, হে আল্লাহ! আমার একটি চাচাতো বোন ছিল। সে আমার নিকট সকল মানুষের চেয়ে প্রিয়তমা ছিল। (অন্য বর্ণনা অনুযায়ী) আমি তাকে এত বেশী ভালবাসতাম, যত বেশী ভালবাসা পুরুষরা নারীদেরকে বাসতে পারে। একবার আমি তার সঙ্গে যৌন মিলন করার ইচ্ছা করলাম। কিন্তু সে অস্বীকার করল। পরিশেষে সে যখন এক দুর্ভিক্ষের কবলে পড়ল, তখন সে আমার কাছে এল। আমি তাকে এই শর্তে ১২০ দিনার (স্বর্ণমুদ্রা) দিলাম, যেন সে আমার সঙ্গে যৌন-মিলন করে। সুতরাং সে (অভাবের তাড়নায়) রাজী হয়ে গেল। অতঃপর যখন আমি তাকে আয়ত্তে পেলাম। (অন্য বর্ণনা অনুযায়ী) যখন আমি তার দু’পায়ের মাঝে বসলাম, তখন সে বলল, তুমি আল্লাহকে ভয় কর এবং অবৈধভাবে (বিনা বিবাহে) আমার সতীচ্ছদ নষ্ট করো না। সুতরাং আমি তার কাছ থেকে দূরে সরে গেলাম; যদিও সে আমার একান্ত প্রিয়তমা ছিল এবং যে স্বর্ণমুদ্রা আমি তাকে দিয়েছিলাম তাও পরিত্যাগ করলাম। হে আল্লাহ! যদি আমি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টির জন্য করে থাকি, তাহলে তুমি আমাদের উপর পতিত মুসীবতকে দূরীভূত কর।’’ সুতরাং পাথর আরো কিছুটা সরে গেল। কিন্তু তাতে তারা বের হতে সক্ষম ছিল না।

তৃতীয়জন দু‘আ করল, হে আল্লাহ! আমি কিছু লোককে মজুর রেখেছিলাম। (কাজ সুসম্পন্ন হলে) আমি তাদের সকলকে মজুরী দিয়ে দিলাম। কিন্তু তাদের মধ্যে একজন মজুরী না নিয়ে চলে গেল। আমি তার মজুরীর টাকা ব্যবসায় বিনিয়োগ করলাম। (কিছুদিন পর) তা থেকে প্রচুর অর্থ জমে গেল। কিছুকাল পর একদিন সে এসে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার মজুরী দিয়ে দাও। আমি বললাম, এসব উঁট, গাভী, ছাগল এবং গোলাম (আদি) যা তুমি দেখছ তা সবই তোমার মজুরীর ফল। সে বলল, হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার সঙ্গে উপহাস করবে না। আমি বললাম, আমি তোমার সঙ্গে উপহাস করিনি (সত্য ঘটনাই বর্ণনা করছি)। সুতরাং আমার কথা শুনে সে তার সমস্ত মাল নিয়ে চলে গেল এবং কিছুই ছেড়ে গেল না। হে আল্লাহ! যদি আমি এ কাজ একমাত্র তোমার সন্তুষ্টি লাভের জন্য করে থাকি, তাহলে যে বিপদে আমরা পড়েছি তা তুমি দূরীভূত কর। এর ফলে পাথর সম্পূর্ণ সরে গেল এবং সকলেই (গুহা থেকে) বের হয়ে চলতে লাগল।
(বুখারী ২২৭২ মুসলিম ২৭৪৩)

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
নেক কাজের উসীলা দিয়ে দুয়া করা জায়েজ আছে।
এক্ষেত্রে কেহ যদি তার কোনো ইখলাসপূর্ণ নেককাজের উসীলা দিয়ে হাজত পূরণের দুয়া করে এবং সেই হাজত পূরণ হয়,এক্ষেত্রেও আখিরাতে সেই নেককাজের প্রতিদান সে পাবে।
এর দরুন সে ঐ নেককাজের প্রতিদান থেকে বঞ্চিত হবেনা।
পরিপূর্ণ প্রতিদান সে পাবে।

