ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আলহামদুলিল্লাহ!
শরীয়তে মূলনীতি হল,
প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য যদি ফিস না থাকে,তাহলে তাতে পুরুস্কারের ব্যবস্থা থাকার পরও সেই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ জায়েয হবে। তবে শর্ত হল, তাতে শরীয়ত বিরোধী কোনো কর্মকান্ড থাকতে পারবে না। আর যদি তাতে ফিস থাকে তবে জায়েয হবে না। কেননা তখন এটা জুয়ার অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে, যা পরিস্কার হারাম। বিস্তারিত-https://www.ifatwa.info/9640
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُواْ إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ وَالأَنصَابُ وَالأَزْلاَمُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা কল্যাণপ্রাপ্ত হও।(সূরা মায়েদা-৯০)
বিস্তারিত জানুন- https://www.ifatwa.info/1505
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেই প্রতিযোগিতায় পুরুস্কার থাকবে, যদি প্রতিযোগিতায় ফিস থাকে, তাহলে এমন প্রতিযোগিতায় ফিস দিয়ে অংশ গ্রহণ করা জায়েয হবে না।কেননা তাতে জুয়ার সাদৃশ্যতা পাওয়া যায়। এমনকি যদি তৃতীয় পক্ষ থেকে পুরুষ্কার দেয়া হয়,এবং সাথে সাথে কর্তৃপক্ষ ফিস উসূল করে, তাহলে যেহেতু প্রতিযোগীরা পুরুস্কারের আশায়ই অংশগ্রহণ করে,তাই এমন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা জায়েয হবে না। যদি কেউ ফিস দিয়ে অংশগ্রহণ করে,তাহলে তার টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে।এই টাকা অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না।