বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
3383 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,দাদার বোন হচ্ছে বাবার ফুফু আর বাবার ফুফু মানে নিজের ফুফু, যেহেতু নিজের ফুফু মাহরাম।তাই বাবার ফুফু তথা দাদার বোনও মাহরাম।সুতরাং বিয়ে জায়েয হবে না।ঠিকতেমনি নানার বোন, দাদির বোন, নানীর বোন সবাই মাহরামের অন্তর্ভুক্ত। কাউকেই বিয়ে করা যাবে না।
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সম্পর্কে নানী হলেই যে মাহরাম হবে, বিষয়টা আসলে এমন নয়।বরং মাহরাম হওয়ার জন্য শর্ত হর্ত হল,নিজ নানা বা নানীর বোন হতে হবে।
(১)আপনার নানার ছোট্ট ভাইয়ের স্ত্রী আপনার মাহরাম না।সুতরাং উনার সাথে পূর্ণ পর্দার হেফাজত রাখতে হবে।
(২)
1282 নং ফাতাওয়ায় আমরা উল্লেখ করেছি যে,
ওজুর ধারাবাহিক সুন্নত বর্ণানায় ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় উল্লেখিত রয়েছে-
(ومنها المضمضة والاستنشاق) والسنة أن يتمضمض ثلاثا أولا ثم يستنشق ثلاثا ويأخذ لكل واحد منهما ماء جديدا في كل مرة وكذا في محيط السرخسي.وحد المضمضة استيعاب الماء جميع الفم وحد الاستنشاق أن يصل الماء إلى المارن. كذا في الخلاصة.إن ترك المضمضة والاستنشاق أثم على الصحيح؛ لأنهما من سنن الهدى وتركها يوجب الإساءة بخلاف السنن الزوائد فإن تركها لا يوجب الإساءة هكذا في السراج الوهاج.
ওজুর সুন্নত সমূহের মধ্যে একটি সুন্নত হলো,(১)মাদমাদাহ তথা গড়গড়া করে কুলি করা(২)ইস্তেনশাক্ব তথা নাকের নরম স্থান পর্যন্ত পানি পৌঁছানো।নতুন পানি দ্বারা প্রথমে তিনবার মাদমাদাহ করা তারপর আবার নতুন পানি দ্বারা তিনবার ইস্তেনশাক্ব করা সুন্নত।বিশুদ্ধ মতানুযায়ী মাদমাদাহ এবং ইস্তেনশাক্ব ছেড়ে দিলে গোনাহ হবে।কেননা এ দু'টো সুন্নতে মু'আক্বাদাহ (অর্থাৎ রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিয়মিত সুন্নত)।এবং ছেড়ে দেওয়া গোনাহকে ওয়াজিব করে।তবে অন্যান্য সুন্নতে যায়েদাহ কে ছেড়ে দিলে কেউ গোনাহগার হবে না। (ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৭)
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ مَسْعَدَةَ، حَدَّثَنَا مُعْتَمِرٌ، قَالَ: سَمِعْتُ لَيْثًا، يَذْكُرُ عَنْ طَلْحَةَ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ: «دَخَلْتُ - يَعْنِي - عَلَى النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَهُوَ يَتَوَضَّأُ، وَالْمَاءُ يَسِيلُ مِنْ وَجْهِهِ وَلِحْيَتِهِ عَلَى صَدْرِهِ، فَرَأَيْتُهُ يَفْصِلُ بَيْنَ الْمَضْمَضَةِ وَالِاسْتِنْشَاقِ»
ত্বালহা (রহঃ) তাঁর পিতা হতে তাঁর দাদার সূত্রে বর্ণনা করেন যে, আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এমন সময় গেলাম যখন তিনি অযু করছিলেন, অযুর পানি তাঁর মুখ ও দাড়ি গড়িয়ে তাঁর বুকের উপর পড়ছিল। আমি দেখলাম, তিনি পৃথকভাবে কুলি করলেন এবং নাকে পানি দিলেন।(সুনানে আবি-দাউদ-১৩৯)
এক চিল্লু পানি দ্বারা নাকে এবং গড়গড়া কুলি করি কি সুন্নত? না দুই চিল্লু দ্বারা পৃথক পৃথক ভাবে নাকে ও গড়গড়া কুলি করা সুন্নত?
এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ রয়েছে।এবং উভয় দলের নিকট পরস্পর বিরোধী হাদীস রয়েছে।