(০২)
এই আয়াতগুলো দুয়া হিসাবে পাঠ করার আগে আউযুবিল্লাহ পড়া জরুরি নয়। 

(০৩)
হাদীসের আলোকে কিছু দরুদ শরীফ উল্লেখ করা হলো।
হাদিস শরিফে এসেছেঃ-

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺣُﻤَﻴْﺪٍ ﺍﻟﺴَّﺎﻋِﺪِﻱ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ :
ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮْﻝَ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛَﻴْﻒَ ﻧُﺼَﻠّﻲ
ﻋَﻠَﻴْﻚَ؟ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﺭَﺳُﻮْﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ : ﻗُﻮْﻟُﻮﺍ : ﺍﻟﻠَّﻬُﻢ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻪِ
ﻭﺫُﺭِّﻳَﺘِﻪِ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ
ﻣَﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻪِ ﻭَﺫﺭِّﻳَﺘِﻪِ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺁﻝَ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ
ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ . ( ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ، ﻛﺘﺎﺏ
ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ، ﺑﺎﺏ ﻗﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﺍﺗﺨﺬ ﺍﻟﻠﻪ ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ
ﺧﻠﻴﻼ ( .

“আবু হুমাইদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন,
নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন:
ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার উপর দরূদ
পড়ব কিভাবে? রাসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
বললেন: তোমরা বল
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া আযওয়াজিহী ওয়া যুররিয়্যাতিহী কামা ছাল্লাইতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা,
ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া আযওয়াজিহী ওয়া যুররিয়্যাতিহী কামা বারাকতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ’।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পত্নীগণ ও সন্তানদের
প্রতি এমনভাবে দরূদ পাঠ কর
যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীমের
পরিবার-পরিজনের উপর। হে আল্লাহ!
মুহাম্মদ এবং তাঁর পত্নীগণ ও
সন্তানদের প্রতি এমনভাবে বরকত
অবতীর্ণ কর যেমনভাবে করেছ
ইব্রাহীমের পরিবার-পরিজনের উপর।
নিশ্চয় তুমি মহান এবং সুপ্রশংসিত।
(বুখারী, হাদিস: ৩৩৬৯)

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻟَﻴْﻠَﻰ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ :
ﻟَﻘِﻴَﻨِﻲ ﻛَﻌْﺐُ ﺑْﻦُ ﻋُﺠْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻴْﻪُ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﻻَ
ﺃُﻫْﺪِﻱ ﻟَﻚَ ﻫَﺪِﻳَّﺔً ﺳَﻤِﻌْﺘُﻬﺎ ﻣِﻦْ ﺍﻟﻨّﺒﻰ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ
ﻭﺳﻠﻢ ؟ ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﺑَﻠَﻰ ﻓَﺄَﻫْﺪِﻫَﺎ ﻟِﻲ! ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺳَﺄَﻟْﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﻛَﻴْﻒَ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﺃَﻫْﻞِ ﺍﻟْﺒَﻴْﺖِ ﻓَﺈِﻥَّ ﺍﻟﻠﻪَ ﻗَﺪْ
ﻋَﻠَّﻤَﻨَﺎ ﻛَﻴْﻒَ ﻧُﺴَﻠِّﻢُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ؟ ﻗُﻮﻟُﻮْﺍ : ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ
ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ , ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ . ( ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ
ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻷﻧﺒﻴﺎﺀ ، ﺑﺎﺏ ﻗﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﻭﺍﺗﺨﺬ ﺍﻟﻠﻪ
ﺍﺑﺮﺍﻫﻴﻢ ﺧﻠﻴﻼ (.
“আব্দুর রহমান ইবনু
আবি লায়লা রাহিমাহুল্লাহ বলেন,
আমার সাথে কা‘ব ইবনু উজরার
সাক্ষাৎ হল, তিনি বললেন:
আমি কি সেই হাদিয়াটুকু তোমার
কাছে পৌঁছাব
না যা আমি নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম
থেকে শুনেছি? আমি বললাম, অবশ্যই
আপনি আমাকে সেই হাদিয়া দেন।
তারপর বললেন: আমরা রাসূল
সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস
করলাম, আপনি এবং আহলে বাইতের
উপর কিভাবে সালাত তথা দরূদ পাঠ
করব? কেননা আল্লাহ
তা‘আলা আমাদেরকে আপনাকে কিভাবে সালাম
জানাব তা বলে দিয়েছেন।
তিনি বললেন: তোমরা বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা ছাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ।
‘আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা কারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পরিবার-পরিজনদের উপর
এমনভাবে দরূদ পাঠ কর
যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীম ও তাঁর
পরিবার-পরিজনের উপর, নিশ্চয়
তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পরিবার-পরিজনদের উপর
এমনভাবে বরকত দাও
যেমনভাবে দিয়েছ ইব্রাহীম ও তাঁর
পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয়
তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
(বুখারী, হাদিস: ৩৩৭০।)

