আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
207 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (48 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম হুজুর
১.আমি একদিন হাসবেন্ড কে বলেছিলাম ডিভোর্স দিয়া দিও। হাসবেন্ড বলেছিল তুমি দিয়া  দিও।আর কয়েক দিন বলসি ছাইড়া  দেও।তখন সে প্রায়  সময়  চুপ থাকত।এখন আমার মনে হই যে ছাইড়া  দেও বলসে।বা বলসে যদি তুমার ভাল  না লাগে বা মন  চাইলে তুমি ছাইড়া দিও। ইমদাদুল হুজুর বলেছিলেন এইটা দিয়া স্থায়ি বা সাময়িক উভয় অধিকার  দেওয়ার  সম্ভাবনা আছে। হাসবেন্ড  এর কাছে জিজ্ঞেস  কইরেন সে কোন উদ্দেশ্য  বলেছিল।আমি আজকে জিজ্ঞেস  করেছি যে তুমি  কি কখনো কি বলেছ যে আমার যখন মন চাই যখন ইচ্ছা  হই তখন ছাইড়া  দিতে পারব।সে বলেছে না বলি নাই।আবার জিজ্ঞেস  করছি তুমি যখন বলছ যে তুমার ভাল  না লাগ্লে মন চাইলে ছাইড়া  দিও তখন কোন নিয়তে  বলছ।সে বলছে যে কোন নিয়তে  বলি নাই।অই সময়  এম্নেই বলসি। আসলে আমি চাইতাম আমার দিক থেকে নি   কোন সমস্যা না হই।বড়জোর  একদিন লাগবে তুমার ঠিক হইতে।আসলে হাসবেন্ড  জানেই না অইভাবে বউ কে অধিকার  দেওয়া যাই। সে বলসে এইসব মাসালা সে আগে জানতই না।আমি কিছুক্ষন পর আবার জিজ্ঞেস  করছি যে ভালো  ভাবে মনে কইরা বল যে তুমি অইভাবে বলসিলা নাকি যে তুমার ভাল না লাগলে  মন চাইলে  দিও বলসিলা নাকি।আমার  ত মনে হই বলছো আবার মনে হই বল নাই।যেহেতু আমি ওয়াস ওয়াসার  রোগি। অনেক কথায়  মনে হই।হাসবেন্ড  তখন বলছে যে আমি বিয়ের আগে যখন আমাদের পরিচয়  ছিল তখন বলছি বিয়ের পর বলি নাই।আসলে ইমদাদুল হুজুর বলসে নিয়ত না থাকলে বা অই সময়  রাগ কইরা  বললে সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে।

ক।উপরের বিবরণ  অনুযায়ী আমি কি সাময়িক অধিকার  পাব?যদি সে বলে তুমার  ভাল না লাগলে  বা মন চাইলে  তুুুমি ছাইড়া  দিও। স্থায়ী  অধিকার  দেওয়ার নিয়তে না বলে।হুজুুর বলছিল সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে।

খ।আসলে সিওর কি ঘটছিলো বা কোন ভাবে বলছিল।কসম কইরা বলতে পারব না।অনেক আগের ঘটনা এগুলা।এখন তাহলে কি করনিয়। কোন  ধরনের অধিকার  ধইরা নিব।

গ।তুমার  জা মন চাই তাই কর গা বা কইর।এর দারা অধিকার  দিলে কি সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে? ইমদাদুল হুজুর বলেছিলেন যে সাময়িক অধিকার দেওয়া বুজাবে। তাও জিজ্ঞেস করলাম।ওয়াস ওয়াসা আসে শুধু
২.মুখে উচ্চারণ  কইরা তালাক বলছি নাকি যদি তা নিয়া সন্দেহ থাকে তাইলে তাহলে কি তালাক হবে? কানে শুনা  যায়  কতটুকু শব্দ কইরা বললে বুজার জন্নে যদি মুখে উচ্চারণ  কইরা বলা হই তালাক নেওয়ার ইচ্ছে  ছাড়া  তাইলে কি তালাক হবে।তখন জানতাম না যে অধিকার আছে।তালাক নেওয়ার কোন  ইচ্ছে ছিল না ওয়াস ওয়াসা  থেকে না পাইরা বলছি। আর তখন চিন্তা  করতাম না কারন জানতাম যে অধিকার  নাই।হাসবেন্ড  যখন বলসে মানে মজলিস এ বলি নাই।অনেক পরে বলছি।

