★একশত বার ‘সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহী’ পাঠ করা:
আবু হুরাইরাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ
من قال حين يصبح وحين يمسي سبحان الله وبحمده مائة مرة لم يأت أحد يوم القيامة بأفضل مما جاء به إلا أحد قال مثل ما قال أو زاد عليه ” . قال أبو عيسى هذا حديث حسن صحيح غريب .
যে ব্যক্তি সকালে ও বিকালে একশত বার বলেঃ সুবাহানাল্লহি ওয়া বিহামদিহী”, কিয়ামতের দিন তার চাইলে উত্তম (আমালকারী) আর কেউ হবে না। তবে যে লোক তার ন্যায় কিংবা তার চাইতে অধিক পরিমান তা বলে (সে উত্তম ‘আমালকারী বলে গণ্য হবে)।”
[তাহ’লীকুর রাগিব (হাঃ ১/২২৬), মুসলিম। জামে’ আত তিরমিজি, হাদিস নং ৩৪৬৯]
★একশত বার ‘সুবহানাল্লাহ’ এবং ‘লাইলাহা ইল্লাল্লাহ; পাঠ করা:
আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَنْ سَبَّحَ فِي دُبُرِ صَلَاةِ الْغَدَاةِ مِائَةَ تَسْبِيحَةٍ، وَهَلَّلَ مِائَةَ تَهْلِيلَةٍ، غُفِرَتْ لَهُ ذُنُوبُهُ، وَلَوْ كَانَتْ مِثْلَ زَبَدِ الْبَحْرِ
“যে ব্যক্তি সকালের সালাতের পর একশত বার সুবহানাল্লাহ এবং একশত বার লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ বলবে, তার গুনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে-যদিও তা সমুদ্রের ফেনাসম হয়। (সুনানে নাসাঈ, হা/ ১৩৫৪, সহীহ)
★একশত বার সুবহানাল্লাহ, আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার এবং লাইলাহা ইল্লাল্লাহ পাঠ করা:
উম্মে হানি রা. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লা এর নিকট এসে বলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ, আমি বৃদ্ধ ও দুর্বল হয়ে গিয়েছি, আমাকে এমন একটি আমল শিখিয়ে দিন যা আমি বসে বসে পালন করতে পারবো। তিনি বলেনঃ
سَبِّحِي اللهَ مِائَةَ تَسْبِيحَةٍ، فَإِنَّهَا تَعْدِلُ لَكِ مِائَةَ رَقَبَةٍ تَعْتِقِينَهَا مِنْ وَلَدِ إِسْمَاعِيلَ
وَاحْمَدِي اللهَ مِائَةَ تَحْمِيدَةٍ، تَعْدِلُ لَكِ مِائَةَ فَرَسٍ مُسْرَجَةٍ مُلْجَمَةٍ تَحْمِلِينَ عَلَيْهَا فِي سَبِيلِ اللهِ.
وَكَبِّرِي اللَّهَ مِائَةَ تَكْبِيرَةٍ، فَإِنَّهَا تَعْدِلُ لَكِ مِائَةَ بَدَنَةٍ مُقَلَّدَةٍ مُتَقَبَّلَةٍ، وَهَلِّلِي اللَّهَ مِائَةَ تَهْلِيلَةٍ – قَالَ ابْنُ خَلَفٍ: أَحْسِبُهُ قَالَ:- تَمْلَأُ مَا بَيْنَ السَّمَاءِ وَالْأَرْضِ، وَلَا يُرْفَعُ يَوْمَئِذٍ لِأَحَدٍ عَمَلٌ، إِلَّا أَنْ يَأْتِيَ بِمِثْلِ مَا أَتَيْتِ
“তুমি ১০০ বার “সুব’হা-নাল্লাহ” বলবে। তাহলে ইসমাঈল আ. এর বংশের ১০০টি ক্রীতদাস মুক্ত করার সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
তুমি ১০০ বার “আল হামদু লিল্লাহ” বলবে, তাহলে আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধের জন্য ১০০ টি সাজানো ঘোড়ায় মুজাহিদ প্রেরণের সমপরিমাণ সাওয়াব পাবে।
তুমি ১০০ বার “আল্লাহু আকবার” বলবে, তাহলে ১০০টি মাকবুল উট কুরবানির সমপরিমাণ সাওয়াব তুমি পাবে।
তুমি ১০০ বার ‘লা-ইলাহা ইল্লাহ’ বলবে, তাহলে (ইবনে খালাফ বলেন, আমার ধারণা তিনি বলেছেন) “তোমার সাওয়াবে আসমান ও জমীন পূর্ণ হয়ে যাবে এবং সে দিন তোমার মত আমল আর কারো (আল্লাহর নিকট) উঠানো হবে না অবশ্য কেউ তোমার সমপরিমান আমল করলে তার কথা ভিন্ন।
(মুসনাদে আহমাদ, বায়হাকী, সহীহ তারগীব ওয়াত তাররহীব হা/১৫৫৩)
★একশতবার আসতাগফিরুল্লাহ পাঠ করা:
রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর সাহাবী আগার আল মুযানী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
إِنَّهُ لَيُغَانُ عَلَى قَلْبِي وَإِنِّي لأَسْتَغْفِرُ اللَّهَ فِي الْيَوْمِ مِائَةَ مَرَّةٍ.
“আমার অন্তরে কখনো কখনো অলসতা দেখা দেয়, তাই আমি দৈনিক একশত বার ইস্তিগফার বা আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে থাকি।” (সহীহ মুসলিম, অধ্যায়ঃ বেশি বেশি ক্ষমা প্রার্থনা বা ইসতিগ্ফার করা মুস্তাহাব হা/ ৬৭৫১)
★লাহাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লাহ বিল্লাহ পাঠ করার ফজিলতও হাদীসে আছেঃ-
قُلْ لاَ حَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ فَإِنَّهَا. كَنْزٌ مِنْ كُنُوزِ الْجَنَّةِ
“তুমি পড়বে ‘লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ’। কারণ এ দু‘আ হলো জান্নাতের রত্ন ভান্ডারগুলোর একটি।” [সহীহ বুখারী, হাদিস নম্বরঃ [6384] অধ্যায়ঃ ৮০/ দু‘আসমূহ (كتاب الدعوات) তাওহীদ পাবলিকেশন]