ﻋَﻦْ ﻋُﻘْﺒَﺔَ ﺑْﻦِ ﻋَﻤْﺮٍﻭ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﺃَﺗَﻲ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ
ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺭَﺟُﻞٌ ﺣَﺘّﻰ ﺟَﻠَﺲَ ﺑَﻴْﻦَ ﻳَﺪَﻳْﻪِ,
ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃَﻣَّﺎ
ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻓَﻘَﺪْ ﻋَﺮَﻓَﻨَﺎﻩُ, ﻭَﺃَﻣَّﺎ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ ﻓَﺄَﺧْﺒِﺮْﻧَﺎ ﺑِﻬَﺎ
ﻛَﻴْﻒَ ﻧُﺼَﻠِّﻰ ﻋَﻠَﻴْﻚَ؟ ﻓَﺼَﻤَﺖَ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺣَﺘَّﻰ ﻭَﺩَﺩْﻧَﺎ ﺃَﻥَّ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞَ ﺍﻟَّﺬِﻯ ﺳَﺄَﻟَﻪُ ﻟَﻢْ
ﻳَﺴْﺄَﻟْﻪُ . ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ : ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻴْﺘُﻢْ ﻋَﻠَﻲ ﻓَﻘُﻮْﻟُﻮﺍ : ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ
ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﺍﻟﻨَﺒﻰّ ﺍﻷُﻣِﻲِّ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ
ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ .
(ﺣﺴﻦ ، ﺭﻭﺍﻩ ﺇﺳﻤﺎﻋﻴﻞ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻓﻲ ﻓﻀﻞ ﺍﻟﺼﻼﺓ
ﻋﻠﻲ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ، ﻓﻀﻞ ﺍﻟﺼﻼﺓ
ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﻟﻸﻟﺒﺎﻧﻰ .(
“উকবা ইবনু আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, এক ব্যক্তি নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামের
সামনে এসে বসল এবং বলল:
ইয়া রাসুলাল্লাহ!
আপনাকে কিভাবে সালাম জানাব
তা আমরা জানি। তবে আপনার উপর
কিভাবে সালাত তথা দরূদ পাঠ করব?
তা আমাদের বলে দিন। তখন তিনি চুপ
থাকলেন এমনকি আমরা ভাবলাম
যদি প্রশ্নকারী প্রশ্ন না করত
তাহলে অনেক ভাল হত। তারপর
তিনি বললেন: তোমরা আমার উপর
সালাত পাঠ করার জন্য বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিনিন্ন াবিয়্যিল
উম্মিয়্যি ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা ছাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া ‘আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! নিরক্ষর
নবী মুহাম্মদ এবং তাঁর পরিবার-
পরিজনদের উপর এমনভাবে দরূদ পাঠ
কর যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীম ও
তাঁর পরিবার-পরিজনের উপর নিশ্চয়
তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
(ইসমাঈল কাযী, হাদিস: ৫৯)