৩.হাসবেন্ড  কে অনেক মাস যাবত  বিরক্ত  করতেছি এই সব নিয়া।আল্লাহ  মাফ করুক।সে অনেক সময়  আমি কি জানতে চাই  তা না বুজার কারনে একেক সময়  একেক রকম উত্তর দিসে।জিজ্ঞেস  করছি যে আমি যখন  বলসি ছাইড়া  দেও তখন কি তুমি বলছো  জাও গা।সে বলসে ইচ্ছে  কইরা মন থেকে  বলি নাই।কিছু খন পর আবার জিজ্ঞেস করসি যে আমার মনে আছে যে আমি যখন বলসি যাব গা তখন তুমি মাজে মাজে বলছো জাও গা তালাকের  নিয়ত  ছাড়া। কিন্তু যখন বলছি ছাইড়া  দেও তখন কি বলছো যাও গা আমার পুরাপুরি  মনে নাই কি বলছো।তখন হাসবেন্ড  বলছে তখন কিছু বলি নাই।কারন যখন ছাইড়া  দিতে বলছো তখন আমার  ই দুষ ছিল।বা হইত হাসবেন্ড  এর মনে নাই।আসলে আমার ২ জন ই জানতাম না কেনায়া তালাক সম্পর্কে। এতে কি তালাক হবে।

৪.হাসবেন্ড  কে এসব জিজ্ঞেস  করাই সে বলছে আমি আগে এসব মাসাল কিছুই  জানতাম না।।আমি খালি জানতাম আমি যদি  ৩ তালাক বলি তাইলে হারাম হবে। আবার আমি তারে বলসি আমি না অই খারাপ কথা বইলা ফেলসি কিন্তু তুমাকে বলি নাই।তখন হাসবেন্ড  বলছে কি তালাক বলছো। আমি বলসি হ।এসব কথায় কি তালাক হবে?.এগুলা বলার সময় মনে
যদি আসে তালাক দিলাম কিন্তু মুুুখে বা এস এম এস এ উপরের কথা বলসে তাইলে কি তালাক  হবে
৫ .হাসবেন্ড   বুজানোর জন্য  বলছে আমার কখনো  মনে আসে নাই তুমাকে একবারে ছাইড়া  দিলাম।আর তালাক ত বলি নাই।বলছিলাম মুক্তি দিলাম তাও ত তালাকের নিয়ত  ছিল না।এসব বলাই কি তালাক হবে। বলার সময় তালাকের কথা মনে আসলে কি তালাক হবে।কিন্তু  মুখে ত উপ্ররের অইগুুলা বলছে।

৬.আমি তারে অনেক অনেক বার জিগ্যেস করছি।সে শুধু  বলে এগুলা নিয়া চিন্তা  কর না তাইলে কিন্তু সমস্যা  হবে।আমার জা মনে আসে তাই চিন্তা  হই যে হইত  হাসবেন্ড  এসব বলছে আবার মনে হই বলে নাই।হাসবেন্ড  বলে যে কিছু হই নাই। আমি বলসি কিছু হইলে ত গুনাহ হবে।তখন  হাসবেন্ড  বলসে তুমি অন্য  আমল কর এইটা আমি বুজবনি।আসলে সে আমাকে অনেক বুজাইছে। আমি অনেক মাসালা নিসি। সে বলছে আমি জাই বইলা থাকি আল্লাহ র কসম তুমকে ছাড়ার বা তালাকের  নিয়তে কিছু বলি নাই।এখন আমি কি তার উপর  বিশ্বাস  করে সংসার  করতে পারব?

৭.এমন এক সমস্যায় পরছি সংসার ভাংতে  পারছি না আবার নিশ্চিত হয়ে সংসার করতে পারছি না।কারন এই মনে হই সমস্যা  হইছে আবার মনে হই কিছুই হই না।মানে তালাকের সন্দেহ  হলে  করনিয় কি। আবার কয় তালাক হবে তাও বা  হইছে তাও বুজতেছি না।আবার পাপের কথা চিন্তা  হই।অনেক তালাকের সন্দেহ  হলে কি করনিয়

৮।আমি ওয়াস ওয়াসা গ্রস্ত  জা মাথাই আসে মনে হই হাসবেন্ড  তাই বলছে।একটার মাসালা জানলে কিছুদিন ভাল  লাগে আবার অন্য  প্রশ্ন  মাথায়  আসে।হুজুর আমি এখন কি করব।সন্দেহ  নিয়ে আল্লাহ  ভরসা  করে কি সংসার করে যাব।আসলে এই সমস্যা  হইছে এই পেজ আ অনেকের তালাক বিষয়  মাসালা পরার পর থেকে।তখন এসব বিষয়  মাথাই থেকে যাচ্ছেই না।আমাকে একটা পরিপূর্ণ সমাধান দিন।যাতে আর প্রশ্ন  না করতে হই।