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲِ ﻣَﺴْﻌُﻮْﺩٍ ﺍﻷَﻧْﺼﺎﺭِﻱِّ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ :
ﺃَﺗَﺎﻧَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓِﻲ ﻣَﺠْﻠِﺲِ
ﺳَﻌْﺪِ ﺑْﻦِ ﻋُﺒَﺎﺩَﺓَ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻟَﻪُ ﺑَﺸِﻴْﺮُ ﺑْﻦُ
ﺳَﻌْﺪٍ : ﺃَﻣَﺮَﻧَﺎ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﺰَّ ﻭَﺟَﻞَّ ﺃَﻥْ ﻧُﺼَﻠِّﻲَ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ
ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﻜَﻴْﻒَ ﻧُﺼَﻠِّﻲ ﻋَﻠَﻴْﻚَ؟
ﻓَﺴَﻜَﺖَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺣَﺘَّﻰ
ﺗَﻤَﻨَّﻴْﻨَﺎ ﺃَﻧَّﻪُ ﻟَﻢْ ﻳَﺴْﺄَﻟْﻪُ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻮْﻟُﻮْﺍ : ﺍﻟَّﻠﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ
ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺁﻝ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ
ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ
ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻓَﻲ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴْﻦَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ ﻭَﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ
ﻛَﻤَﺎ ﻋَﻠَﻤﺘﻢْ . ] ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ،
ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺘﺸﻬﺪ .[
“আবু মাসউদ আনসারী রাদিয়াল্লাহু
আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদা সা‘দ ইবনু
উবাদার মজলিসে আমাদের
কাছে আসলেন। তখন বশীর ইবনু সা‘দ
তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন:
ইয়া রাসুলাল্লাহ! আল্লাহ
তা‘আলা আমাদের আদেশ
দিয়েছেন যেন আমরা আপনার উপর
দরূদ পড়ি। আমরা কিভাবে আপনার উপর
সালাত তথা দরূদ পাঠ করব? তখন
তিনি চুপ থাকলেন
এমনকি আমরা ভাবলাম
যদি প্রশ্নকারী প্রশ্ন না করত
তাহলে অনেক ভাল হত। তারপর
তিনি বললেন: তোমরা বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা ছাল্লাইতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা,
ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা বারাকতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা ফিল
আলামীনা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ’।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পরিবার-পরিজনদের উপর
এমনভাবে দরূদ পাঠ কর
যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীম ও তাঁর
পরিবার-পরিজনের উপর। আর মুহাম্মদ
এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর
এমনভাবে বরকত দাও
যেমনভাবে পৃথিবীতে দিয়েছ
ইব্রাহীম ও তাঁর পরিবার-পরিজনের
উপর। নিশ্চয় তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
(মুসলিম, হাদিস: ৪০৫।)

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻌِﻴْﺪٍ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻱِّ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻠْﻨَﺎ ﻳَﺎ
ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻫﺬَﺍ ﺍﻟﺘَّﺴْﻠِﻴْﻢُ ﻓَﻜَﻴْﻒَ
ﻧُﺼَﻠِّﻲ ﻋَﻠَﻴْﻚَ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻮْﻟُﻮْﺍ : ﺍﻟَّﻠﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ
ﻋَﺒْﺪِﻙَ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟِﻚَ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻲ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ
ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻲ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠﻰ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ . ( ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﺒﺨﺎﺭﻱ ، ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺘﻔﺴﻴﺮ ، ﺑﺎﺏ ﻗﻮﻝ
ﺍﻟﻠﻪ ﺗﻌﺎﻟﻰ ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﻣﻼﺋﻜﺘﻪ ﻳﺼﻠﻮﻥ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ .(
“আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, আমরা বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালাম
তো আমাদের জানা আছে।
তবে আমরা কিভাবে আপনার উপর
সালাত তথা দরূদ পাঠ করব? তখন
তিনি বললেন: তোমরা বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
আব্দিকা ওয়া রাসুলিকা,
কামা ছাল্লাইতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা,
ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা বারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা’।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার
বান্দা এবং রাসূল মুহাম্মদ এর উপর
এমনভাবে দরূদ পাঠ কর
যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীমের
পরিবার-পরিজনের উপর। আর মুহাম্মদ
এবং তাঁর পরিবার-পরিজনদের উপর
এমনভাবে বরকত দাও
যেমনভাবে দিয়েছ ইব্রাহীম এর
উপর।
(বুখারী, হাদিস: ৪৭৯৮)

ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺑْﻦِ ﺃَﺑِﻲ ﻟَﻴْﻠَﻰ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ :
ﻟَﻘِﻴَﻨِﻲ ﻛَﻌْﺐُ ﺑْﻦُ ﻋُﺠْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻴْﻪُ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﻻَ
ﺃُﻫْﺪِﻱ ﻟَﻚَ ﻫَﺪِﻳَّﺔً ؟ ﺧﺮﺝ ﻋﻠﻴﻨﺎ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﻓﻘﻠﻨﺎ ﻗﺪ
ﻋﺮﻓﻨﺎ ﻛﻴﻒ ﻧﺴﻠﻢ ﻋﻠﻴﻚ ﻓﻜﻴﻒ ﻧﺼﻠﻲ ﻋﻠﻴﻚ ؟ ﻗﺎﻝ :
ﻗُﻮﻟُﻮْﺍ : ﺍﻟﻠﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ
ﺻَﻠَّﻴْﺖَ َﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ , ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ
ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ . ( ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﻣﺴﻠﻢ ،
ﻛﺘﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ، ﺑﺎﺏ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﺑﻌﺪ ﺍﻟﺘﺸﻬﺪ .
(
“আব্দুর রহমান ইবনু
আবি লায়লা রাদিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, আমার সাথে কা‘ব ইবনু উজরার
সাক্ষাত হল, তিনি বললেন:
আমি কি তোমাকে একটি হাদিয়া দেব
না? নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের
কাছে আসলেন।
আমরা তাঁকে জিজ্ঞেস
করলামঃ আপনাকে কিভাবে সালাম
জানাব তা আমরা জানি।
তবে আপনার উপর কিভাবে সালাত
তথা দরূদ পাঠ করব? তিনি বললেন:
তোমরা বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা ছাল্লাইতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ।
‘আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা বারাকতা ‘আলা আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ’।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পরিবার-পরিজনদের উপর
এমনভাবে দরূদ পাঠ কর
যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীমের
পরিবার-পরিজনের উপর নিশ্চয়
তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পরিবার-পরিজনদের উপর
এমনভাবে বরকত দাও
যেমনভাবে দিয়েছ ইব্রাহীমের
পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয়
তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
(মুসলিম, হাদিস: ৪০৬ ।)

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻌِﻴْﺪٍ ﺍﻟْﺨُﺪْﺭِﻱِّ ﺭَﺿِﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻠْﻨَﺎ ﻳَﺎ
ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻗَﺪْ
ﻋَﺮَﻓْﻨَﺎﻩُ ﻓَﻜَﻴْﻒَ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻮْﻟُﻮﺍ : ﺍﻟَّﻠﻬُﻢَّ
ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻋَﺒْﺪِﻙَ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟِﻚَ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ
ﻋَﻠِﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ . ( ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ، ﺻﺤﻴﺢ
ﺳﻨﻦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻷﻭﻝ .(
আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, আমরা বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালাম
তো আমাদের জানা আছে।
তবে আমরা কিভাবে আপনার উপর
সালাত তথা দরূদ পাঠ করব? তখন
তিনি বললেন: তোমরা বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
আব্দিকা ওয়া রাসুলিকা,
কামা ছাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা,
ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া আলি মুহাম্মাদিন
কামা বারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা’।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! তোমার বান্দা ও
রাসূল মুহাম্মদ এর উপর এমনভাবে দরূদ
পাঠ কর যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীম
এর উপর। আর মুহাম্মদ এবং তাঁর পরিবার-
পরিজনদের উপর এমনভাবে বরকত দাও
যেমনভাবে দিয়েছ ইব্রাহীম এর
উপর।
(নাসায়ী, হাদিস: ১২২৬।(সহীহ)


ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻌِﻴْﺪٍ ﺍﻟﺨُﺪْﺭِﻱِّ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻠْﻨَﺎ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ
ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻫَﺬَﺍ ﺍﻟﺴَّﻼَﻡُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻗَﺪْ ﻋَﺮَﻓْﻨَﺎﻩُ
ﻓَﻜَﻴْﻒ ﺍﻟﺼَّﻼَﺓُ ؟ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻮْﻟُﻮْﺍ : ﺍﻟَّﻠَﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ
ﻋَﺒْﺪِﻙَ ﻭَﺭَﺳُﻮْﻟِﻚَ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ
ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ .
( ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ، ﺻﺤﻴﺢ ﺳﻨﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ
ﺍﻟﺠﺰﺀﺍﻷﻭﻝ .(
“আবু সাঈদ খুদরী রাদিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, আমরা বললাম,
ইয়া রাসুলাল্লাহ! সালাম
তো আমাদের জানা আছে।
তবে আমরা কিভাবে আপনার উপর
সালাত তথা দরূদ পাঠ করব? তখন
তিনি বললেন: তোমরা বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
আব্দিকা ওয়া রাসুলিকা,
কামা ছাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা,
ওয়া বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা বারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা’।
হে আল্লাহ! তোমার বান্দা ও রাসূল
মুহাম্মদ এর উপর এমনভাবে দরূদ পাঠ কর
যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীম এর উপর।
আর মুহাম্মদ এবং তাঁর পরিবার-
পরিজনদের উপর এমনভাবে বরকত দাও
যেমনভাবে দিয়েছ ইব্রাহীম এর
উপর।
(ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৭৩৬। (সহীহ))

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺣُﻤَﻴْﺪٍ ﺍﻟﺴَّﺎﻋِﺪِﻱِّ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﺃَﻧَّﻬُﻢْ ﻗَﺎﻟُﻮْﺍ :
ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺃُﻣِﺮْﻧَﺎ ﺑِﺎﻟﺼَّﻼَﺓِ
ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻓَﻜَﻴْﻒَ ﻧُﺼَﻠِّﻲ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ؟ ﻓﻘﺎﻝ : ﻗُﻮْﻟُﻮﺍ : ﺍﻟَّﻠﻬُﻢَّ
ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻪِ ﻭَﺫُﺭِّﻳَﺘِﻪِ ﻛَﻤَﺎ ﺻَﻠَّﻴْﺖَ ﻋَﻠَﻰ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻪِ ﻭَﺫُﺭِّﻳَﺘِﻪِ ﻛَﻤَﺎ
ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻌَﺎﻟَﻤِﻴْﻦَ, ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ .
( ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ ، ﺻﺤﻴﺢ ﺳﻨﻦ ﺍﺑﻦ ﻣﺎﺟﺔ
ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻷﻭﻝ (
“আবু হুমাইদ সা‘য়েদী রাদিয়াল্লাহু
আনহু বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন,
ছাহাবীগণ জিজ্ঞেস করলেন:
ইয়া রাসূলাল্লাহ!
আমাদেরকে আপনার উপর দরূদ পড়ার
আদশ দেওয়া হয়েছে।
আমরা কিভাবে আপনার উপর দরূদ পড়ব?
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন:
তোমরা বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া আযওয়াজিহী ওয়া যুররিয়্যাতিহী কামা ছাল্লাইতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া বারিক
‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া আযওয়াজিহী ওয়া যুররিয়্যাতিহী কামা বারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা ফিল
আলামীনা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ’।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পত্নীগণ ও সন্তানদের
প্রতি এমনভাবে দরূদ পাঠ কর
যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীমের উপর।
হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পত্নীগণ ও সন্তানদের
প্রতি এমনভাবে বরকত অবতীর্ণ কর
যেমনভাবে করেছ ইব্রাহীমের
পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয়
তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
(ইবনু মাজাহ, হাদিস: ৭৩৮ । (সহীহ)