1 Answer

0 votes
by (574,050 points)
edited by
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


তালাক এটি খুবই মারাত্মক একটি শব্দ। নিকৃষ্ট হালাল বলা হয়েছে হাদীসে। 

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا كَثِيرُ بْنُ عُبَيْدٍ، حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ خَالِدٍ، عَنْ مُعَرِّفِ بْنِ وَاصِلٍ، عَنْ مُحَارِبِ بْنِ دِثَارٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " أَبْغَضُ الْحَلاَلِ إِلَى اللَّهِ تَعَالَى الطَّلاَقُ " .

কাসীর  ইবন  উবায়দ .......... ইবন  উমার  (রাঃ)  নবী  করীম  সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম  হতে  বর্ণনা  করেছেন যে,  আল্লাহ্  তা‘আলার  নিকট  নিকৃষ্টতম  হালাল বস্তু  হল  তালাক।

(আবূ দাউদ ২১৭৮, ইরওয়া ২০৪০, যইফ আবু দাউদ ৩৭৩-৩৭৪, আর-রাদ্দু আলাল বালীক ১১৩।) 

শরীয়তের বিধান হলো সন্দেহের ভিত্তিতে কোনো তালাক পতিত হয়না।  

قال العلامۃ الحموی: فحلفہ باطل ای فلا شییٔ علیہ قیل اما الطلاق والعتاق فانہما لا یقعان بالشک۔ (غمز عیون البصائر علی الاشباہ ۱:۱۹۸ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ  
তালাক এবং গোলাম আযাদ,এ দুটি বিষয় সন্দেহের ভিত্তিতে পতিত হয়না।  

قال العلامۃ ابن نجیم: ومنہا شک ہل طلق ام لا؟ لم یقع شک انہ طلق واحدۃ او اکثر؟ بنی علی الاقل کما ذکر الاسبیجابی۔ (الاشباہ والنظائر۶۴ قاعدۃ من شک ہل فعل ام لا)
 الاشباہ والنظائر فی الفقہ الحنفی۶۰ القاعدۃ الثالثۃ)
সারমর্মঃ
কেহ যদি সন্দেহ করে যে সে তালাক দিয়েছে নাকি দেয়নি,,,
তাহলে তালাক পতিত হবেনা।
কেহ যদি সন্দেহ করে যে এক তালাক দিয়েছে? নাকি এর চেয়ে বেশি? 
তাহলে কমটাই পতিত হবে।    

আরো জানুনঃ- 


★★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,   
(০১)
এক্ষেত্রে তালাকের অধিকার প্রদান সংক্রান্ত বাক্যের ক্ষেত্রে আপনিও সন্দিহান,আপনার স্বামীও সন্দিহান।

সব শেষে আপনার স্বামী আপনাকে বলেছে,
আমি বিয়ের আগে যখন আমাদের পরিচয় ছিল তখন বলছি বিয়ের পর বলি নাই।

সুতরাং প্রশ্নের বিবরণ মতে আপনি তালাকের অধিকার পাবেননা।

(০২)
না,এতে তালাক হবেনা।

(০৩)
প্রশ্নের বিবরণ মতে এতে তালাক হবেনা।

(০৪)
এসব কথায় তালাক হবেনা।

এগুলা বলার সময় মনে যদি আসে তালাক দিলাম কিন্তু মুুুখে বা এস এম এস এ উপরের কথা বলছে, তাহলেও তালাক হবেনা।

(০৫)
এসব বলায় তালাক হবেনা। 
বলার সময় তালাকের কথা মনে আসলেও তালাক হবেনা।

(০৬)
হ্যাঁ, এখন আপনি তার উপর  বিশ্বাস করে সংসার করতে পারবেন।

(০৭)
সন্দেহ আসলে কোনো তালাক হয়না।
প্রশ্নের বিবরণ মতে কোনো তালাক হয়নি।
অহেতুক সন্দেহ না করার পরামর্শ রইলো। 

(০৮)
সন্দেহের ভিত্তিতে যেহেতু কোনো তালাক হয়না,সুতরাং আপনারা আল্লাহর উপর পূর্ণ ভরসা রেখে সংসার করতে পারবেন।
কোনো সমস্যা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...