ﻋَﻦْ ﺯَﻳْﺪِ ﺑْﻦِ ﺧَﺎﺭِﺟَﺔَ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﺃَﻧَﺎ ﺳَﺄَﻟْﺖُ
ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺻَﻠُّﻮْﺍ ﻋَﻠَﻲَّ
ﻭَﺍﺟْﺘَﻬِﺪُﻭْﺍ ﻓِﻲ ﺍﻟﺪُّﻋَﺂﺀِ ﻭَﻗُﻮْﻟُﻮْﺍ : ﺍﻟَّﻠﻬُﻢَّ ﺻَﻞِّ ﻋَﻠَﻰ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ
ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ . ( ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻲ ، ﺻﺤﻴﺢ
ﺳﻨﻦ ﺍﻟﻨﺴﺎﺋﻰ ﺍﻟﺠﺰﺀ ﺍﻷﻭﻝ ).
“যায়েদ ইবনু খারিজাহ রাদিয়াল্লাহু
আনহু বলেন, আমি নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লামকে জিজ্ঞেস
করলাম। তখন তিনি বললেন:
তোমরা আমার উপর দরূদ পড়
এবং অনেক
বেশী চেষ্টা করে দো‘আ’ কর।
এভাবে বল:
‘আল্লাহুম্মা ছাল্লি ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন’।
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পরিবার-পরিজনদের উপর রহমত বর্ষণ
কর।
(নাসায়ী, হাদিস: ১২২৫ (সহীহ))


ﻋَﻦْ ﻣُﻮْﺳَﻰ ﺑْﻦِ ﻃَﻠْﺤَﺔَ ﺭَﺿِﻲ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝ : ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧِﻲ
ﺯَﻳْﺪُ ﺑْﻦُ ﺧَﺎﺭِﺟَﺔَ ﻗَﺎﻝَ : ﻗُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻﻠﻲ ﺍﻟﻠﻪ
ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗَﺪْ ﻋَﻠِﻤْﻨَﺎ ﻛَﻴْﻒَ ﻧُﺴَﻠِّﻢُ ﻋَﻠَﻴْﻚَ ﻓَﻜَﻴْﻒَ ﻧُﺼَﻠِّﻲ
ﻋَﻠَﻴْﻚَ ؟ ﻗَﺎﻝَ ﺻَﻠُّﻮْﺍ ﻋَﻠَﻲَّ ﻭَﻗُﻮْﻟُﻮْﺍ : ﺍﻟَّﻠﻬُﻢَّ ﺑَﺎﺭِﻙْ ﻋَﻠَﻰ
ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺁﻝِ ﻣُﺤَﻤَّﺪٍ ﻛَﻤَﺎ ﺑَﺎﺭَﻛْﺖَ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﻭَﺁﻝِ
ﺇِﺑْﺮَﺍﻫِﻴْﻢَ ﺇِﻧَّﻚَ ﺣَﻤِﻴْﺪٌ ﻣَﺠِﻴْﺪٌ . ( ﺻﺤﻴﺢ ، ﺭﻭﺍﻩ ﺃﺣﻤﺪ ،
ﻓﻀﻞ ﺍﻟﺼﻼﺓ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻨﺒﻰ ﻟﻸﻟﺒﺎﻧﻰ (
“মুসা ইবনু ত্বালহা রাদিয়াল্লাহু আনহু
বলেন, যায়েদ ইবনু খারিজাহ
আমাকে বললেন যে,
তিনি বলেছেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ!
আপনাকে কিভাবে সালাম করব
তা আমারা জানি। তবে আপনার উপর
সালাত তথা দরূদ কিভাবে পাঠ করব?
তখন তিনি বললেন: তোমরা আমার
উপর দরূদ পাঠ করতঃ বল:
‘আল্লাহুম্মা বারিক ‘আলা মুহাম্মাদিন
ওয়া ‘আলা আলি মুহাম্মাদিন
কামা বারাকতা ‘আলা ইবরাহীমা ওয়া আলি ইবরাহীমা ইন্নাকা হামীদুম্মাজীদ’।
অর্থাৎ হে আল্লাহ! মুহাম্মদ এবং তাঁর
পরিবার-পরিজনদের উপর
এমনভাবে বরকত দাও
যেমনভাবে দিয়েছ ইব্রাহীম ও তাঁর
পরিবার-পরিজনের উপর। নিশ্চয়
তুমি মহান এবং প্রশংসিত।
(মুসনাদু আহমদ, হাদিস: ৬৮।)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...